ব্যবসায়িক রীতির অঙ্গীকার রক্ষা করতে প্রধানমন্ত্রীর আহবান
দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক আচরণ, ন্যায্যমূল্য ও উন্নয়ন অর্থায়নের সুযোগদানের ক্ষেত্রে দেওয়া অঙ্গীকার রক্ষায় বিশ্বের স্টেকহোল্ডারদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সাইডলাইনে জাতিসংঘ সদর দফতরে ডিসেন্ট ওয়ার্ক এন্ড ইনক্লুসিভ গ্রোথ বিষয়ক স্যোসাল ডায়লগ সংক্রান্ত গ্লোবাল ডিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে এ আহবান জানান তিনি। সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন লো ফেভেন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে ও দেশের বাইরে সকল ক্ষেত্রে অভিন্ন দায়িত্বশীলতা হিসাবে ব্যবসাকে যদি গণ্য করা হয় তাহলে আমরা আরও লাভবান হব।’
উন্নয়নকে ‘যৌথ উদ্যোগ’ হিসাবে বর্ণনা করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে পারস্পরিক সমৃদ্ধ সংলাপের সুযোগ দিতে একটি বলিষ্ঠ প্রক্রিয়া উদ্ভাবনের আহবান জানান।
তিনি বলেন, ‘সরকার, মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে উৎপাদনশীল সম্পর্ক উন্নয়নের পূর্ব শর্ত, এটি একটি যৌথ উদ্যোগ এবং এ ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক, শর্তানুগ ও যত্নবান হতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটি সমন্বিত ও সক্ষমতার সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য গ্লোবাল ডিল ইনিশিয়েটিভ অংশীদারদের মধ্যে সংলাপের উৎসাহ জোগাবে। এজন্য স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে পারস্পরিক সংলাপ জোরদারে বলিষ্ঠ উদ্যোগ নিতে হবে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সরকার অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার পথ অনুসরণ করছে, যাতে কেউ পিছিয়ে না থাকে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে জনগণের মর্যাদা, নিরাপত্তা ও সুরক্ষা আমাদের রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে সকল উন্নয়ন প্রচেষ্টায় জনগণকে কেন্দ্রে স্থান দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তৈরি পোশাক কারখানা এবং অন্যান্য শিল্প কর্মসংস্থান ক্ষমতায়ন এবং অর্থনৈতিক মুক্তির ক্ষেত্রে অবদান রাখছে।
তিনি বলেন, একটি উন্নত শিল্প সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন-২০১৩ করা হয়েছে এবং এটি আরও শ্রমিক বান্ধব করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি পূর্বের চেয়ে ৭৭ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা শ্রম পরিদর্শন কৌশল অবলম্বন এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর শক্তিশালী করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার শিল্প সংগঠন ট্রেড ইউনিয়ন, কারখানা ব্যবস্থাপনা ও শ্রমিকদের সচেতনতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রতি গুরুত্ব দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের শিল্প, নিয়োগকর্তা এবং শ্রমিকদের আরো উন্নত ভবিষ্যতের জন্য সকল উন্নয়ন সহযোগী ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বিশ্বব্যাপী একটি সাপ্লাই চেইন পরিচালনা করছি.. উৎপাদক, খুচরা বিক্রেতা, ভোক্তা সকলকেই ব্যবসায়িক অগ্রগতি এবং শ্রম অধিকার রক্ষার ব্যাপারে দায়িত্বশীল হওয়া প্রয়োজন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, শ্র ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. দীপু মনি এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম জিয়াউদ্দিন এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূস: নির্বিঘ্নে সব জায়গায় পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “এবার দুর্গাপূজারবিস্তারিত পড়ুন
সোমবারের বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার
এক কোটিরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাস করেনবিস্তারিত পড়ুন
১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৬৪ কোটি ডলার
এ মাসের প্রথম ১৪ দিনে এসেছে ১৬৪ কোটি ৬৭ লাখবিস্তারিত পড়ুন