ভবিষ্যতের এই মোটর সাইকেল আপনার ঘরকেও আলোকিত করবে
মোটর সাইকেলটির নাম জোহাম্মার জে ওয়ান। এটি এক অনন্য যান।
চেক সীমান্তের কাছাকাছি ছোট্ট একটি অস্ট্রিয়ান কারখানায় এটির ডিজাইন ও নির্মাণ করা হয়। এর স্বাতন্ত্র্যসূচক আকৃতি একে দেখতে একটি দানবীয় চীনাবাদামের মতো করেছে। দেখতে সম্ভ্রান্ত কোনো ব্যক্তির প্রাইভেট বিমান বা রেসের ঘোড়ার মতো। এর নজরকাড়া ডিজাইন দেখে একে গ্যারেজে না রেখে বরং বেডরুমে রাখতে ইচ্ছে হবে।
জোহাম্মার ই-মোবিলিটি জিএমবিএইচ এর প্রতিষ্ঠাতা জোহান হ্যামারস্মিড বলেন, “এটা ঘোড়ার বাহনের ধারণায় প্রাকৃতিক প্রত্যাবর্তন। কারণ আগে মোটর সাইকেল থেকে গোলমাল এবং বায়ুদূষণ সৃষ্টি হতো। কিন্তু এটি বৈদ্যুতিক শক্তিচালিত হওয়ায় এখন আর তা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ”
২০১৪ সালের শেষদিকে মোটরসাইকেলটি বাজারে ছাড়া হয়। ইউরোপজুড়ে এখন ৬০টি জোহাম্মার ঝড় তুলে চলছে। এটিই প্রথম ইলেকট্রিক মোটর সাইকেল যেটির ব্যাটারি মাত্র একবার চার্জ করার মাধ্যমেই টানা ৩০০ কিলোমিটার ভ্রমণ করা সম্ভব। এরপরে যা আসবে তা হয়তো আরো বিপ্লবী হবে।
পরবর্তী প্রজন্মের ইলেকট্রিক মোটর সাইকেলটি এখন নির্মাণাধীন রয়েছে। সৌর শক্তিচালিত ওই মোটর সাইকেলটি পার্কিং করা অবস্থায় আপনার ঘরের সোলার প্যানেলগুলোর ব্যাটারিকে দ্বিগুন শক্তিশালি করবে। এর একটি নমুনা ইতিমধ্যেই সুইজারল্যান্ডে ব্যবহৃতদ হচ্ছে।
এর অর্থায়নের জন্য এখন একটি গণতহবিল সংগ্রহ অভিযান চলছে। হ্যামারস্মিড বলেন, “পরিবর্তনের গতি হবে আমাদের ধারণার চেয়েও অনেক দ্রুততর”।
৫৬ বছর বয়সী হ্যামারস্মিড একটি বৈদ্যুতিক যান বানানোর কথা ভাবেন ২০০৭ সালে। এরপর প্রতি সাপ্তাহিক ছুটিতে তিনি প্রকল্পটি নিয়ে কাজ করতেন। তার আরেকটি কম্পানি নর্ডফেলস জিএমবিএইচ এর জটিল প্রকৌশল সমস্যাগুলোর সমাধান করেছেন। মাত্র ৪০ জনেরও কম লোকের একটি দল নিয়ে এটি খাদ্য, ওষুধ এবং খামার শিল্পের কারখানা লাইন স্থাপন করেছে। তাদের সর্বশেষ মেশিনটি ঘন্টায় ৫ হাজার স্যান্ডউইচ সেঁকে।
বাইকটির সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘন্টায় ৭৫ কিলোমিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে।
একেত কিছু অভিনব প্রকৌশল চমক রাখা হয়েছে। এতে কোনো ড্যাশবোর্ড নেই। এর পরিবর্তে বরং রিয়ারভিউ মিররে তথ্যগুলো দেখানো হয়। এর ইঞ্জিনের থ্রটলটি উল্টো করে ঘুরালে ড্রাইভ মোটরটিকে একটি জেনারেটরে রুপান্তরিত করে যা ব্রেক হিসেবে কাজ করে এবং দ্রুত গতি কমিয়ে আনে। এটা এতটাই দক্ষ যে, ডিস্ক ব্রেকটি ধীরলয়ে গতি কমিয়ে আনার কাজে সহায়তা করে। আর পার্কিংয়ের জন্য এতে একটি রিভার্স গিয়ার রয়েছে।
জে ওয়ান এর দুটি সংস্করণ পাওয়া যায়। শীর্ষেরটি হলো জেওয়ান.২০০ যার মূল্য ২৫,০০০ ইউরো বা ২৬,৭৫০ মার্কিন ডলার। এটি দুর্গম এলাকায় ১২৫ কিলোমিটার আর শহুরে এলাকায় ১৮৬ মাইল পথ অতিক্রমে সক্ষম। একটি মানসম্পন্ন হার্লি-ডেভিডসন স্পোর্টসস্টার এর চেয়েও বেশি দূরত্ব অতিক্রমে সক্ষম এটি। আর মাত্র ৮০ মিনিটেই পুরোপুরি রিচার্জ হয় এটি। আর শুধু গ্যাস স্টেশনেই নয় বরং বাড়ি, কর্মস্থল, শপিং মল, পার্কিং গ্যারেজ সবখানেই এটি চার্জ করা যাবে। পরিবহনের ক্ষেত্রে সত্যিই এক যুগান্তকারী বিপ্লব ঘটিয়ে দেবে এই মোটর সাইকেল।
সূত্র: ব্লুমবার্গ
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন