মাটি খুঁড়লেই দামি দামি গুপ্তধন!
মাটি খুঁড়লেই পাওয়া যাচ্ছে দামি দামি গুপ্তধন! গুপ্তধন পাওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে সেখানকার মানুষ। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কেউ আবাদি জমি কেউবা রোপণকৃত ধানের জমি খনন করেই চলেছে। পাচ্ছেন দামি দামি সব গুপ্তধন। নওগাঁর পোরশায় তিন বছর ধরে চলছে মাটি খনন। পোরশা উপজেলার নিতপুর ইউনিয়নের পশ্চিম রঘুনাথপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার পুনর্ভবা নদীর পুব পাড়ের প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে চলছে গুপ্তধন পাওয়ার প্রতিযোগিতা। কেউ নিজের জমিতে আবার কেউ অন্যের জমি টাকার বিনিময়ে চুক্তিভিত্তিক কিনে খনন করেই চলেছেন। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় পাঁচ বছর আগে পশ্চিম রঘুনাথপুর জেলেপাড়ার বৃদ্ধ আবদুল কাদের বেশ কয়েকটি ক্ষুদ্র পাথর পান। পাথরের মাঝখানে ছোট ছিদ্র ছিল। পাথরগুলো দেখতে তসবির মতো। যেগুলো মুসল্লিরা ইবাদতে কাজে লাগান। তিনি তখন তার গ্রামের মসজিদে আজান দিতেন। তিনি পাথরগুলো পাওয়ার পর কখনই চিন্তা করেননি যে সেগুলো মূল্যবান। তিনি তাদের মসজিদে ইবাদতের কাজে লাগানোর জন্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাথরগুলো দিয়ে তসবি তৈরি করেন এবং ইবাদত করেন। কয়েক মাস পর কোনো এক লোক ওই মসজিদে নামাজ পড়ে তসবিটি দেখে তার পছন্দ হয়েছে বলে বৃদ্ধ আবদুল কাদেরকে জানান। বৃদ্ধ দিতে না চাইলে সেটি তিনি কিনে নেয়ার প্রস্তাব দেন। পরে ৫০০ টাকার বিনিময়ে ওই লোকের কাছে বিক্রি করেন তিনি। এরপর বৃদ্ধ কাদেরের মনে সন্দেহ হয় সেটি নিশ্চয়ই মূল্যবান পাথর। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকার লোকজন শুরু করেন মাটি খনন। সেই থেকে প্রতিদিন সকাল হলেই স্থানীয়রা যে যার মতো কোদাল ও খুনতি দিয়ে মাটি খনন করেই চলেছেন। পাচ্ছেন মূল্যবান সব জিনিসপত্র। প্রায় ৪ থেকে ৫ ফুট নিচে মাটি খনন করলেই পাওয়া যাচ্ছে পয়সা, তাবিজ, তসবিহ, কলম, মার্বেল, চাকি, ঢোল, জালি পোটল, বোতামসহ মূল্যবান জিনিসপত্র। এসব জিনিস লাল, কালো, সাদা, সবুজসহ একেকটির একেক রং। এসব মূল্যবান পাথরের জিনিস পাওয়া মাত্র বিক্রি করে দেন স্থানীয়রা। সর্বনিন্ম যে পাথরটি তার দাম বর্তমানে ৬০ টাকা আর সব চেয়ে ভালোটির দাম ৬০ হাজার টাকা। বর্তমানে এ রকম দামেই বিক্রি হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা। সেখানকার জমি মালিকদের মধ্যে যাদের বাড়ি দূরে তারা টাকার বিনিময়ে চুক্তিভিত্তিক জমি বিক্রি করছেন। কিনছেন স্থানীয়রাও। স্থানীয়দের ধারণা, এখান থেকে হিন্দুরা চলে যাওয়ার সময় তাদের মূল্যবান জিনিসপত্রগুলো তারা নিয়ে যেতে পারেননি। পরে তাদের ঘরবাড়ি ও মন্দিরগুলো ভেঙে মাটির নিচে চাপা পড়ে। সেই মূল্যবান জিনিসগুলো এখন বের হচ্ছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নওগাঁয় পুলিশের গুলিতে দুইজন নিহত
নওগাঁর মান্দায় পুলিশের গুলিতে দুইজন নিহত ও দুইজন আহত হয়েছেন।বিস্তারিত পড়ুন
এ দুর্ভোগের শেষ কোথায় ?
নাজমুল হক নাহিদ,আত্রাই (নওগাঁ) থেকে: এ দুর্ভোগের শেষ কোথায়, আরবিস্তারিত পড়ুন
আত্রাইয়ে ৩ গ্রামের মানুষের নদী পারাপারে নৌকায় একমাত্র ভরসা
নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) থেকেঃ নওগাঁর আত্রাইয়ে একটি ব্রিজেরবিস্তারিত পড়ুন