ঢাকায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় দ্বিতীয় জানাজা শেষে সাংসদ মনজুরুল ইসলামের (লিটন) লাশ গাইবান্ধায় তাঁর গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাদ আছর তাঁকে দাফন করা হবে।

আজ সোমবার বেলা একটার পরে তাঁর লাশ হেলিকপ্টারযোগে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙা রেলস্টেশন সংলগ্ন ফাঁকা জমিতে নামানো হয়। এরপর অ্যাম্বুলেন্সে করে লাশ সর্বানন্দ ইউনিয়নের সাহাবাজে নিজের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তৃতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে সাংসদকে দাফন করা হবে।

সাংসদের গ্রামের বাড়িতে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সকাল ১০টার পরে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সাংসদের দ্বিতীয় জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। তাঁর মরদেহে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে সাংসদের মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তাঁর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল সরোয়ার হোসেন।

রানাএরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রদ্ধা জানান। প্রধানমন্ত্রীর পরে সাংসদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, মাহবুব উল আলম হানিফ ও অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সাংসদকে কারা, কেন হত্যা করেছে, এ বিষয়ে এখনো অন্ধকারে পুলিশ। তবে ঘটনার পর থেকেই জেলা আওয়ামী লীগ এ ঘটনায় জামায়াতে ইসলামীকে দায়ী করছে। পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে ১৮ জনকে আটক করেছে। তাঁরাও জামায়াত-শিবিরের স্থানীয় নেতা-কর্মী বা সমর্থক বলে জানা গেছে।

রানাসুন্দরগঞ্জের শিশু শাহাদাত হোসেন সৌরভকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার মামলার আসামি ছিলেন সাংসদ মনজুরুল। তিনি জামিনে ছিলেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগে সাংসদবিরোধী একটি পক্ষ সক্রিয় হয়েছিল। এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, রাজনীতিতে বিরোধ থাকবেই। তবে মনজুরুলের সঙ্গে দলের কারও এমন বিরোধ ছিল না যে তাঁকে খুন করাতে হবে।