ভারতের বিচিত্র ৯ প্রকার বিবাহ
প্রাচীন ভারতে এমন অনেক প্রথাই সিদ্ধ ছিল, যা আজকের দিনে ভাবতে বসলে তাজ্জব হয়ে যেতে হয়। আর্য সমাজ ছিল সদাপ্রসরমাণ এক সমাজ। এদেশের জনজাতির সঙ্গে আর্যদের বৈবাহিক সম্পর্ক এক সময়ে নৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়ায়। চতুর্বর্ণে বিভাজিত সমাজের ‘শুদ্ধতা’ বেশিদিন রক্ষা করা যায়নি। বিবাহ নামক প্রতিষ্ঠানটিকে নিয়েও ভাবনা-চিন্তা করতে শুরু করেন আর্য শাস্ত্রকাররা। বিভিন্ন প্রকার বিবাহকে স্বীকৃতি দিতে থাকেন তাঁরা। বলাই বাহুল্য, এই স্বীকৃতিগুলি ছিল একান্তভাবেই পরিবর্তনশীল এক সমাজের প্রয়োজনে। এই স্বীকৃতিগুলি না ঘটলে আর্য সমাজের টিকে থাকাই অসম্ভব ছিল বলে মনে করেন সুকুমারী ভট্টাচার্য বা দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের মতো সমাজ-দার্শনিকরা।
প্রাচীন স্মৃতিশাস্ত্রগুলি থেকে সবমিলিয়ে ৯ প্রকার বিবাহের উল্লেখ পাওয়া যায়। নীচে রইল এদের বর্ণনা।
১. অনুলোম-প্রতিলোম বিবাহ: যাকে আজকের চলতি ভাষায় ‘ইন্টার কাস্ট ম্যারেজ’ বলে, সেই ব্যাপারটাকেই স্বীকৃতি দিয়েছিলেন ঋষিরা। উচ্চবর্ণের পুরুষ তথাকথিত নিম্নবর্ণের নারীর পাণিগ্রহণ করলে তাকে ‘অনুলোম’ বিবাহ বলা হতো। আর পাত্র যদি নিম্নবর্ণ থেকে আগত হন এবং পাত্রী হন উচ্চবর্ণজাতা, তাহলে সেই বিবাহকে ‘প্রতিলোম’ বলা হতো।
২. ব্রহ্ম বিবাহ: এই বিবাহে পাত্রের পিতা কন্যার পরিবারে উপস্থিত হয়ে তার পিতার অনুমতি প্রাথর্না করেন। এই বিবাহকেই সর্বোৎকৃষ্ট বিবাহ বলে মনে করতেন আর্য ঋষিরা।
৩. দৈব বিবাহ: এমন বিবাহে কন্যার পিতা দীর্ঘ সন্ধানের পরে কোনও সঠিক ঋত্বিকের হাতে কন্যাকে সম্প্রদান করেন। ঋত্বিকও যথাবিহিত যজ্ঞের দ্বারা কন্যার পাণিগ্রহণ করেন।
৪. আর্ষ বিবাহ: এমন বিবাহে বরপণ দেওয়া হয়। সেযুগে বরপণ হিসেবে সাধারণত গরু দান করা হত।
৫. প্রজাপত্য বিবাহ: যে বিবাহে কন্যার পিতা আশীর্বাদপূর্বক কন্যাকে পাত্রস্থ করেন, তা-ই প্রজাপাত্য। ব্রহ্ম বিবাহে যেমন পাত্রসন্ধান সেভাবে হয় না, এখানে সেটা জরুরি।
৬. গান্ধর্ব বিবাহ: প্রেমজ বিবাহ। পাত্র ও পাত্রীর সম্মতিই যথেষ্ট। পিতা-মাতার সম্মতিও এমন বিবাহে নিষ্প্রয়োজন। তবে তা থাকলে ক্ষতি নেই।
৭. অসুর বিবাহ: যে বিবাহে কন্যাপণ নেওয়া হয়, তাকেই অসুর বিবাহ বলে।
৮. রাক্ষস বিবাহ: কন্যার আত্মীয়দের হত্যা বা জখম করে কন্যাকে বলপূর্বক হরণ করে বিবাহ। এমন বিবাহ অনেক সময়ে যুদ্ধেও গড়াত।
৯. পিশাচ বিবাহ: ঘুমন্ত, নেশাগ্রস্ত, অথবা উন্মাদদশাগ্রস্ত কন্যাকে বলপূর্বক বিবাহের নাম পিশাচ বিবাহ।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন

এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন

৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন