বেনাপোল বন্দরে অগ্নিকাণ্ডে অর্ধশত কোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই
দেশের সবচাইতে বড় স্থলবন্দর বেনাপোলের ২৩ নম্বর শেডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১০০ কোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়েছে। আজ রোববার ভোররাতে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানান বন্দর কর্তৃপক্ষ। ভারত ও বাংলাদেশের ১৩টি ইউনিট দীর্ঘ ৫ ঘন্টা চ্টো করে আগুন নেভাতে সক্ষম হন। আগুন পাশ্ববর্তী এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে ওপেন ইয়ার্ডের বিপুল পরিমান মালামাল পুড়ে যায়। বন্দরের পাশে বন্দর থানার আংশিক অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েে ছ। পুলিশ থানা থেকে অস্ত্র গোলাবারুদ সহ প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে বলে বন্দর থানার ওসি অপূর্ব হাসান জানান।
আগুন লাগার পরপরই ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট পানি ছিটিয়ে সকাল সাড়ে দশটায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রোববার ভোরের দিকে হঠাৎ করে এ আগুন লাগে এই শেডে। আগুন লাগার কিছুক্ষণের মধ্যেই শেডের আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। পাশে খোলা আকাশের নিচে রাখা বিভিন্ন মেশিনারি, টায়ার, সুতা, কাগজ, কেমিকেল এবং অন্যান্য আমদানি পণ্য পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
সরেজমিন দেখা গেছে, ২৩ নম্বর শেডের পাশে অবস্থিত বন্দর থানার সামনে রাখা বেশ কয়েকটি ভারতীয় ট্রাক ও বিভিন্ন সময়ে জব্দ করা প্রাইভেট কারও পুড়ে গেছে।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক নিতাই চন্দ্র সেন জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন পুরোপুরি নিভলে ক্ষয়ক্ষতির মোট পরিমাণ জানানো যাবে। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
বন্দর সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান স্বজন জানান, বাংলাদেশের ১২টি ইউনিট ও ভারতের ১টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ সম্পন্ন করে। প্রাথমিকভাবে ১০০ কোটি টাকার বেশি মালাশাল ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। তবে বন্দরের নিজস্ব ১০টি ফায়ার ফাইটার ইউনিট অকেজ থাকায় তাৎক্ষনিকভাবে আগুন নেভানো য়াযনি বলে তিনি জানান। ১৯৯৬ সালের বোনপোল বন্দরে অনুরুপ অগ্নিকান্ডে ২০০ কোটি টাকার মালামাল পুড়ে যায়। সেই সময় আমদানিকারকরা বন্দর থেকে কোন ক্ষতিপুরন পায়নি। বন্দরের নিজ্ব্স্ব কোন বীমা না থাকায় সেই সময় কোন ক্ষতিপুরন পায়নি।
বেনাপোল বন্দরে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় বন্দর, কাস্টমস এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয় পৃথক ৩টি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটি অগ্নিকান্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন করবে। বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন অগিকান্ডের পর বেনাপোল বন্দরের সহকারি পরিচালক আব্দুল হান্নানকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এই কমিটি আগামী ১০ দিনের মধ্যে তাদের রিপোর্ট প্রদান করবে। অপরদিকে বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষও একটি কমিটি গঠন করেছে। অতিরিক্ত কমিশনার ফিরোজ উদ্দিনকে প্রধান করে গঠিত এই কমিটিতে রয়েছেন আরো ৪ সদস্য। তারা ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট প্রদান করবেন। অন্যদিকে একজন যুগ্ম সচিবকে প্রধান করে নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয় ৩ সদস্য বিশিষ্ট অপর একটি কমিটি গঠন করেছে।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতি দেখতে হেলিকপ্টার জোগে বেনাপোল বন্দরে আসেন নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান এমপি, সাথে ছিলেন, নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ের সচিব, বন্দরের চেয়ারম্যান। যশোরের জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবীর সাথে ছিলেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন
নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী সংগঠকবিস্তারিত পড়ুন