মঙ্গলবার, এপ্রিল ২২, ২০২৫

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

মধ্যরাতে জ্বিনের বাদশার ফোন

গত ১০ আগস্ট মধ্যরাত, চারদিকে নীরবতা, হঠাৎই একটি ফোন কল আসে যাত্রাবাড়ির ওবায়দুর রহমান খান মাসুদের স্ত্রী শিরিনা আক্তারের কাছে।এরপর নিজেকে জ্বিনের বাদশা পরিচয় দিয়ে বলে, তর বিপদ, মহাবিপদ। আর এই আসন্ন বিপদ থেকে মুক্তি পেতে চাহিদামতো টাকা দাবী করে জ্বিনের বাদশা । শুধু একবার নয়, একাধিকবার জ্বিনের বাদশার চাহিদামতো টাকা দেন শিরিনা আক্তার । মোট ৮টি বিকাশ নাম্বার ব্যবহার করে মোট ২২ লাখ ৮১ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় জ্বিনের বাদশা।

নিজের আসন্ন বিপদ থেকে মুক্তি পেতে চাহিদামতো টাকা জ্বিনের বাদশাকে তুলে দিয়ে মুক্তির পথ খোঁজেন নিরীহ মানুষগুলো। একবিংশ শতকের এ সময়েও এভাবেই অসংখ্য মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে জ্বিনের বাদশা পরিচয়ের এই প্রতারক চক্র।

রবিবার সিআইডি সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সিআইডির ডেপুটি ইনিসপেক্টর জেনারেল রওশন আরা বেগম।

এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ি থানায় ২৫ আগস্ট একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি নিয়ে তদন্তে নামে ক্রিমানাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট(সিআইডি)। তদন্তের ধারাবাহিকতায় প্রতারত ৪ জ্বিনের বাদশাকে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থেকে ২১ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন আশরাফুল মন্ডল(৩৫), মাফুজ গেবু(১৮), আবু জাহিদ সিদ্দীকি ওরফে জাহিদ(৩৩) ও তাহাজ উদ্দিন।

সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, শুধু ৪ জনই নয়, এ ধরনের প্রতারণার সঙ্গে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের আরও অনেকে জড়িত। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কিছু প্রভাবশালী মানুষের সম্পৃক্ততার কথাও তারা জানতে পেরেছেন। একইসঙ্গে তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে মদদদাতাদের নাম প্রকাশ করতে চাইছেন না বলে জানান সিআইডি কর্মকর্তারা।

জানা যায়, প্রতারণার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় তারা নারীদের বেছে নেয়। তাদের ভয়ভীতি দেখায়। পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কে আগে থেকেই খোঁজ নেয়। এরপর স্বামী বা স্ত্রীর পরকীয়া, সন্তানদের আসন্ন সমস্যার কথা জানিয়ে গভীর রাতে ফোন দেয়। ফোনে একটা ভয়ের আবহ ‍তৈরি করে ভুক্তভোগীকে মানসিকভাবে দুর্বল করে তোলে। এরপর সুযোগ বুঝে টাকা দাবি করে। বিকাশে টাকা লেনদেনের পাশাপাশি কোনও কোনও ক্ষেত্রে নিজেরা নির্ধারিত স্থান থেকে এসেও নিয়ে যায়।

সিআইডির ডেপুটি ইনস্পেক্টর জেনারেল রওশন আরা বেগম জানান, প্রতারকরা টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য কমপক্ষে ২৭টি ক্যাটাগরিতে অপরাধ করে থাকে। দরবেশ বাবা বা জ্বিনের বাদশা হচ্ছে এগুলোর মধ্যে একটি। এ জাতীয় প্রায় সব ধরনের অপরাধ নিয়ে সিআইডি কাজ করে যাচ্ছে।

মোবাইলের মাধ্যমে সংগঠিত অপরাধগুলো সহজেই চিহ্নিত করা সম্ভব হচ্ছে বলে জানান তিনি। রওশনা আরা বলেন, এ ধরনের আরও অনেকগুলো মামলা আমাদের হাতে রয়েছে। সেগুলোর তদন্ত চলছে। আমরা সরাসরি কোনও ঘটনা নিয়ে কাজ করি না। প্রথমে থানায় মামলা হয়। তাদের লজিস্টিক সাপোর্ট না থাকলে আমাদের কাছে টেকওভার করা হয়। তখনই আমরা ঘটনার তদন্তে নামি।

অচিরেই আরও বেশ কিছু প্রতারককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হবেন বলে জানান তিনি।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা

পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন

এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?

এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন

৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন

১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

  • লজ্জায় লাল হয়ে যায় পাখিও
  • দুই হাতের হৃদয়রেখা মিলে গেলে কি হয় জানেন?
  • ৩২১ থেকে ওজন কমিয়ে ৮৫!
  • রং নম্বরে প্রেম, বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি ঝলসে যাওয়া মুখ
  • পানিতে ভেসে উঠলো অলৌকিক হাত!
  • ১৫ বছরে একবার ফোটে ‘মৃত্যুর ফুল’
  • চা বিক্রেতা এখন ৩৯৯ কোটি টাকার মালিক
  • একটি মাছের বিষে মারা যেতে পারে ৩০ জন
  • মোবাইল কিনতে ছয় সপ্তাহের শিশুকে বিক্রি
  • পরকীয়ায় জড়াচ্ছে নারীরা প্রধান যে তিনটি কারণ নেপথ্যে
  • ২৪০০ কেজি খিচুড়ি রান্না হয় যেখানে দৈনিক !
  • পরীক্ষায় ফেল করলেই বিবাহ বিচ্ছেদ