বেশির ভাগ স্কুলে বাড়তি বেতন আদায় বন্ধ হয়নি
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশ জারির পরও রাজধানীর বেশির ভাগ স্কুলে বাড়তি বেতন আদায় বন্ধ হয়নি। এদিকে প্রতিবছর ভর্তি ফি ও বেতন বৃদ্ধি ঠেকাতে ভর্তি নীতিমালা হালনাগাদ করার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী অভিভাবকরা।
তবে, সরকারি আদেশ ভঙ্গকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানালেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (মাউশি) অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন।
প্রতিবছরই বেড়ে চলেছে শিক্ষার খরচ। ভর্তি ফি, বেতন ছাড়াও বিভিন্ন খাতে বর্ধিত খরচ দিতে দিতে অতিষ্ঠ অভিভাবকরা। তবে এ বছর সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধির অজুহাতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অস্বাভাবিক হারে বেতন বাড়ানোয় রাস্তায় নেমেছেন অভিভাবকরা।
একজন অভিভাবক বলেন, গত বছর বেতন ছিল ৮০০ টাকা। এ বছর এক লাফে তা বাড়িয়ে দেড় হাজার টাকা করা হয়েছে। এটা আমাদের জন্য অনেক বেশি।
আরেকজন অভিভাবকের প্রশ্ন এভাবে বেতন বাড়ালে সন্তানদের আসলেই পড়ালেখা করানো যাবে কি না? ওই নারী অভিভাবক বলেন, ‘গড়ে একজন অভিভাবকের দুজন করে সন্তান পড়াশোনা করে। ক্লাস ওয়ানে যদি দেড় হাজার টাকা দিতে হয়, পরে তো আরো বাড়বে। তাহলে অভিভাবকরা কি তা পারবে?’
দিন দিন শিক্ষার খরচ বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ পরিবারের শিক্ষার্থীদের ভালো প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ কমে যাচ্ছে বলে জানালেন কয়েকজন অভিভাবক। তারা শিক্ষার অধিকার রক্ষায় সমন্বিত ভর্তি নীতিমালা ঘোষণার দাবি জানান।
একজন গাড়িচালক অভিভাবক বলেন, ‘গত বছর আমার সন্তানকে প্লে শ্রেণিতে ভর্তির সময় পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছি। এবার নার্সারিতে ভর্তির সময় আরো ছয় হাজার টাকা দিতে হয়েছে। আমার মতো একজন ড্রাইভারের পক্ষে কীভাবে সম্ভব এত টাকা দিয়ে ভর্তি করা।’
অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মো. জিয়াউল কবির দুলু বলেন, ‘একটি বাচ্চা একই স্কুলে প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উঠবে। তাহলে তাঁকে আবার পুনঃভর্তি হতে হবে কেন? সেই পুনঃভর্তি ফি নিতে সরকার নিষেধ করেছে, তারপরও কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সেটা মানেনি।’
ভর্তি নীতিমালা সংশোধন অথবা কীভাবে বেতন নির্ধারণ ও বৃদ্ধি করা হবে এ সংক্রান্ত নীতিমালা করার দাবি ছিল, সেটিও করা হয়নি বলে জানান অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি।
একধাপে দ্বিগুণ, তিনগুণ হারে বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক মনে করেন না মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. শাহান আরা বেগম। তিনি বলেন, ‘গত বছর আমাদের বেতন ছিল ৯০০ টাকা। এ বছর আমরা বেতন করেছি এক হাজার টাকা। গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন আমরা পেয়েছি। আজকে আমাদের নবম শ্রেণির ভর্তি ছিল। সেখানে আমরা আজ ৯০০ টাকাই বেতন নিয়েছি।’
বাড়তি বেতন আদায় বন্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ ভঙ্গ করলে দায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার কথা জানালেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন। তিনি বলেন, ‘যদি কেউ এই নীতিমালা লঙ্ঘন করে তাহলে আমরা তাদের পাঠদানের অনুমতি, স্বীকৃতি বাতিল করে দিতে পারি। আমরা ব্যবস্থাপনা কমিটি পরিবর্তন করতে পারি, ভেঙে দিতে পারি। আমরা তাদের এমপিও বন্ধ করে দিতে পারি।’
শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে ভর্তি নীতিমালা হালগানাগাদ করে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে শৃঙ্খলায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান ফাহিমা খাতুন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূস: নির্বিঘ্নে সব জায়গায় পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “এবার দুর্গাপূজারবিস্তারিত পড়ুন
সোমবারের বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার
এক কোটিরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাস করেনবিস্তারিত পড়ুন
১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৬৪ কোটি ডলার
এ মাসের প্রথম ১৪ দিনে এসেছে ১৬৪ কোটি ৬৭ লাখবিস্তারিত পড়ুন