বুধবার, নভেম্বর ২৭, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

বেড়েই চলেছে আত্মহত্যা

মানিকগঞ্জে মা নিজেই দুই সন্তানের মুখে বিষ ঢেলে দেওয়ার পর আত্মহত্যা করেছেন। বিষয়টি যে সহজে ঘটেছে তা কিন্তু নয়। অনেক কষ্টে এই কাজটি করেছে মা। এমন ঘটনা আরো অনেক আছে।

জানা যায়, শুক্রবার মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার এক পর্যায়ে দুই শিশু সন্তান মেঘলা (৮) ও আকাশকে(৫) বিষ খাইয়ে মা রহিমা নিজেও বিষপান করেন। পরে তাদের উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে মাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আর স্কুল পড়ুয়া দুই শিশু সন্তান এখনো মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।

কিন্তু পুত্রকে মারার পর পিতার আত্মহত্যা, পাখি জামা না পেয়ে আত্মহত্যা, হতাশাগ্রস্ত হয়ে ভাই বোনের আত্মহত্যা, প্রেমে ব্যর্থ হয়ে প্রেমিকার আত্মহত্যা, প্রেমিক বিয়ে না করায় প্রেমিকার আত্মহত্যা, একই রশিতে যুগলের আত্মহত্যা, স্ত্রীকে মারার পর স্বামীর আত্মহত্যা, মাকে মেরে পুত্রের আত্মহত্যা, পরীক্ষায় রেজাল্ট খারাপ করায় ছাত্রীর আত্মহত্যা, ভালো রেজাল্ট না হওয়ায় আত্মহত্যা, মায়ের বকা শুনে ছেলের আত্মহত্যা, ফুটবল খেলা দেখতে না পেয়ে আত্মহত্যা, ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে আত্মহত্যা, অভাবের তাড়নায় আত্মহত্যা, যৌন হয়রানি সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা, বখাটের অত্যাচারে স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা- এরকম অসংখ্য হেডলাইন দিয়ে দেশের পত্র পত্রিকাগুলোয় সংবাদ ছাপা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। কিন্তু কাজের কাজ একটিও হয়নি। বরং বেড়েছে এ সংখ্যা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব মতে প্রতিনিয়ত বিশ্বে আত্মহত্যার সংখ্যা বেড়ে চলেছে। এদিকে বাংলাদেশ সেন্টার ফর পলিসি এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের যৌথ এক জরিপে দেখা যায়, বাংলাদেশে ২০১৪ সালে আত্মহত্যার সংখ্যা ছিল ১২ হাজারের মতো। এর মধ্যে ফাঁসিতে ঝুলে ৯ হাজার এবং বাকীগুলো বিষ পানে আত্মহত্যা করে। ২০১৫ সালে এ সংখ্যা বেড়ে প্রায় ১৪ হাজারের মতো দাঁড়ায়। আর ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে সারাদেশে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে আড়াই হাজারের মতো।

২০১৩ সালে আত্মহত্যার সংখ্যা ছিল ১০ হাজার ১০৮ । ২০১২ সালে এ সংখ্যা ছিল প্রায় ১০ হাজার এবং ২০১১ সালে এ সংখ্যা ছিল প্রায় ৯ হাজার ৬৪২।

এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে ২০১৩ সালে আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে মেয়ের সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ১৭৭। অর্থাৎ ওই সালে নারীদের মধ্যে ৬১ শতাংশ আত্মহত্যা করেছেন। অন্যদিকে পুরুষের সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৯৩১। অর্থাৎ ওই সালে আত্মহত্যাকারী পুরুষের সংখ্যা ছিল ৩৯ শতাংশ। ২০১৪ ও ১৫ সালেও পুরুষের চেয়ে নারীরা আত্মহত্যা বেশি করেছেন। আর ২০ বছর থেকে ৩৯ বছর বয়সীদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি দেখা গেছে।

ভারতে প্রতি ঘণ্টায় আত্মহত্যা করেন ১৫ জন। প্রতিদিন গড়ে আত্মহত্যা করেন ৩৭১ জন। আর আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ৬ হাজার জন। সেখানে বাংলাদেশে প্রতি ঘণ্টায় আত্মহত্যা করেন ১ জনের একটু বেশি। প্রতিদিন গড়ে আত্মহত্যা করেন ২৮ জন। আর আত্মহত্যার চেষ্টা চালান ৫০০ জন। বিশ্বে ২০২০ সাল নাগাদ বছরে আত্মঘাতীর সংখ্যা দাঁড়াবে ১৫ লাখ। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যা প্রবন দেশ গায়ানা। দেশটিতে প্রতি লাখে ৪৪ জন আত্মহত্যা করে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১১ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে এসে আত্মহত্যার সংখ্যা বেড়েছে। বিশ্লেষকরা অভিমত দেন যে, প্রত্যেক পরিবার আপনজনদের সঙ্গে আনন্দের বাস করলেই এ সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব।

বিশ্লেষকদের ধারণা আত্মহত্যা সব সমস্যার সমাধান নয়। বরং নতুন করে সমস্যা সৃষ্টি করে। যার কারণে বা যে কারণে ঘটনা ঘটলো সে কিন্তু বড় সমস্যায় পড়ে যায়। অথবা যে কারণে আত্মহত্যা করলো সেই সমস্যা সমাধান না হয়ে আরো বড় সমস্যার সৃষ্টি হলো। যারা আত্মহত্যা করেন তারা নিজের কাছ থেকে মুলতঃ পালিয়ে বাঁচতে চান। কিন্তু তিনি জানেন না যে, তিনি একটা খারাপ করছেন, একটা মারাত্বক ভুল কাজ করছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মোহিত কামাল জানান, বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যা হয় কীটনাশক খেয়ে। বাকিটা ফাঁসিতে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। পাশের দেশ ভারতেও একই চিত্র দেখা যায়। প্রেম ঘটিত কারণে এ সংখ্যাটা অনেক বেশি। পারিবারিক কলহের কারণেও অনেক বেশি আত্মহত্যা হচ্ছে এখন। পারিবারিক শান্তি বজায় রাখলেই আত্মহত্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব। ছেলে মেয়েদের সমান আদর, যত্ন এবং আনন্দমুখর পরিবেশে বড় করে তোলা হলে আত্মহত্যা প্রতিরোধ সম্ভব।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মেহতাব খানম রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘নিজের জীবনকে উপভোগ করতে হবে। কোনো পিছুটান রাখা যাবে না। জীবনের দাম অনেক বেশি। এটা একান্তই নিজের উপভোগের জন্য। কোনো তুচ্ছ কারণে নিজের জীবনটাকে শেষ করার দরকার নেই। এরকম মনোভাব নিয়ে যারা সংসার কাজ কর্ম করছেন তারা এরকম ভয়ঙ্কর কাজ করেন না। আমাদের দেশে আত্মহত্যার জন্য প্ররোচিত করা হয়। যা ঠিক নয়।’ আত্মহত্যায় প্ররোচিত না করার ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য গণমাধ্যম ও সকল সচেতন মহলকে সচেষ্ট হতে হবে বলে তিনি মত দেন ।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে

ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন

আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন

নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী সংগঠকবিস্তারিত পড়ুন

  • কুড়িগ্রামে ভয়াবহ বন্যায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দী
  • সিলেটে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত
  • চালু হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত হাট
  • রায়পুরায়  বিএনপির প্রায় ১০০ নেতা কর্মী আ’লীগে যোগদান
  • সিলেটে ৯ ঘণ্টা পর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
  • সকাল থেকে ঢাকায় বৃষ্টি
  • রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুই নারীর আত্মহত্যা
  • ছুটি শেষে কর্মচঞ্চল আখাউড়া স্থলবন্দর
  • নোয়াখালীতে অস্ত্র ঠেকিয়ে কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ
  • নান্দাইলে চাচাতো ভাইয়ের হাতে চাচাতো ভাই খুন
  • সিলেট বিভাগের বন্যা ভয়ঙ্কর রুপ নিচ্ছে
  • সবুজবাগে পরিবেশমন্ত্রীর সেলাই মেশিন বিতরণ