বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ওডিআই
ভয়ের নাম লেগ স্পিন
আদিল থেকে খান। নামের শেষাংশ বদলেছে কিন্তু ‘রশিদ’ শব্দের ভয়টা থেকে যাচ্ছে। আফগানিস্তান সিরিজে রশিদ খানের ঘূর্ণিতে নাকানিচুবানির পর এখন সামনে আদিল রশিদ। প্রথম ম্যাচে যিনি ৪৯ রানে চার উইকেট নেন।
বাংলাদেশের কন্ডিশনে বরাবর স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকেন। ইংল্যান্ড সেভাবে প্রস্তুত হয়ে লম্বা সফরের জন্য চার স্পিনার নিয়ে ঢাকার বিমান ধরে। আর বাংলাদেশ ‘ঘরের চাহিদা’ই বুঝতে পারলো না। আব্দুর রাজ্জাকের মতো স্পিনারকে ‘অবহেলা’ করে, জুবায়েরের মতো তরুণকে দলে না রেখে মোশাররফ হোসেন রুবেলে মজেছেন নির্বাচকরা। অগত্যা মাঠে ভরসা বলতে ওই সাকিব আল হাসান।
এসব তো আছেই। ঘরোয়া ক্রিকেটে লেগ স্পিনারদের অবজ্ঞা করতে করতে ব্যাটসম্যানরা এখন লেগ স্পিন খেলা কেমন যেন ভুলেই গেছেন।
হাথুরুসিংহে বাংলাদেশে আসার পর লেগ স্পিন নিয়ে বেশ চিন্তাভাবনা শুরু করেন। জুবায়েরকে তুলেও আনেন। কিন্তু নির্বাচকরা নাকি বরাবরই তার ব্যাপারে উদাসীন। ক্লাব কর্মকর্তাদেরও এই রোগে ধরেছে। তারা কোনোভাবেই লেগ স্পিনারদের খেলাতে চান না।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৭ রানে জয় পায় বাংলাদেশ। ওই ম্যাচের অন্যতম সেরা বোলারের নাম বলতে হলে অতিথিদের তরুণ লেগ স্পিনার রশিদ খানের কথা বলতেই হবে। ৩৭ রানের বিনিময়ে দুই উইকেট নেন তিনি। গোটা ম্যাচে গুগলি আর টার্ন দিয়ে সাকিব-সাব্বিরদের বিভ্রান্ত করেন। রিয়াদ রান পেলেও রশিদ খানকে খেলতে দারুণ বিপাকে পড়তে দেখা যায় তাকে। তামিম ইকবালেরও ছিল একই অবস্থা। মুশফিক তো তার হাতেই ক্লিন বোল্ড। নিজের সর্বশেষ চারটি ইনিংসেই তিনি লেগ স্পিনারের হাতে কাটা পড়েছেন! সাব্বির শেষ দিকে গুগলি পড়তেই পারছিলেন না। শেষ পর্যন্ত তাসকিনের সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হন মি. খান। ইকোনমি রেট তাসকিনের চেয়ে অনেক কম, ৩.৭০।
শুক্রবারের ম্যাচে আদিল কী করেছেন, সেটা একটু স্মরণ করা যাক। ভিত গড়ার আশায় রিয়াদ যখন দেখে দেখে খেলছেন, ঠিক তখন দৃশ্যপটে লেগস্পিন নিয়ে হাজির ওই আদিল। এরপর মুশফিককেও বিদায় করেন তিনি। শতক হাঁকানো ইমরুল যখন শেষ ভরসা হয়ে ম্যাচ টানছেন, তখন চালাকি ওয়াইডে স্ট্যাম্পিংয়ের জাল বিছান। ইমরুল ডাউন দ্য উইকেটে এসেছিলেন। রশিদ বুঝতে পেরে বাইরে ডেলিভারি দেন।
শেষদিকে অধিনায়ক মাশরাফিকে নিয়ে গড়া আশার বসতি ভেঙে দেন ওই আদিল। ম্যাশের শরীরী ভাষা দেখে বোঝাই গেছে লেগস্পিন খেলতে মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলেন তিনি। কিন্তু কুলিয়ে উঠতে পারেননি। আগে থেকে ফ্রন্টফুটে যাননি। বল পিচ করার পর ব্যাকফুটে রুম করে লেটকাট করতে যেয়ে লাইন মিস করেন। ঘূর্ণি বল কানায় লেগে চলে যায় কিপারের হাতে।
সেই সঙ্গে ম্যাচটাও!
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন