বে ওভালে আবার জ্বলে উঠতে পারবেন তামিম?
কেন বলতে চান না, সেটা তামিম ইকবালই ভালো বলতে পারবেন। তবে আসল কথা হলো- যে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচের আগের দিন, সচরাচর প্রেসের সাথে কথা বলতে চান না তামিম। আজও অনেকটা তা-ই। কথা না বলেই প্রায় কাটিয়ে দিলেন।
কথা না বলা মানে, আনুষ্ঠানিক মন্তব্য না করে।
এমনিতে বে ওভালে প্র্যাকটিস শেষে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার পাশে দাঁড়িয়ে খানিক্ষণ সাংবাদিকদের সাথে সৌজন্য বিনিময় করলেন। ম্যাচ ছাড়া অন্য প্রসঙ্গেও কথা বললেন। তবে সব কথা ছাপিয়ে যে প্রসঙ্গটি উঠলো, তা নিয়ে আবেগ-উচ্ছ্বাস প্রকাশ না করলেও স্মৃতিচারণটা ঠিক মতোই করলেন দেশ সেরা ওপেনার তামিম।
তামিম ভক্তরা জেনে খুশি হবেন- আগামীকাল মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের যে মাঠে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ, ঠিক চার বছর আগে এই ‘বে ওভালে’ নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে আকর্ষণীয় টি-টোয়েন্টি আসর ‘এইচআরভি’ কাপে ওয়েলিংটনে ৬৮ রানের দারুণ এক ঝড়ো ইনিংস আছে তামিমের।
সে ম্যাচের সুখস্মৃতি সম্পর্কে আলাপ করতে গিয়ে তামিমের স্মৃতিচারণ, ‘হ্যা, এই মাঠে একটা বড় ইনিংস আছে আমার।’ দিনটি ছিল ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি। নিউজিল্যান্ডের এক নম্বর টি-টোয়েন্টি আসর ‘এইচআরভি’ কাপে তামিমের দল ওয়েলিংটন খেলেছিল নর্দান ডিস্ট্রিক্টসের বিপক্ষে।
বে ওভালে সেদিন তামিমের ব্যাট থেকে আসে ৪৯ বলে ৬৮ রানের ঝড়ো ইনিংস। যার মধ্যে ছিল সমান চারটি করে ছক্কা ও বাউন্ডারি। ১৩৮.৭৭ স্ট্রাইক রেটে ওই ইনিংস সাজানো তামিমের কাছে প্রশ্ন ছিল, এই মাঠের আকার আয়তন নেপিয়ারের চেয়ে ছোট না বড়?
তামিমের ছোট্ট জবাব, ‘বড়।’ এ মাঠের দু’পাশ মোটেই ছোট নয়। নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কের চেয়ে বড়। লম্বায়ও স্ট্যান্ডার্ট সাইজ। নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছে করছে প্রতিপক্ষ বোলিংটা কেমন ছিল? ভাবার কোনো কারণ নেই যে, কমজোরি বোলিংয়ের বিপক্ষে অমন দুর্দান্ত ইংনি সাজিয়েছিলেন তামিম!
নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের বোলিং লাইন-আফ ছিল বেশ সমৃদ্ধ ও ধারালো। ওই ইনিংস অবশ্যই তামিকে অনুপ্রাণিত করবে। মনে হবে আরে এই মাঠ তো আমার সাফল্যের স্বর্গ। এখানেই তো চার বছর আগে এক বিধ্বংসী ইনিংস সাজিয়েছিলাম। তবে আজ প্র্যাকটিস শেষে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া সাংবাদিকদের সাথে আলাপে অবশ্য সেই ইনিংস খেলার সুখস্মৃতি সম্পর্কের তেমন কোনো বাড়তি আবেগ-উচ্ছ্বাস প্রকাশ পেল না তামিমের কণ্ঠে।
মুখ ফুটে কিছু না বললেও ওই ঝড়ো ইনিংস যে তাকে অনুপ্রানিত করবে, কিউই বোলিং দুমড়ে-মুচড়ে অমন এক বিধ্বংসী ইনিংস খেলার ইচ্ছেটা হয়তো ভেতরে পুষে রেখেছেন। শুধু তামিমের কথা বলা কেন, সহযোগী ইমরুল, সাব্বির, সাকিব, মাহমুদউল্লহ, মোসাদ্দেক ও সৌম্য সরকার-সবাই অনুপ্রাণিত হবেন।
তামিম পেরেছেন, আমি বা আমরা পারবো না কেন? তামিমও হয়তো আগামীকাল তার পুনরাবৃত্তি ঘটানোর দিকেই বেশি চেষ্টা করবেন। কে জানে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তামিমের ব্যাট থেকে আরও একটা বড় ইনিংস বেরিয়ে আসতেও পারে। জাগো নিউজ
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন