মঙ্গলবার, নভেম্বর ২৬, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

‘বৌদ্ধরা আগুন দিচ্ছে রোহিঙ্গাদের গ্রামে’

সেনাবাহিনী ও চরমপন্থি বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের নির্যাতন-হত্যা থেকে বাঁচতে গত দুই সপ্তাহে প্রায় ১ লাখ ৬৪ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। রোহিঙ্গাদের দাবি, সরকারি মদদেই এই হত্যা-নির্যাতন চলছে। আবার মিয়ানমার সরকারের দাবি রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরাই এ কাণ্ড ঘটাচ্ছে। কারটা সত্য? সম্প্রতি বিবিসির দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সংবাদদাতা জোনাথান হেড রাখাইনে গিয়েছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে ফিরে তিনি জানিয়েছেন, রাখাইন বৌদ্ধরাই রোহিঙ্গাদের গ্রামে অগ্নিসংযোগ করছে। জোনাথান হেডের জবানিতেই পড়ুন তার বিবরণ।

মংড়ুর পরিস্থিতি দেখতে মিয়ানমার সরকার যে সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল আমি সেই গ্রুপেরই সদস্য ছিলাম। এই সফরে যোগ দেওয়ার পূর্বশর্ত ছিল আমরা দলবদ্ধভাবে থাকব এবং স্বাধীনভাবে ঘোরাফেরা করতে পারব না। একইসঙ্গে সরকারের বাছাই করা স্থানে আমাদের যেতে হবে। অন্যান্য এলাকায় এমনকি কাছের কোনো স্থানেও আমাদের যাওয়ার প্রস্তাব বাতিল করা হয়েছিল নিরাপত্তার অজুহাতে।

মংড়ুর দক্ষিণের শহর আই লি থান কিয়াঅ পরিদর্শণ শেষে আমরা ফিরছিলাম। শহরটি তখনো জ্বলছিল, যা দেখে বোঝা যায় বেশ কিছু সময় আগে এতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।

পুলিশ আমাদের জানালো, মুসলমান বাসিন্দারাই তাদের নিজেদের বাড়িঘরে আগুন দিয়েছে। অবশ্য ২৫ আগস্ট শহরের পুলিশ চৌকিতে আরকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির যোদ্ধাদের হামলার পরপর অধিকাংশ বাসিন্দাই পালিয়ে গেছে। আমরা উত্তর দিকে বেশ কিছুটা দূরে কমপক্ষে তিনটি ধোঁয়ার কুণ্ডুলি দেখতে পাচ্ছিলাম। এসময় থেমে থেমে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল।

সাধারণত গ্রামের চিহ্ন হিসেবে ধানক্ষেত থাকে। আমাদের পেছনে ধানক্ষেতগুলোর মধ্যে সারিবদ্ধ গাছের ভেতর থেকে ধোঁয়ার কুন্ডুলি দেখতে পেলাম। আমরা গাড়ি থেকে বের হলাম এবং ধানক্ষেত পেরিয়ে সেখানে যাওয়ার জন্য দৌড় দিলাম। প্রথমেই দেখতে পেলাম গ্রামের ভবনগুলো কেবল জ্বলছে। এই গ্রামের বাড়িগুলো ২০ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে ছাইয়ে পরিণত হয়ে গেল। এটা সুনিশ্চিত কিছুক্ষন আগেই এখানে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।

একটু হেঁটে যাওয়ার পর আমরা একদল তরুণকে রামদা, তলোয়ার ও গুলতি হাতে চলে যেতে দেখলাম। আমরা তাদেরকে সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলাম। কিন্তু তারা ক্যামেরার সামনে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানালো। যাহোক, আমাদের মিয়ানমার সহকর্মী ক্যামেরা সরিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বললো। তারা জানালো, তারা সবাই রাখাইন বৌদ্ধ। ওদের মধ্যে একজন স্বীকার করলো সে গ্রামে অগ্নিসংযোগ করেছে এবং পুলিশ তাকে সহযোগিতা করেছে।

সামনে এগুনোর পর একটি মাদ্রাসা দেখতে পেলাম যেটির ছাদ তখনো জ্বলছে। আগুন আরেকটি বাড়ির পাশে ছড়িয়ে পড়ায় তিন মিনিটের মাথায় এটি রীতিমতো নরকে পরিণত হলো।

গ্রামে কোনো মানুষই নেই। আমরা যাদেরকে দেখেছিলাম ওরা ছিল হামলাকারী। রাস্তার ওপর গৃহস্থালি সামগ্রী, শিশুদের খেলনা, নারীদের কাপড়চোপড় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল। রাস্তার মাঝে একটি খালি জগ দেখতে পেলাম যেটার ভেতর থেকে তখনো পেট্রোলের ঝাঁঝ বের হচ্ছিল, আরেকটি পড়ে থাকা জগে কিছুটা পেট্রোল অবশিষ্ট ছিল। যখন আমরা বের হয়ে আসছিলাম পোড়া বাড়িগুলোতে আগুন ধিকিধিকি করে জ্বলছিল, কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যাচ্ছিল চারপাশ।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল

আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন

মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬

ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন

ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত

গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন

  • বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
  • একদিনে গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৫৭ ফিলিস্তিনি 
  • কানে ব্যান্ডেজ নিয়ে সম্মেলনে ট্রাম্প
  • ওমানে বন্দুকধারীর হামলায় মসজিদের কাছে   ৪জন নিহত
  • ট্রাম্পকে গুলি করা ব্যক্তি দলের নিবন্ধিত ভোটার
  • প্রেসিডেন্ট মাসুদকে সতর্কতা ইরানিদের 
  • ভারতের সঙ্গে চুক্তিতে দেশের মানুষের আস্থা প্রয়োজন
  • ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু, চীন উন্নয়নের : কাদের
  • ইসরায়েলে মুহুর্মুহু রকেট হামলা ইসলামিক জিহাদের
  • প্রথম বিতর্কের পর ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকছেন দোদুল্যমান ভোটাররা!
  • রেবন্ত রেড্ডি এবং চন্দ্রবাবু নাইডু বৈঠক নিয়ে নানা জল্পনা
  • স্টারমারের দুঃখ প্রকাশের পরও বাংলাদেশি কমিউনিটিতে ক্ষোভ