ভূমধ্যসাগরে আবারো নৌকাডুবি, নিখোঁজ শতাধিক

ভূমধ্যসাগরের লিবিয়া উপকূলে শতাধিক অভিবাসন প্রত্যার্শীকে নিয়ে আবারো নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছে। নৌকা ডুবির পর থেকে প্রায় একশ’ জন অভিবাসন প্রত্যার্শী নিখোঁজ রয়েছেন। ইতালিয়ান কোস্টগার্ড জানায়, আটটি মরদেহ এবং চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে।
নিখোঁজদের উদ্ধারের দায়িত্বে থাকা কোস্টগার্ড সদস্যদের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, অন্ধাকার নামলে উদ্ধার অভিযান আরও কঠিন হয়ে যাবে। এখনো কয়েক ডজন মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।
লিবিয়ার সমুদ্র উপকূল থেকে ৩০ মাইল দূরে লিবিয়া-ইতালির মধ্যবর্তী স্থানে নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছে। ফ্রান্সের নৌবাহিনীর একটি জাহাজ ও দুটি নৌযান উদ্ধারে অংশ নিয়েছে। ডুবে যাওয়া নৌকায় থাকা যাত্রীরা কোন দেশের নাগরিক সেই সম্পর্কে এখনো স্পষ্ট করে কিছুই জানা যায়নি।
২০১৫ সালের শেষার্ধ থেকে উন্নত জীবন গড়ায় আশায় ইউরোপ অভিমুখে শরণার্থীদের ঢল বাড়ছে। অবৈধ উপায়ে ইউরোপে যাওয়ার জন্য সমুদ্র পাড়ি দেয়া একই সঙ্গে জনপ্রিয় এবং বিপজ্জনক। মূল যুদ্ধবিধ্বস্ত এবং আফ্রিকার দরিদ্র দেশগুলোর নাগরিকরা অবৈধ উপায়ে ঝুঁকিপূর্ন এই পথ পাড়ি দিচ্ছে।গত শুক্রবার ইতালিয়ান কোস্ট গার্ড ৫৫০জন অভিবাসন প্রত্যার্শীকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেয়ার সময় উদ্ধার করেছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর- এর হিসাবে জানা যায়, চলতি বছরের প্রথম দুই সপ্তাহে কমপক্ষে এক হাজার অবৈধ অভিবাসী সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশ করেছে। শতাধিক যাত্রী নিয়ে নৌকাডুবির আগে পর্যন্ত এবছরে মৃত কিংবা নিখোঁজের সংখ্যা ছিল ১১জন। শুধুমাত্র ২০১৬ সালেই বিপজ্জনক উপায়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে মৃত্যু হয় পাঁচ হাজারের বেশি অভিবাসন প্রত্যার্শীর। ইউরোপে যাত্রাকালে এটি এ যাবতকালের সর্বাধিক মৃত্যুর সংখ্যা। সংস্থাটি জানায় মানব পাচারকারী চক্রকে ধরতে না পারার কারণেই অবৈধ উপায়ে সমুদ্র পাড়ি দেয়ার হার কমছে না।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাসের সবাইকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত
ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত ক্রমেই উদ্বেগজনক রূপ নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতেবিস্তারিত পড়ুন

সংঘাতের মাঝেও তেহরানের বায়ুমান ঢাকার চেয়ে ভালো
সোমবার রাত থেকেই দফায় দফায় কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়।বিস্তারিত পড়ুন

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেবিস্তারিত পড়ুন