সোমবার, নভেম্বর ২৫, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

বোকা মেয়ের ডায়রি: আত্মহত্যা আমাকে শিখিয়েছে যে একটিমাত্র জিনিস

দুই/তিন দিন লাঞ্চের আগে আমার কাছে একজন ভাইয়া এসেছিলেন… অনেকদিন যাবত অ্যাপয়েন্টমেন্ট চাইছিলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট ছেলেমেয়েগুলির কাছে। ব্যাটে বলে হচ্ছিল না। অবশেষে কাল হলো… চলে যাবার আগে মানুষটি মানুষটি গভীর একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন- “আপু জানেন, আমি আজ সকালেও ভেবে রেখেছিলাম যে আজকেই আমার শেষ রাত, আমি আর পৃথিবীতে থাকতে চাই না…”

খুব কষ্টের ব্যাপারটি হচ্ছে এমন কথা আজকাল আমি প্রায়ই শুনি। শুনে প্রতিবারই মনে মনে আঁতকে উঠি। কারণ আজকাল প্রতিকার পাতা খুললেই, ফেসবুকে স্ক্রল করলেই চোখে পড়ে আত্মহত্যার সংবাদ। খুব সুন্দর হাসিখুশি কোন তরুণ বা তরুণী, যার হয়তো চমৎকার একটি জীবন আছে, কিংবা একটু চেষ্টা করলেই খুব চমৎকার একটি জীবন হতে পারে… হুট করে দেখি মানুষটি আত্মহত্যা করেছে! সেই আত্মহত্যার খুব শক্তিশালী কোন কারণ যে জানা যায়, এমনও না। মূল কারণ বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় বিষণ্ণতা এবং সেই বিষণ্ণতাকে সামাল দিতে না পারা…

ভয়ানক বিষণ্ণতা, সব থাকার পরও জীবনকে অর্থহীন মনে হওয়া, একটা নেই নেই নেই ভরা অপূর্ণতা, নিঃসঙ্গতা, নিজেকে ব্যর্থ আর মূল্যহীন লাগা, বিষণ্ণতা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারা, ক্রমাগত সামাজিক ও পারিবারিক চাপ… এই সবকিছুই কিন্তু একটা মানুষকে তিল তিল করে ঠেলে দেয় হতাশার দিকে। আমি আজকাল প্রায় সারাক্ষণই চিন্তা করি যে কেন একজন মানুষ , একজন টগবগে তরুণ বা তরুণী এত ভয়ানক ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হয়ে যায় যে নিজের জীবনটিই নিয়ে ফেলে? কিংবা কেন একটি হাসিখুশি চেহারার মা, একজন চমৎকার বাবা বা স্বামী বলা নেই কওয়া নেই আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়?

উত্তর শুধু একটিই পেয়েছি, সেটা হলো- চাপ! প্রচণ্ড , প্রবল মানসিক চাপ।

আমাদের মাঝে একটা ভীষণ ভুল ধারণা আছে যে মানুষ কেবলমাত্র প্রেমে বা কোন সম্পর্কে ব্যর্থ হলে আত্মহত্যা করে, কিংবা ডিপ্রেশনে চলে যায়। আমরা খুব ভুল্ভাবে মনে করি যে একটা মানুষের জীবনে প্রেম-বিয়ে-সম্পর্ক ইত্যাদিই সবকিছু, সুতরাং একটি মানুষ আত্মহত্যা করলো মানে সে কোন একটা সম্পর্ক থেকে কষ্ট পেয়েছে বা কোন একটা সম্পর্ক হারিয়েছে, তাই সে মৃত্যুর পথ বেছে নিয়েছে। মানুষ মূলত ডিপ্রেশনে তখনই চলে যায়, যখন সে ভীষণভাবে ভেঙে পড়ে আর কিছুতেই নিজেকে জোড়া লাগাতে পারে না। এই ভেঙে পড়াটা কোন সম্পর্কের কারণে যেমন হতে পারে, তেমনই হতে পারে নিজের কাজে ব্যর্থতা, অর্থনৈতিক দুরাবস্থা, পারিবারিবারিক অশান্তি, নিজের চেহারা নিয়ে ক্ষোভ সহ নানান রকম কারণে। আজকাল আমাদের জীবন যাপন ব্যবস্থাটাই এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে একেবারে শিশুকাল থেকেই একটা মানুষকে ক্রমাগত পেষা চলতে থাকে। এটা করতে হবে, ওটা করতে হবে, সেটা করতে হবে। সবার চাইতে সেরা হতে হবে, সেবার জাইতে বেশি যোগ্য হতে হবে। ব্যাপারটা এমন যে মানুষের সন্তান নয়, সবাই রেসের ঘোড়া!

সবারই এখন সামাজিক স্বপ্ন গুলো একরকম- বড় চাকরি, ধুমধামের বিয়ে, সমাজে বড় মুখ করে দেখানোর মত স্বামী/স্ত্রী, তারপর বাড়ি, সন্তান, গাড়ি, ফেসবুকের পাতায় আর সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতে সুখী জীবনের প্রদর্শন… নিজেকে সুখী দেখানোটাও আজকাল সামাজিক স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখার একটা মাপকাঠি বৈকি! ক্রমাগত এই “স্ট্যান্ডার্ড” এর জাঁতাকলে পিষ্ট হতে হতে অনেক মানুষই খেই হারিয়ে ফেলে। ফেলেটাই স্বাভাবিক। স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন করতে করতে জীবন আর সম্পর্কের স্বাভাবিক সৌন্দর্যগুলো হারিয়ে যায়, ভালোবাসা হয়ে যায় সেলফিতে সীমাবদ্ধ, আত্মীয়তা হয়ে যায় প্রতিযোগিতা, সন্তানের সাথে সম্পর্ক হয়ে দাঁড়ায় রেসের ঘোড়া আর জকির… আর এইসবের মাঝে একটু খানি ছন্দপতন হলেই মনে হতে থাকে- “আমি তো পিছিয়ে পড়লাম। অন্যরা আমার চাইতে এগিয়ে গেলো, আমি তো পিছিয়ে পড়লাম!”… নিজের যদি এমনটা মনে নাও হয়, তাহলেও নিস্তার নেই, সমাজ এটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দিয়ে মনে করিয়ে দেয় যে- “তুমি পিছিয়ে গেছো!” সমাজ প্রতিনিয়ত মনে করায়…

তুমি কালো-মোটা-বেটে… ছি ছি, তুমি অসুন্দর!
তোমার টাকা নেই… তুমি সম্মানের যোগ্য নও।
তুমি ক্যারিয়ার প্রেমী না? তুমি একটা কুঁড়ের বাদশা!
তোমার বাড়ি গাড়ি আই ফোন নেই? তুমি তো গরীব।
বাচ্চাদের ইদুর দৌড়ে দিতে চাও না? ছিঃ ছিঃ… তুমি একটা খ্যাত!

-তুমি কুৎসিত, তুমি অযোগ্য, তুমি মূল্যহীন, তোমার কোন প্রয়োজন নেই, তুমি কোকিলের ভিড়ে কাক, কী করলে জীবনে, তোমার চাইতে অমুকে অনেক ভালো… ইত্যাদি ইত্যাদি হাজারো কথা আমাদেরকে শুনতে হয় প্রতিদিন। না, বাইরের মানুষের কাছ থেকে না, নিজের পরিবারের কাছ থেকেই। আমি এমন অনেক মেয়েকেই চিনি যে কেবল ওজন বেড়ে গিয়েছে বলে স্বামী পুরুষটি তাঁদেরকে ভয়ানক মানসিক নির্যাতন করেন। কথায় কথায় মুটকি, হাতি, খাওয়া কমাও এইসব বলে খোঁটা দেন। একবার একটি মেয়ে এসেছিল মনের কথা বলতে, মেয়েটি হাউমাউ করে কান্না করেছিল অনেকটা সময়। কারণ কী? দুটি বাচ্চা হওয়ার পর সে বেশ মোটা হয়ে গিয়েছে। স্বামী এখন তাঁকে মোটেও পছন্দ করে না সে অন্য কথা, সারাক্ষণ আজেবাজে কথা বলেন! স্বামীর একটু ঘনিষ্ঠ হতে চাইলে বলেন- “কাছে আসবা না, মুটকি মেয়ে মানুষ আমার ঘেন্না লাগে!!”

হ্যাঁ, শুনতে খুব খারাপ শোনাল। কিন্তু এটাই সত্যি যে বুঝে হোক, না বুঝে হোক এই ধরণের মানসিক অত্যাচার আমাদের পরিবার থেকেই শুরু হয় সবার আগে। আমাদের পরিবারগুলোই যেখানে এত জাজমেনটাল, সেখানে সমাজের কাছ থেকে আর কী আশা করা যায় বলুন?

এই ছোট ছোট ঘটনাগুলোই আমাদের মাঝে বিন্দু বিন্দু হয়ে জমে। আর সেই বিন্দু বিন্দু বিন্দু জমে একদিন সিন্ধু না, মহাসাগর হয়ে যায়। মানুষ যখন বাইরের পৃথিবী থেকে আঘাত পেয়ে ঘরে আসে, আপনজনেদের কাছে আসে… তখন আপনজনেদের কাজ তাঁর সেই ভাঙা মনকে জোড়াতালি দিতে সাহায্য করা। একজন আপনজন কষ্ট দিলে আরেকজন সেই কষ্টে ভালোবাসার মলম দেবে, এভাবেই সম্পর্ক আর জীবন এগোয়। কিন্তু কোন একজন মানুষ যখন এতটাই নিঃসঙ্গ হয়ে যায় যে পৃথিবীতে কেউই তাঁর কষ্টের ক্ষতে মলম দিতে পারে না, পৃথিবী ভরা মানুষের ভিড়েও কেউ আর তাঁর ভাঙা মনটাকে জোড়া দেয়ার কাজটি করতে পারে না… তখন কেউ কেউ সিদ্ধান্ত নেয়, চলে যাওয়ার! আত্মহত্যা করার, নিজেকে শেষ করে দেয়ার! নিজেকে, নিজের সত্ত্বাকে আর বহন করতে না চাওয়ার নামই আত্মহত্যা… অনেকে হয়তো মৃত্যু কী, বা সত্যিই মরে যাবেন এটা না বুঝেই ঝোঁকের মাথায় আত্মহত্যা বা আত্মহত্যার চেষ্টা করে ফেলেন! তাঁদের কথা আলাদা। আমি তাঁদের কথা বলছি, যারা খুব বুঝে শুনে ঠাণ্ডা মাথায় মরে যাওয়ার জন্যই আত্মহত্যা করেন।

আত্মহত্যা কোন সাহসের কাজ নয়, আত্মহত্যা মানে হেরে যাওয়া। একজন মানুষ যখন জীবনের সাথে যুদ্ধে পরাজয় স্বীকার করে নেন, আর লড়াই করার ইচ্ছা বা সাহস রাখেন না, তিনি বেছে না আত্মহত্যাকে। এটা অনেকটা যুদ্ধের ময়দান ছেড়ে পালিয়ে যাবার মত একটি ব্যাপার। যিনি আত্মহত্যা করলেন, তাঁর কারণটি হয়তো পরিবার বা ভালোবাসার মানুষটি নয়। কিন্তু তাঁরা কি দায় অস্বীকার করতে পারবেন? কোন দায় কি আসলেও কারো নেই? যে মানুষটি নিজের ভগ্ন মন নিয়ে, তীব্র হতাশা আর বিষণ্ণতা নিয়ে দিনের পর দিনে ঘুরেছেন আর কোন আপনজন তাঁকে বেঁচে থাকার মত একটু খানি আশার আলো দেখাতে পারেনি বা তাঁর কষ্টটি বুঝে নিতে পারেনি… সেই আপনজনেরা কি আসলে এই মৃত্যুর দায় এড়াতে পারবেন?

এবং আপনারা যারা নিজেকে মেরে ফেলার কথা ভাবেন…

আমি জানি এমন আহামরি কেউ নই যার কথা শুনতে হবে বা মানতেই হবে। কিন্তু হ্যাঁ, আমি এমন একজন যে দেখেছে আত্মহত্যা কেমন হয়। যে এটাও জানে ঠিক কতটা গহীন অন্ধকার বুকে নিয়ে একজন মানুষ আত্মহত্যা করতে যায়, সত্যি সত্যি মরে যাওয়ার ইচ্ছা নিয়ে আত্মহত্যা করার পর বেঁচে ফিরে আসতে কেমন লাগে, এমনকি খুব কাছের কেউ আত্মহত্যা করার পর কেমন লাগে… জীবনের এই ৩ ভয়ানক অভিজ্ঞতা আমাকে খুব মূল্যবান কিছু জিনিস শিখিয়েছে আর সেটা হচ্ছে এই-

-জীবন একটাই। একটা আর কেবল একটাই। কথাটা কেবল বইয়ের কথা না, এটাই পৃথিবীর সবচাইতে বড় সত্য কথা। যে দিনটি আজ চলে গেলো, আপনি মাথা কুটে মরলেও সেটি আর ফেরত আসবে না। জীবনের কোন রিওয়াইনড অপশন নেই যে আজকের দিনটি যেমন-তেমন কাটিয়ে দেবেন, কালকের দিনটি ভালো করে বাঁচবেন। কালকের দিনটি আপনার জীবনে আসবে কিনা কী বলতে পারে? জীবন আজই শেষ হয়ে যেতে পারে। এখন, এই মুহূর্তে শেষ হয়ে যেতে পারে!

হ্যাঁ, জীবন এখনোই, জীবন এই মুহূর্তে। জীবন গতকালেও না, জীবন আগামীকালেও না। জীবন কেবল আর কেবল এই মুহূর্তে। আমার জন্য জীবন মানে আগামীর অপেক্ষা করা নয়, আমার জন্য জীবন বর্তমানে। নিঃশ্বাস নেয়ার সাথে সাথে প্রতিটি মুহূর্তে আমার জীবন। কারণ কে জানে… আগামীকাল আছে, নাকি নেই? আগামীকালের সূর্যোদয় আমি দেখতেই পাবো, এমন গ্যারান্টি তো প্রকৃতি আমাকে দেয়নি! তাহলে অহেতুক কেন আগামীকালের অপেক্ষায় কিংবা আগামীকালের ভয়ে বর্তমানকে হেলায় হারানো?

আগামীকাল কী হবে আপনি-আমি কেউ জানি না। যা এখনো হয়নি, সেটার আতঙ্কে অস্থির হয়ে নিজেকে শেষ করেদিলেই যে শান্তি, এই ব্যাপারটা আপনি কীভাবে নিশ্চিত হচ্ছেন? কীভাবে নিশ্চিত হচ্ছেন যে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করলেই মিটে যাবে আপনার সকল কষ্ট-দুঃখ-বেদনা? মৃত্যুকে আলিঙ্গন করলেই সেই মানুষগুলোকে একটা শক্ত শিক্ষা দেয়া হবে যারা আপনাকে এত কষ্ট দিয়েছে… এমনটা যদি ভেবে থাকেন, তাহলে আপনার চাইতে বড় বোকা দুনিয়াতে আর কেউ নেই। বিশ্বাস করুন, পৃথিবীতে আপনার সবচাইতে বড় আপনজন আপনি নিজেই, আর কেউ নয়। এমনকি পিতা মাতাও নয়, নিজের সবচাইতে বড় শুভাকাঙ্ক্ষীও আপনি নিজেই। আপনাকে কবরে শুইয়ে দিয়েই এসেও আপনার মা-বাবাকে ভাত খেতে হবে, ঘুমাতে হবে, জৈবিক ক্রিয়ায় লিপ্ত হতে হবে। শুনতে যতই খারাপ শোনাক না কেন, কিছু মাসের মাঝেই আপনি তাঁদের কাছে হয়ে যাবেন একটা স্মৃতি। অনেক দূরের একটা স্মৃতি কিংবা স্বপ্নের মত। সবার সবকিছু চলবে, যারা আপনাকে কষ্ট দিয়েছিল তাঁরা সবাই ভালো থাকবে, কেবল থাকবেন না আপনি একলা। সকল কিছু থেকে নিজেকে বঞ্চিত করে চলে যাবেন আপনি একলা।

তাহলে আমাকে বলুন- কেন নিজেকে বঞ্চিত করে আত্মহত্যার পথে বেছে নেবেন? কেন? কেন? কেন?

আগামীকাল কী হবে আমরা কেউ জানি না। আজ যে সময়টাকে মনে হচ্ছে জীবনের সবচাইতে কঠিন অন্ধকারের রাত, কাল কেবল এক মুহূর্তের ব্যবধানেই সবকিছু কেটে গিয়ে আলো ফুটে উঠতে পারে। হুট করে একটা ঘটনা ঘটবে, হুট করে একটা মানুষ আসবে, হুট করে একটা অর্জন হবে, হুট করে একটা কিছু বদলে যাবে… হুট করে এক টুকরো আলো এসে আপনার সম্পূর্ণ পৃথিবীটা আবারও আলোয় উদ্ভাসিত করে দিবে। আমি এমন একটি মেয়েকে দেখেছিলাম, যে ভালোবাসায় প্রতারিত হয়ে মনের দুঃখের আত্মহত্যা করে ফেলেছিল। যদিও পরে জানা গিয়েছিল যে তাঁর প্রেমিক আসলে প্রতারণা করেনি, ব্যাপারটা স্রেফ ভুল বোঝাবুঝি। একটু অপেক্ষা করলেই সবকিছু ঠিক হয়ে যেতো! একটি ছেলের কথা শুনেছিলাম, যে কিনা ফেইল করার ভয়ে ফলাফলের আগেরদিন আত্মহত্যা করে ফেলেছিল। পরে দেখা গেলো পরীক্ষা খারাপ হওয়া সত্ত্বেও সে ঠিকই পাশ করে গিয়েছে। একটি রাত, মাত্র একটি রাত অপেক্ষা করলেই তাঁর জীবনটা অন্যরকম হতে পারতো। মাত্র একটি রাত নিজের আবেগ, নিজের হতাশা, নিজের বিষণ্ণতা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই আজ সে বেঁচে থাকতে পারতো। মাত্র একটি রাত… একটি রাতের জন্য!

জীবনটা ঠিক এমনই। ভাগ্য আপনার জন্য কী প্ল্যান করে রেখেছে আপনি জানেন না। এই জীবনে নিশ্চিত বলে কিন্তু কিছু নেই। আপনি- আমি কেই সৃষ্টিকর্তা নই, আমরা কেউ ভবিষ্যৎ জানি না। আগামীকাল কিন্তু আলো আসতেও পারে, আগামীকাল কিন্তু কেটে যেতেও পারে জীবনের সকল অন্ধকার। আপনাকে কেবল একটা কাজই করতে হবে- বিশ্বাস রাখতে হবে। নিজের ওপরে বিশ্বাস। নিজের অস্তিত্তের ওপরে বিশ্বাস। আর জীবন নামের রলার কোস্টার রাইডের আসনটা খুব শক্তভাবে আঁকড়ে ধরে বসে থাকতে হবে- “কাম অন জীবন, তুমি ঝাঁকাও। আমাকে এত সহজে ঝেড়ে ফেলতে পারবে না!”

একটা সত্যি কথা কি জানেন?

পৃথিবীতে আসলে পরাজয় বলতে কিচ্ছু নেই। আছে জয় এবং অভিজ্ঞতা। ভাগ্যবানেরা বিজয়ী হয়, আর বীরেরা অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়। আমরা সকলেই নিজ নিজ গল্পের নায়ক। আপনি বিজয়ী নায়ক কিনা, সেটা হয়তো আপনার ভাগ্যের হাতে। কিন্তু আপনি বীর নায়ক কিনা, সেটা কিন্তু আপনার নিজের হাতেই!

একটাই জীবন, বাঁচতে হলে বীরের মত লড়াই করেই বাঁচা উচিত, তাই না? জিততে হলেও বীরের বেশেই জেতা উচিত। আমার তো অন্তত সেটাই মনে হয়। (প্রিয়.কম। ছবি প্রতিকি)

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

চা কন্যা খায়রুন ইতিহাস গড়লেন  

চা শ্রমিকদের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে সব মহলেই পরিচিত হবিগঞ্জেরবিস্তারিত পড়ুন

চার্জ গঠন বাতিল চেয়ে রিট করবেন ড. ইউনূস

 শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড.বিস্তারিত পড়ুন

ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন

  • স্বাধীনতার জন্য সিরাজুল আলম খান জীবন যৌবন উৎসর্গ করেছিল
  • ৫৩ বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ ১০৬ জনকে সম্মাননা দিল ‘আমরা একাত্তর’
  • হাতিয়ায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি
  • ৫৭ বছর বয়সে এসএসসি পাস করলেন পুলিশ সদস্য
  • শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
  • চলে গেলেন হায়দার আকবর খান রনো
  • গফরগাঁওয়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক শামছুন নাহার
  • ‘ও আল্লাহ আমার ইকবালরে কই নিয়ে গেলা’
  • ভিক্ষুকে সয়লাভ নোয়াখালীর শহর
  • কঠিন রোগে ভুগছেন হিনা খান, চাইলেন ভক্তদের সাহায্য
  • কান্না জড়িত কন্ঠে কুড়িগ্রামে পুলিশের ট্রেইনি কনস্টেবল
  • অজানা গল্পঃ গহীন অরণ্যে এক সংগ্রামী নারী