মধ্যপ্রদেশে তদন্তে এসে পরস্পরের মূত্রপানে বাধ্য করল পুলিশ
নিরুদ্দেশ গৃহবধূকে খুঁজে বের করতে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকদের ওপর অমানুষিক অত্যাচার করল পুলিশ। অভিযোগ, জেরার সময় পরিবারের সদস্যদের পরস্পরের মূত্রপান করতে বাধ্য করা হয়।
মধ্যপ্রদেশের সেহোর জেলার সিঙ্গারচাউরি গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে বছর তিনেক আগে বিয়ে হয় পাট্টান গ্রামের এক যুবতীর। ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে শ্বশুরবাড়ি থেকে নিখোঁজ হন সেই গৃহবধূ। পরিবারের পক্ষ থেকে সিদ্দিগঞ্জ থানায় সেই ঘটনার কথা জানিয়ে জিডি করা হয়। অন্যদিকে, ওই যুবতী নিখোঁজ হওয়ার জন্য তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকদের বিরুদ্ধে ভোপাল হাইকোর্টে অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর ভাই। আদালতের নির্দেশে তদন্তে নেমে ওই বাড়ি থেকে নিখোঁজ বধূর শ্বশুর, শাশুড়ি, স্বামী এবং চার নাবালককে পুলিশ আশটা থানায় নিয়ে যায়। সেখানে ১৫ দিন তাঁদের আটকে রেখে জেরা করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন নিখোঁজ বধূর শাশুড়ি, ৪০ বছরের নারী। হলফনামা পেশ করে তিনি জানিয়েছেন, পরিবারের সদস্যদের থেকে কথা আদায় করতে থানায় তাঁদের পরস্পরের মূত্রপান করতে বাধ্য করা হয়।
অভিযোগের কপি মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, রাজ্য পুলিশের ডিজিপি আর কে শুক্লা, রাজ্য মানবাধিকার কমিশন, রাজ্য নারী কমিশন এবং স্থানীয় পুলিশ সুপারকে পাঠিয়েছেন ওই নারী।
এদিকে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর ভোপালে নিখোঁজ যুবতীকে দেখতে পান তাঁর বাবা-মা। পরের দিনই পুলিশি অত্যাচারের কথা জানিয়ে ২৮ সেপ্টেম্বর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। তবে সেই অভিযোগ পেয়েও পুলিশ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে তাঁর দাবি।
স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা জি পি আগরওয়াল অবশ্য জানিয়েছেন, ‘তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই নারী এর আগেও একই অভিযোগ করেছিলেন, কিন্তু পরে দেখা গেছে ওঁর দাবি মিথ্যা।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন