মডেল থেকে ফার্স্ট লেডি
আরেকটি মার্কিন নির্বাচন-আরেকজন প্রেসিডেন্ট-আরেকজন ফার্স্ট লেডি; যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি নির্বাচনেই প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি কে হচ্ছেন ফার্স্ট লেডি এ নিয়ে বিশ্ববাসীর কৌতুহলের কমতি থাকে না। এবার যেমন হোয়াইট হাউজ ফার্স্ট লেডি হিসেবে পেয়েছে মেলানিয়া ট্রাম্পকে। যার আজকের এই অবস্থানের পেছনে রয়েছে স্লোভেনিয়ার উঠতি ফ্যাশান ডিজাইনার থেকে রাতারাতি মডেল হয়ে ওঠার গল্প। সব শেষে অভিবাসী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে পা রাখা এবং ১০ বছরের অভিবাসন প্রক্রিয়া শেষে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব লাভ।
বিশ্বের বাঘা-বাঘা গণমাধ্যমের জনমত জরিপসহ সকল হিসেব উল্টে দিয়ে বিজয়ের মুকুট মাথায় তুলেছেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদ প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। পেছনে ফেলেছেন ডেমোক্রেট হেভিওয়েট প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটনকে। নির্বাচনের ডামাডোল শেষে এখন আগ্রহ ফার্স্ট লেডির দিকে।
কে এই মেলানিয়া ট্রাম্প:
১৮ শতকের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি ফার্স্ট লেডিরাও চলে এসেছেন লাইম-লাইটে। রাখছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি থেকে সামাজিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। যদিও এ বিষয়ে লিখিত কোনো রীতি বা আইন নেই।
মেলানিয়ার জন্ম যুগোস্লোভিয়ায়, যা বর্তমানে স্লোভেনিয়া নামে পরিচিত। স্লোভেনিয়ার শেভানিকারের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। জন্মের পর ১৬ বছর পর্যন্ত শৈশব-কৈশর কাটিয়ে যৌবনের প্রারম্ভেই পা রাখেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে। অভিবাসী হিসেবে ১০ বছরের আইনি প্রক্রিয়া শেষে নাগরিকত্ব পান যুক্তরাষ্ট্রের।
শুরুতে মেলানিয়ার স্বপ্ন ছিলো ফ্যাশান ডিজাইনার হওয়া। এরই মধ্যে নজরে পড়েন ফ্যাশান ফটোগ্রাফর স্টেইন জের্কোর। তার পরেরটা মেলানিয়ার মডেল হয়ে ওঠার গল্প। ১৬ বছর বয়সে মডেলিংয়ে নাম লেখালেও শুরুটা মূলত ১৮তে এসে। ইতালির মিলানে।
ওই সময়টাতেই বিশ্বের প্রভাবশালী কয়েকটি ম্যাগাজিনের কাভারে জায়গা করে নেন মেলানিয়া। এর মধ্যে রয়েছে হারপার্স বাজার, ভ্যানিটি ফেয়ার মতো ম্যাগাজিন। তবে ব্রিটিশ ম্যাগাজিন জিকিউ এর কাভারে জন্য অর্ধনগ্ন অবস্থায় আবেদনময়ী পোজ দিয়ে আলোচনায় আসেন।
তার আরেকটি গুনের মধ্যে রয়েছে বিশ্বের পাঁচটি ভাষায় সমান দক্ষতা। একই সঙ্গে স্লোভেনিয়া, সার্বীয়, ইংলিশ, ফ্রেন্স এবং জার্মান।
ট্রাম্পের সঙ্গে মেলানিয়ার প্রথম দেখা এবং বিয়ে: ট্রাম্পের সঙ্গে মেলানিয়ার প্রথম দেখা ১৯৯৮ সালের সেপ্টেম্বরে একটি ফ্যাশান উইক পার্টিতে। এ সময়েই ট্রাম্পের সঙ্গে তার দ্বিতীয় স্ত্রী মার্লার বিচ্ছেদ হয়। দীর্ঘ ৬ বছরের পরিণয় শেষে ট্রাম্পের সঙ্গে তার বিয়ে হয় ২০০৪ সালে। ওই বছরের শেষে দিকেই আয়োজন করা হয় বিবাহত্তর সংবর্ধনা।
মেলানিয়ার ওয়েডিং ড্রেসের মূল্য ছিলো ৮০ লক্ষ টাকার মতো। ওই অনুষ্ঠানে বিল ক্লিনটন-হিলারি ক্লিনটন থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রে অধিকাংশ প্রভাবশালী ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিয়ের দু’বছরের মাথা ট্রাম্প-মেলানিয়ার ঘর আলো করে জন্ম নেয় পুত্র সন্তান ব্যারন। নির্বাচনকালীন সময়ে যাকে শ্যুট-টাই পরা অবস্থায় বাবায় সঙ্গে দেখা গেছে। ব্যারনের ভালোবাসার জায়গাটিও বাবা। সব সময় ভালোবাসে বাবার সঙ্গে গল্ফ খেলতে।
অভিবাসী থেকে ফার্স্ট লেডি:
১৮৭ বছর পর হোয়াট হাউজ পেলো এমন একজন ফাস্ট লেডি যার জন্ম কিনা যুক্তরাষ্ট্রে নয়। ১৯৭০ সালে জন্মগ্রহণ করা মেলানিয়া ২০০১ সালে গ্রীন কার্ড পান। ২০০৬ সালে ট্রাম্পের সঙ্গে বিয়ের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ নাগরিকত্ব পান।
কমিউনিস্ট শাসিত দেশে বেড়ে উঠলেও যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের ‘মর্নিং ইন আমেরিকা’ ভাষণ শুনে এদেশের প্রতি আগ্রহ তৈরি হওয়ার কথা জানান তিনি।
মেলানিয়ার বিতর্কে জড়িয়ে পড়া: নির্বাচনের আগে বিভিন্ন জনসভার বক্তব্যে মিশেল ওবামান নকল করার বিতর্কে বিভিন্ন মহলে সমালোচিত হন তিনি। এরপর নির্বাচনী প্রচারণাকালীন সময়ে মেলানিয়ার কিছু নগ্ন ও অর্ধনগ্ন ছবি অনলাইনে ভাইরাল হলে আবারও আলোচনায় এলে আসেন সাবেক এ মডেল।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন