রাতের শহরের নিরাপত্তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে৷ কিন্তু পুলিশ আছে পুলিশেই ৷ কোথাও টহল দেওয়ার বদলে ঘুমে কাতর পুলিশ কর্মী৷ আবার কোথাও ফাঁকা পরে পুলিশ কিয়সক৷

রাত বাড়তেই ঘুম বাড়ে পুলিশের৷ আর তাই মাখায় ওঠে নিরাপত্তা৷ উত্তর থেকে দক্ষিণ শহরের ছবিটা একই রকম৷ রাত প্রায় আড়াইটে নাগাত, আমাহার্স্ট্রিটের এক পুলিশ চৌকিতে কর্তব্যরত দুই পুলিশ কর্মীকে দেখা গেল বেজায় ঘুম দিতে৷ পুলিশের ঘুমের ছবি ধরা পড়ল, এন্টালি থানা এলাকার এক পুলিশ চৌকিতেও৷ মাত্র কয়েকদিন আগেই রাজ্য থেকে ধরা পরেছে ৫ জেএমবি জঙ্গি তা সত্বেও এই ঘুম? এই প্রশ্ন করায় ঘুমে কাতর এক সাদা উর্দিধারীর জবাব, তিনি নাকি সেই সম্পর্কে কিছু জানেনই না৷

বালিগঞ্জ খানা এলাকার এক কিয়সকেও ঘুমোতে দেখা গেল, কলকাতা পুলিশের এক তরুণ তুর্কিকে৷ রাহুল নস্কর নামে ওই পুলিশ কর্মীর সাফাই, একা কাজ করছেন৷ তাই ‘ঘুম পেয়ে গেছে’৷ একই ছবি ইএম বাইপাসেও৷ ইএম বাইপাস হল সেই এলাকা, যেখানে মাত্র কয়েকদিন আগেই এক প্রমোটারকে প্রথমে গুলি করে ও পরে বোমা মেরে খুনের চেষ্টা করেছিল একদল দুষ্কৃতী৷ খোদ কলকাতার বুকে এই ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য নীতিতে৷ তবে সায়েন্সিটি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বেই কলকাতা ২৪/৭-এর ক্যামেরায় ধরা পড়ল আরও এক পুলিশ কর্মীর ঘুমের ছবি৷ তবে, মান্নান সেন নামে ওই পুলিশ কর্মীর সাফ জবাব, শরীর খারাপ তাই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন তিনি৷ তবে নিরাপত্তা দেওয়াক বদলে ঘুমিয়ে সময় কাটানো যে ঠিক নয়, তা নিজের মুখেই স্বীকারও করলেন মান্নানবাবু৷

একদিকে যখন পুলিশ ঘুমোচ্ছে, তখন অন্যদিকে দেখা ধরা পড়ল আরও এক ছবি৷ শহরের অধিকাংশ পুলিশ কিয়সকেই উর্দিধারী কোনও কর্মীকেই দেখা গেল না৷ বিশেষ করে, বিধান নগর ও ব্যারাকপুর কমিশনারের আয়তায় থাকা কিয়সক গুলি একদম খালি৷ এদিকে আলো জ্বললেও দক্ষিণ কলকাতার ইএম বাইপাসের একটি কিয়সকে কোনও পুলিশকেই দেখা গেলনা৷

প্রশ্ন উঠছে, যদি রাতে কেউ কোনও বিপদে পড়েন তাহলে সেক্ষে কোথায় যাবেন সাধারণ মানুষ৷ফলে দূর থেকে আলো জ্বলতে দেখা কিয়সকের সামনে গিয়ে হতাশ হয়ে ফিরে আসা ছাড়া কোনও লাভ নেই ৷