মসজিদের মাইকে আবেগঘন আকুতি, ‘গুলি থামান, আমরা জানাযার নামাজ পড়তে চাই’
ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ সেক্টরে গত সপ্তাহে বেশ কয়েকবার অস্ত্রবিরতির লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। তবে নিয়ন্ত্রণ রেখায় (লাইন অব কন্ট্রোল) এসব সহিংসতায় সামরিক-বেসামরিক মানুষের মৃত্যুর ঘটনার মধ্যেই এই শুক্রবার একজন কিশোরের দাফন উপলক্ষে অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটল।
সোমবার ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানায়, শুক্রবার নিয়ন্ত্রণ রেখায় পাকিস্তানের ওপার থেকে ছোড়া গুলিতে ১৬ বছরের কিশোর তানভির নিহত হন। পরিবারের সদস্যরা নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন নুরকোট গ্রামের নিজ বাড়িতে তানভিরের লাশ দাফন করার সিদ্ধান্ত নেয়। পাকিস্তানি সেনাদের পক্ষ থেকে থেমে থেমে গুলিবর্ষণের মধ্যেই তারা তানভিরের বাড়ির পথে রওনা করে। কিন্তু গুলিবর্ষণের হার তীব্রতর হলে তারা আর সামনে এগুতে পারছিল না। পরে গুলি বন্ধ করতে স্থানীয় একটি মসজিদ থেকে আবেগঘন আকুতি জানিয়ে গুলি বন্ধ করতে বলা হয়।
জম্মু ও কাশ্মির রাজ্যসভার সদস্য জাহাঙ্গির মীরের দাবি, মসজিদের মাইকে বলা হয়, ‘আপনাদের গুলিতে একজন মানুষ মারা গেছে। গুলি থামান। আমরা জানাযার নামাজ পড়তে চাই।’ পরে গুলি বন্ধ হলে তানভিরের নামাজে জানাযা ও দাফন অনুষ্ঠিত হয়।
নতুন করে গুলিবর্ষণ শুরু হওয়ায় নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন গ্রামগুলির বাসিন্দাদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা নিরাপদ জায়গায় সরে পড়তে শুরু করেছে। মাছিল সেক্টরে তিন সেনা নিহতের ঘটনায় ভারতীয় সেনাবাহিনী পাল্টা জবাব দেয়ার পর তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় পরিস্থিতি শান্ত ছিল। কিন্তু পাকিস্তানের দিক থেকে ফের অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন শুরু হয়েছে বলে এনডিটিভির ভাষ্য।
সীমান্তবর্তী এক গ্রামের বাসিন্দা সুনিল কুমার বলেন, সেখানে প্রচণ্ড ভীতি বিরাজ করছে। একই জায়গায় দুই থেকে তিনটি বোমা ফেলা হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষ এবং গবাদি পশু হতাহত হচ্ছে। লোকজন পুরোপুরি সন্ত্রস্ত অবস্থায় দিন পার করছেন।
গত দুই দিনে পাকিস্তান দুইবার অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করে উস্কানিমূলকভাবে গুলি করেছে। পুলিশ বলেছে, রোববার পাকিস্তান থেকে তিন জায়গায় ভারতীয় অবস্থান লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ ও গুলি করা হয়।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ভারতীয় সেনা বাহিনীও গোলাবর্ষণ ও গুলি করে পাল্টা জবাব দিয়েছে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গোলাবর্ষণ ও গুলি করা হয়। জম্মু ও কাশ্মীরের আন্তর্জাতিক সীমন্ত ও নিয়ন্ত্রণরেখায় ২০০৩ সালে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে অস্ত্রবিরতি চলছে।
গত ২৮-২৯ ডিসেম্বর পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনী সার্জিক্যাল হামলা চালানোর দাবি করার পর থেকে অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করে হামলার ঘটনা ঘটছে। অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করে এ পর্যন্ত তিনশতাধিক বার গোলাবর্ষণ ও গুলির ঘটনা ঘটে। এতে ১৪ জন ভারতীয় সেনাসহ ২৭ জন নিহত হয়েছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন