ভিক্ষুকের কাছে হার মানল প্রকৌশলীরা!
আমরা যখন কোন মানুষকে ভিক্ষা করতে দেখি তখন আমাদের তাদের নিমজ্জিত মুখ দেখে অনেক কষ্ট হয়। আমাদের মনে তাদের জন্য দুঃখের অনুভূতি জন্মায়। আমরা তাদের যতটুকু পাড়ি সাহায্য করার চেষ্টা করি।
অনেকে চিন্তা করেন দুই, চার, পাঁচ, দশ টাকা দিয়ে তারা কীভাবে জীবিকা নির্বাহ করবেন। কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকেই একজন স্নাতক অর্জন করা পেশাজীবীর চেয়ে বেশি উপার্জন করেন। সম্প্রতি ভারতের পাঁচজন ভিক্ষুকের জীবনী থেকে এরকম কাহিনীর দেখা মিলেছে। এখানে তাদের মধ্যে ধনী পাঁচ ভিখারির কথা আলোচনা করা হল-
১. ভারত জেইন:
ভারত জেইন ভারতের ধনী ভিক্ষুকদের তালিকায় প্রথম ব্যক্তি। ৪৯ বছর বয়সী এই ভিক্ষুক লাখ টাকার মালিক হবার পরও তার ভিক্ষাবৃত্তি অব্যাহত রেখেছেন। তার আয়ের প্রধান এলাকা মুম্বাই এর পারেল অঞ্চল। জনাকীর্ণ এই শহরে মানুষ যেখানে একটি রক্ষিত জায়গায় থাকার জন্য ক্ষুধিত, সেখানে তার ৭০ লাখ টাকার দুটি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। তিনি অনেক সকাল থেকে মাঝ রাত পর্যন্ত চাকরী করেন যাতে করে তিনি মাসে ৭৫,০০০ টাকার বেশি উপার্জন করতে পারেন।
এছাড়াও তার একটি দোকান রয়েছে যা তিনি ভাড়া দিয়ে রাখেন এবং মাসিক ভাড়া হিসেবে সেখান থেকে ১০,০০০ টাকা সংগ্রহ করেন। তাঁর পরিবারের বিভিন্ন সদস্যরা বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।
২. কৃষ্ণা কুমার জিৎ:
দ্বিতীয় অবস্থানে অধিষ্ঠিত কৃষ্ণ কুমার জিৎ আরেকজন আশ্চর্যজনক শিশু ভিখারী উদ্যোক্তা। তার প্রতিদিনের রোজগারের জন্য প্রিয় স্পট হল মুম্বাইয়ের চারনি রোডের সিপি ট্যাঙ্কের কাছাকাছি। এখানে তিনি প্রতিদিন প্রায় ১৫০০ থেকে ২৫০০ টাকা আয় করেন। তিনি তার ভাইয়ের সাথে নাল্লাস্পারাতে বসবাস করেন। সেখানে তার নিজস্ব ফ্ল্যাট আছে। তার সব টাকা তার ভাইয়ের দ্বারা পরিচালিত হয়। তার সকল টাকা কি করা হচ্ছে তা একটি রহস্য।
৩. সাম্ভাজি কেল:
সর্বোৎকৃষ্ট ভিখারীদের প্রতিযোগিতায় সাম্ভাজি কেলও কম নন। তিনি তাঁর পরিবারের চারজন সদস্যের সকল দায়িত্ব পালন করার জন্য ভিক্ষা করেন। তিনি মুম্বাইয়ের খার অনভলে ভিক্ষাবৃত্তি করে প্রতিদিন ১০০০ থেকে ১৫০০ তারা আয় করেন। ভিরার প্লাসে তার নিজস্ব ফ্ল্যাট থাকার পাশাপাশি দুটি অতিরিক্ত ঘর এবং সোলাপুরে জমির একটি ছোট টুকরা আছে। এখনও তার প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকার সঙ্গে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছে।
৪. সারভাটিয়া দেবী:
বর্তমানে আমরা সকল ক্যারিয়ারে নারী এবং পুরুষের সমতা দেখতে পাই, তাহলে আর এই ক্যারিয়ারে কেন নয়? সারভাটিয়া দেবী নামে একজন মহিলা ভিক্ষুক ভিক্ষা করে যথেষ্ট বেশী আয় করে ভারতের পাটনায় একটি ঘর নির্মাণ করেছেন। উপরন্তু তিনি বার্ষিক বিমার প্রিমিয়াম বাবদ ৩৬,০০০ টাকা প্রদান করেন। তিনি তার আয়ের মাধ্যমে মেয়ের বিয়ে পরিচালিত করতেও সক্ষম হয়েছেন। তিনি ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন ও সারা দেশে ভ্রমণও করেছেন। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, বিনা মূল্যে ট্রেন ভ্রমণ করতে সে অনেক মজা পেয়েছেন। তিনি যেকোনো ট্রেনে উঠে তার নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানো পর্যন্ত ভিক্ষা করতে থাকেন।
৫. লক্ষ্মী দাস:
বিপুল ব্যাংক ব্যালেন্সসহ লক্ষ্মী দাস কলকাতার একজন ধনী ভিক্ষুক। তিনি তার ১৬ বছর বয়স থেকে ভিক্ষা শুরু করেছিলেন। তিনি সারাজীবন ভিখা করে কাটিয়েছেন যেন সে তার অবসর ভালভাবে উৎযাপন করতে পারেন। বর্তমানে তার বয়স ৫০ বছর এবং হয়ত এটা তার অবসর সময়।–সূত্র: স্টোরিয়ো।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
চা কন্যা খায়রুন ইতিহাস গড়লেন
চা শ্রমিকদের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে সব মহলেই পরিচিত হবিগঞ্জেরবিস্তারিত পড়ুন
চার্জ গঠন বাতিল চেয়ে রিট করবেন ড. ইউনূস
শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড.বিস্তারিত পড়ুন
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন