মায়ের প্রতি শিক্ষার্থীদের শ্রদ্ধাবোধ, ভালবাসা
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে সারিবদ্ধ চেয়ারে বসে আছেন মমতাময়ী মায়েরা। মাইকে ঘোষণা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছাত্র-ছাত্রীরা নিজ নিজ মায়ের দুই পা পানি দিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে-মুছে দিলো।
সোমবার নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি মহাবিদ্যালয়ে এ দৃশ্য দেখা যায়। মায়ের প্রতি শিক্ষার্থীদের শ্রদ্ধাবোধ, ভালবাসা ও যত্নশীল হওয়ার মানসিকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এ ধরনের ভিন্নধর্মী কর্মসূচির আয়োজন করে মহাবিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে মহাবিদ্যালয়ের আড়াইশ শিক্ষার্থী নিজ নিজ মায়ের দুই পা পানি দিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে মুছে দেয়। পরবর্তীতে তাদের মায়ের মুখে খাবার তুলেও দেয় শিক্ষার্থীরা।
এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মায়েদের প্রতিষ্ঠানে আসতে আমন্ত্রণ জানানো হয়। প্রতিষ্ঠান থেকে আমন্ত্রণ পেয়ে প্রায় প্রতিটি শিক্ষার্থীর মা যথাসময়ে উপস্থিত হন মহাবিদ্যালয়ে।
কর্মসূচির শুরুতেই মহাবিদ্যালয় চত্বরে অধ্যক্ষ ড. শাহ্ মো. আমির আলী আজাদ তার গর্ভধারিনী মা মোছা. আমিনা খাতুনের দুই পা পানি দিয়ে নিজ হাতে ধুয়ে পরিষ্কার করে তোয়ালে দিয়ে মুছে দিয়ে কর্মসূচির শুভ সূচনা করেন।
পরে মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা মাঠে কয়েকটি সারিতে চেয়ারে বসা নিজ নিজ মায়ের পা পানি দিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে মুছে দেয়।
পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা তাদের মায়েদের মুখে মহাবিদ্যালয়ের দেয়া খাবারও তুলে দেয়। এ সময় মায়েরা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। অনেক মা ও সন্তান অঝোরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় কর্মসূচির তদারকির দায়িত্বে সেখানে উপস্থিত মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও তাদের চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি।
এর আগে মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ড. শাহ মো. আমির আলী আজাদ মায়ের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, ভালবাসার ও যত্মশীল হওয়ার লক্ষ্যে ওই কর্মসূচির উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য তুলে ধরেন। পরে সেখানে ব্যতিক্রমধর্মী কর্মসূচির বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশ নেন মহাবিদ্যালয়রে সহকারী অধ্যাপক মো. আবুল কালাম আজাদ, সহকারী প্রধান শিক্ষিকা সৈয়দা ফরিদা বানু, সহকারী শিক্ষক আ. ত . ম রেজাউল কবীর, সাংবাদিক এম আর আলম ঝন্টু, মো. আমিরুজ্জামান প্রমুখ।
পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষিকা ইসরাত জেরিন।
এ কর্মসূচি আয়োজনের বিষয়ে সৈয়দপুর সরকারি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ড. শাহ্ মো. আমির আলী আজাদ বলেন, মূলত প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীর মাঝে তাদের বাবা-মায়ের প্রতি যত্নশীল হওয়ার চেতনা জাগ্রত করতে এ ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এখন থেকে প্রতি বছর একটি নির্দিষ্ট দিনে এ ধরনের কর্মসূচি পালন করা হবে। যাতে করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মা-বাবার প্রতি বেশি বেশি ভালবাসা, শ্রদ্ধাবোধ এবং যত্নশীল হওয়ার মানসিকতা সৃষ্টি হয়। সূত্র: জাগোনিউজ
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
এইচএসসির ফল প্রকাশ মঙ্গলবার, জানা যাবে যেভাবে
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করাবিস্তারিত পড়ুন
বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নতবিস্তারিত পড়ুন
ঢাবি বন্ধের সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে ধন্যবাদ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হল ছেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদেরবিস্তারিত পড়ুন