”মায়ের কাছে যাবে, কবরে মোবাইল দিয়ে আস, আমি মায়ের সাথে কথা বলব”

‘কবরে মোবাইল দিয়ে আস। আমি মায়ের সাথে কথা বলব। মায়ের কবরে একটু খাবার দিয়ে আস। মা না খেয়ে আছে।’
আট বছরের শিশু সজিব এখনো কাঁদছে মা সূর্য বেগম আমিনার জন্য। আজ বুধবারও শুকায়নি সজিবের চোখের পানি। মা হারানোর শোকে ভুলে যায় নিজেও মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে সজিব। গত শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে অ্যাম্বুলেন্স চাপায় নিহত হন সজিবের মা সূর্য বেগম আমিনা। তিনি ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ওই দুর্ঘটনায় সজিবও গুরুতর আহত হয়। সূর্য বেগম ওই দুর্ঘটনায় আরো তিনজন নিহত হয়।
কয়েক মাস আগে নারায়ণগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন সজিবের বাবা জাকির হোসেন। আহত জাকিরের দেখাশোনা করার জন্যই সূর্য বেগম ও জাকির হাসপাতালে আসা যাওয়া করতেন। সেদিন জাকিরের রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা করার জন্যই রাস্তায় নেমেছিলেন মা ও ছেলে।
জাকির হোসেন বলেন, ‘সজিবকে আমি বলেছি, ওর মা মারা গেছে। এরপর থেকেই ও বলছে, মায়ের কাছে যাবে, মায়ের সঙ্গে কথা বলবে। সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য সজিবের নানি মাঝেমধ্যে বলছেন, ওর মা ঝিনাইদহের মহেশপুর হাসপাতালে আছে।’
যে যাই বোঝাক, সজিব তার মাকে আশপাশে পাচ্ছে না। সময় যত যাচ্ছে, ততই সজিবের মনে পড়ছে মায়ের কথা। জাকির হোসেনকে অস্ত্রোপচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। চোখে পানি নিয়েই বাবার বিছানায় বসে ছিল শিশু সজিব।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

যুদ্ধবিরতির ‘খুব কাছাকাছি’ হামাস-ইসরায়েল
ইরান-ইসরায়েলের “১২ দিনের যুদ্ধ” থেমেছে, কিন্তু ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার মানুষেরবিস্তারিত পড়ুন

টাঙ্গুয়ার হাওড়ে ঘুরতে গিয়ে গাঁজা সেবন, ৫ পর্যটকের কারাদণ্ড-অর্থদণ্ড
সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওড়ে ঘুরতে গিয়ে গাঁজা সেবন করে উচ্ছৃঙ্খল আচরণবিস্তারিত পড়ুন

ঝিনাইদহে আদালত চত্বরে মামলার স্বাক্ষীকে মারধর
ঝিনাইদহে আদালত চত্বরে চাঁদাবাজির মামলার স্বাক্ষীকে হত্যার হুমকি ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন