মঙ্গলবার, নভেম্বর ২৬, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

ময়মনসিংহ নারী কনস্টেবলকে ধর্ষণ করেছিলেন এক এসআই!

চলতি মাসের ২ তারিখে ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর থানার ব্যারাকে গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন পুলিশের কনস্টেবল হালিমা বেগম। কেন তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন, এতদিন তা রহস্যই ছিল। তবে হালিমার রেখে যাওয়ার ডায়েরির পাতায় অবশেষে সেই রহস্যের জট খোলার পথ দেখাচ্ছে।

ডায়েরির পাতায় হালিমা লিখে গেছেন সহকর্মী এক সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) তাকে ধর্ষণ করেছিল। এর রেশ ধরেই তিনি আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন।

হালিমা বেগমের এই ডায়েরি খবর স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে প্রকাশ করেছেন তার বাবা হেলাল উদ্দিন আকন্দ।

তিনি বলেছেন, ‘ওর (হালিমা) মৃত্যুর পর পাঁচ দিনের মাথায় আমরা যখন ওর মালপত্র আনতে যাই, তখন সেখানে লাগেজের মধ্যে ঐ ডায়েরি ও দুই কপি কাগজ পেয়েছি”।

তিনি জানিয়েছেন, হালিমা বেগম ডায়েরিতে লিখেছেন তাকে তার এক সহকর্মী, একই থানার একজন সাব-ইন্সপেক্টর ধর্ষণ করেছেন।

হেলাল উদ্দিন আকন্দ আরো বলেছেন, ‘কিভাবে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে, সেটিও সে লিখেছে। তাকে বলা হয়েছিলোইয়াবা বিক্রি করে এরকম এক মেয়ে আসামি ধরার জন্য মহিলা পুলিশ লাগবে। তাই বলে আমার মেয়েকে নিয়ে যায় মিজান। তারপর এই ঘটনা।’

পুলিশের কর্মকর্তারা ঐ এসআইকে মোহাম্মদ মিজানুল ইসলাম নামে চিহ্নিত করেছেন।

হালিমা বেগম তার ডায়েরিতে আরো লিখে গেছেন, তিনি যখন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে অভিযোগ নিয়ে যান, সেটি তিনি (ওসি) গ্রহণ করেননি।

তবে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘আমার কাছে সে ধর্ষণের অভিযোগ করেনি। উল্টো মিজান আমার কাছে অভিযোগ করেছে যে হালিমা তাকে ব্ল্যাকমেইল করছিলো। এ কথা (হালিমার অভিযোগ তিনি আমলে নেননি) পুরো অসত্য।

এ ঘটনায় হালিমার বাবা বাদী হয়ে ঐ এসআই’র বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। এসআই মিজানুল বর্তমানে কারাগারে আছেন বলে জানিয়েছেন ওসি দেলোয়ার আহমেদ।

হালিমার অভিযোগ প্রসঙ্গে নারী পুলিশদের জন্য গঠিত বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্কের সভাপতি ও পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক মিলি বিশ্বাস বলছেন, ‘তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে আমরা ওয়াকিবহাল আছি। ভিকটিমের বাবা হেলাল উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ পূর্বক তদন্তের অগ্রগতিতে সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে।’

পুলিশ বিভাগে সাধারণত নারী সদস্যরা কী ধরনের অভিযোগ করেন বা কী পরিমাণে অভিযোগ তারা পান, সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেছেন, ‘সাধারণত পুলিশের নারী সদস্যগণ তাদের প্রশাসনিক সমস্যার কথাই বেশি উল্লেখ করেন। অভিযোগের মাত্রা আসলে খুব বেশি নয়, মোটামুটি সহনীয় পর্যায়ে আছে। বিষয়টি আসলে অভ্যন্তরীণ এবং গোপনীয়।’

এর চেয়ে বিস্তারিতভাবে তিনি আর কিছু বলতে চাননি।

গত বছর শেষ দিকে কমনওয়েলথ হিউম্যান রাইটস ইনিশিয়েটিভ নামে একটি সংস্থার গবেষণায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে পুলিশ বিভাগে কর্মরত নারী সদস্যদের মধ্যে ১০ ভাগের বেশি সদস্য যৌন হয়রানির শিকার হন।

সূত্র : বিবিসি বাংলার সৌজন্যে

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে

ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন

আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন

নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী সংগঠকবিস্তারিত পড়ুন

  • কুড়িগ্রামে ভয়াবহ বন্যায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দী
  • সিলেটে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত
  • চালু হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত হাট
  • রায়পুরায়  বিএনপির প্রায় ১০০ নেতা কর্মী আ’লীগে যোগদান
  • সিলেটে ৯ ঘণ্টা পর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
  • সকাল থেকে ঢাকায় বৃষ্টি
  • রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুই নারীর আত্মহত্যা
  • ছুটি শেষে কর্মচঞ্চল আখাউড়া স্থলবন্দর
  • নোয়াখালীতে অস্ত্র ঠেকিয়ে কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ
  • নান্দাইলে চাচাতো ভাইয়ের হাতে চাচাতো ভাই খুন
  • সিলেট বিভাগের বন্যা ভয়ঙ্কর রুপ নিচ্ছে
  • সবুজবাগে পরিবেশমন্ত্রীর সেলাই মেশিন বিতরণ