ভাত-মাছ ছাড়াই ৪০ বছর!
ভাত-মাছ ছাড়া বাঙালি, এ এক অবিশ্বাস্য উপাখ্যান। চাই বা না চাই মাছে-ভাতে বাঙালির খ্যাতি বয়ে বেড়াতেই হয়। নিখাঁদ বাঙালি, জন্ম কৃষকের ঘরে, অথচ জীবনে ছুঁয়ে দেখেনি ভাত-মাছ, এমন খবরে বিস্ময়ে হতবাক হতেই হয়। এমন বিরল একজন মানিকগঞ্জের চর গড়পাড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন। তিনি পেশায় চা বিক্রেতা।
কৃষক রহম আলী বেপারীর ৪০ বছর বয়সী সন্তান দেলোয়ার জন্মের পর থেকে আজ পর্যন্ত একমুঠো ভাতও মুখে তোলেননি। ভাত খাবার কথা ভুলেও মাথায় আনেননি। ইচ্ছেও হয়নি। দেলোয়ার আজও জানেন না ভাত-মাছের স্বাদ কেমন। শুধু ভাত আর মাছই নয়, চাল দিয়ে তৈরি কোনও খাবারই খান না তিনি।
মা টগরজান বেগম জানান, দেলোয়ার জন্মের পর থেকে ৯-১০ মাস বুকের দুধ খেয়েছে। ভাত খাওয়ানোর অনেক চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু সেটা কোন ভাবেই খাওয়ানো সম্ভব হয়নি। ভাত সে মুখেই নিত না। জোর করে দিলেও বমি করে ফেলে দিত। এভাবে দু বছর চেষ্টা করেছি, পারিনি কিন্তু একদিন রুটি দিয়েছিলাম, সেটা সে অনায়াসে খেয়ে নিয়েছিল। যখন দেখলাম ভাত খায় না তখন তাকে আর জোর না করে রুটিই খেতে দিতাম।
বাড়ির সবাই ভেবেছিলেন বিয়ে শাদি করলে হয়তো দেলোয়ারের এই অভ্যাস পাল্টে যাবে। শাশুড়ি যখন মেয়ের জামাইকে আদর করে খেতে দেবেন, তখন হয়তো না খেয়ে পারবে না। কিন্তু বিয়ের অনুষ্ঠানে ভাত মাছে ঠিকই বাধ সাধল দেলোয়ার। অবশেষে তার জন্য আলাদা ব্যবস্থাই করতে হলো শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে।
জন্ম থেকেই ভাত-মাছের সাথে যার আড়ি সেই দেলোয়ার জানান, ভাত-মাছ খাওয়ার কথা স্বপ্নেও কখনো ভাবি না। ভাতের কথা শুনলে আমার দম বন্ধ হয়ে আসে। শুধু ভাত না, চালের তৈরি কোনও খাবারও আজ খাইনি।
কেন তিনি ভাত-মাছ খান না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, কেন যে খেতে ইচ্ছে করে না আসলে এর কারণ আমি জানি না। তবে খেতে ইচ্ছে করে না। রুটি খেতে ভালো লাগে। তিনবেলাই রুটি খাই।
দেলোয়ার কেন ভাত-মাছ খেতে পারেন না, এর সঠিক কারণ চিকিৎসকরাও জানাতে পারেননি;
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানিকগঞ্জে হুমকি দিয়ে মন্দিরের মাটি কেটে রাস্তা নির্মাণ
প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে কালী মন্দিরের জায়গার মাটি কেটে রাস্তা নির্মাণেরবিস্তারিত পড়ুন
মানিকগঞ্জে গলায় ফাঁস দিয়ে কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা
ফারিয়া আলম কাজল নামের এক কলেজ ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। নিহতবিস্তারিত পড়ুন
মানিকগঞ্জে কলেজছাত্রীর লাশ উদ্ধার
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে সাবরিনা আক্তার বন্যা (১৯) নামে এক কলেজছাত্রীর লাশবিস্তারিত পড়ুন