মানুষ ও পশুপাখির একই চিকিৎসক, দেখুন..(ভিডিও সহ)

হোমিওপ্যাথির সঙ্গে আয়ুর্বেদের জ্ঞানকে মিলিয়ে চিকিৎসক দেবব্রত অল্প দিনেই মসিহা। মানুষ ও পশু-পাখির একজনই চিকিৎসক। তা-ও আবার হোমিওপ্যাথি। ভাবছেন তা আবার হয় নাকি? চিকিৎসাশাস্ত্রের সর্বকালের রীতিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিব্যি নিজের পসার জমিয়ে বসেছেন বাঁকুড়ার বেগুয়াসোল গ্রামের দেবব্রত মাহাতো।
নিজেকে কোনও হাতুড়ে চিকিৎসক মানতে নারাজ তিনি। রীতিমতো পড়াশোনা করে একইসঙ্গে মানুষ, গরু, ছাগল, মোষ, এমনকী পাখির চিকিৎসাতেও হাত পাকিয়েছেন চিকিৎসক দেবব্রত। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর তো বটেই, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডের একাংশের মানুষও তাঁকে মসিহা বলেই মানেন।
শুরুটা অবশ্য দেবব্রত মাহাতোর বাবা রমানাথ মাহাতো করেছিলেন। স্থানীয় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক হিসাবে তাঁর নামডাক ছিল বেশ ভালই। মানুষের চিকিৎসা করতে করতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে পশুপাখির চিকিৎসা নিয়ে গবেষণা চালিয়েছিলেন তিনি। সাফল্যও মিলেছিল। একসময়ে গরুর লেজ গলে যাওয়া রোগ এলাকায় মহামারীর আকার নিলে রমানাথ মাহাতোর হোমিওপ্যথি ওষুধ অব্যর্থ কাজ করে। তার পরে শুরু হয়ে যায় মানুষের পাশাপাশি গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগীর চিকিৎসাও।
বাবা মারা যাওয়ার পরে সেই চিকিৎসা শুরু করেন একমাত্র ছেলে দেবব্রত মাহাতো। বাবার কাছ থেকে শেখার পাশাপাশি পটনা থেকে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় স্নাতক ডিগ্রি ও ভোপাল থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি করে রীতিমতো জাঁকিয়ে প্র্যাকটিস শুরু করেন তিনি। হোমিওপ্যাথির সঙ্গে আয়ুর্বেদের জ্ঞানকে মিলিয়ে চিকিৎসক দেবব্রত অল্প দিনেই বাবার পসারকে আরও ছড়িয়ে দেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে, এমনকী ভিন রাজ্যেও।
নিজের চেম্বারে রোগী দেখার পাশাপাশি কল পেলে রোগীর বাড়িতে গিয়েও রোগী দেখেন চিকিৎসক দেবব্রত। তাঁর চিকিৎসায় অগাধ বিশ্বাস এলাকার মানুষের।
সমালোচকরা যাই বলুক না কেন, আপাতত সে বিষয়ে নির্বিকার জঙ্গল মহলের মসিহা দেবব্রত।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাসের সবাইকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত
ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত ক্রমেই উদ্বেগজনক রূপ নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতেবিস্তারিত পড়ুন

সংঘাতের মাঝেও তেহরানের বায়ুমান ঢাকার চেয়ে ভালো
সোমবার রাত থেকেই দফায় দফায় কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়।বিস্তারিত পড়ুন

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেবিস্তারিত পড়ুন