মাত্র ২৮ দিন বয়সে মারামারি ও চুরি, মামলায় চার্জশিট

রাজধানী ঢাকায় মারামারি ও চুরির অভিযোগে ১০ মাসের একটি শিশুর বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। ঘটনার সময় তার বয়স ছিল মাত্র ২৮ দিন।
গত ৩০ এপ্রিল ঢাকার আদালতে হাজির হয়ে জামিন নিতে হয় শিশুটিকে। খবর বিবিসি বাংলা’র।
এমনকি ওই মামলায় একজন মৃত ব্যক্তির নামেও চার্জশিট দেয়া হয়েছে, যিনি ২০১৩ সালেই মারা গেছেন।
এসব বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তলব করেন আদালত। মঙ্গলবার তার হাজিরের দিন ছিল। তবে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আদালতে হাজির হতে সময় চেয়ে আবেদন করেছেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) মিরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মারুফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘মামলার বাদী রুবেলের নাম উল্লেখ করে এজাহারে বলেছে যে, তার বয়স ৩০ বছর। কিন্তু পলাতক থাকায় আমি তো আর আসামিদের দেখতে পারিনি, তাই সেভাবেই চার্জশিট দেয়া হয়েছে।’
তদন্তে আসামিদের সত্যিকার বিবরণ বেরিয়ে আসার কথার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কোনো জবাব দিতে পারেননি এই পুলিশ কর্মকর্তা।
মামলাটির কোনো পক্ষের প্ররোচণায় ঠিকভাবে তদন্ত না করেই চার্জশিট দেয়া হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নে মারুফুল বলেন, ‘আমি তদন্ত করেছি। আসলে সেখানে একটু ভুলভ্রান্তি হয়ে গেছে।’
মিরপুর থানায় দায়ের করা এজাহারে মামলার বাদী হাবিবুর রহমান অভিযোগ করেন, ২০১৬ সালের ২৬ জুন মধ্য পাইকপাড়ায় তার জমি দখল করতে আসে ২৩ জন আসামি। তারা তার দোচালা ঘরের টিন ভেঙে ফেলেন এবং সোনার চেইন ও নগদ টাকা চুরি করেন।
এজাহারে তিনি কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেন, যাদের মধ্যে আবুল কাশেম এবং রুবেল ও তুষার নামে তার দুই ছেলের উল্লেখ রয়েছে। মামলায় রুবেলের বয়স ৩০ বছর লেখা হলেও, শিশুটির বয়স এখন মাত্র ১০ মাস।
বাচ্চার পক্ষের আইনজীবী শফিকুল ইসলাম জানান, ৯ মার্চ মামলাটির চার্জশিট দেয়া হয়। সেখানেই আমরা প্রথম দেখতে পাই, যে একটি শিশু আর একজন মৃত ব্যক্তিকে এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ৩০ এপ্রিল শুনানির সময় আদালতের নজরে আনা হলে আদালত তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তলব করেন আর রুবেলকে জামিন দেন।
আদালত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, পাইকপাড়ার একটি জমির মালিকানা নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে পুরনো বিরোধ রয়েছে। তার জের ধরে গত বছরের ২৬ জুন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ২৩ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়।
মামলার বাদী হাবিবুর রহমান বলেন, ‘যখন আমি মামলা করি, তখন এতো লোকজন ছিল আর তারা বলেছে- অমুকের বিরুদ্ধে মামলা দেন, অমুকে হামলা করেছে। তখন পুলিশও ছিল। আমি সবাইকে চিনি না।’
তিনি বলেন, ‘তারা যাদের নাম বলেছে, সেসব নাম দিয়েছি। তার মধ্যে কিভাবে এই শিশুর নাম এলো আর কিভাবে মৃত ব্যক্তির নাম ঢুকল তা আমি জানি না।’
মামলার বাদী জানান, চার্জশিটের ব্যাপারে তার কিছু জানা নেই। পুলিশ তদন্ত করে এই চার্জশিট দিয়েছে।
মিরপুর থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে যে ভুল হয়েছে, তাতে সন্দেহ নেই। কেন এই শিশুর বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হয়েছে তার ব্যাখ্যা এসআই মারুফ দেবেন।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ব্যাংকক থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদবিস্তারিত পড়ুন

বিশ্বকবির ম্যুরাল থেকে কালি মুছে দিল উপজেলা প্রশাসন
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরালে কালি দিয়ে মুখবিস্তারিত পড়ুন

ফখরুল: ইউনূস–মোদির বৈঠক আশার আলো দেখাচ্ছে
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন