সৌদি আরবে থাকাকালীন ফেসবুকে পরিচয় হয় এক নারীর সঙ্গে। ধীরে ধীরে তা প্রেমের দিকে গড়ায়। তারপর দেশে ফিরে সাক্ষাৎ হয় ওই নারীর মেয়ের সঙ্গে। তাদের মধ্যেও তৈরি হয় প্রেমের সম্পর্ক। অর্থাৎ মা ও মেয়ের একই প্রেমিক। মেয়ে প্রেমিকের নাম নিজের হাতে খোদাই করে নিয়েছিলো। আর সেটা দেখে সহ্য করতে না পেরেই ঈর্ষাবশত মেয়েকে খুন করেন মা। অবশ্য নিজের দোষ ঢাকতে মেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে সবাইকে জানিয়েছিলেন মা।

সম্প্রতি ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের ফজিলকা জেলায় মঞ্জু নামে এক নারীর নামে এমনই অভিযোগ উঠেছে। আর অভিযুক্ত ওই মা এবং প্রেমিক যুবককে প্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশের বরাত দিয়ে করা জিনিউজের খবরে জানা গেছে, অভিযুক্ত নারীর সঙ্গে ছয় মাস আগে ফেসবুকে আলাপ হয় প্রেমিক যুবক বিজয়ের। সৌদি আরবের বাসিন্দা ওই যুবক যে বহুদিন ধরেই তার নিজের মেয়েরই প্রেমিক ছিলেন সেটা জানতেন না ওই মা। এদিকে আলাপের দুই মাস পরই দেশে ফেরেন চন্ডিগড়ের বাসিন্দা ওই যুবক। এরপর সামনাসামনি দেখা হয় ওই নারী ও তার মেয়ের সঙ্গে। এরপর দুজনের সঙ্গেই ওই যুবকের দৈহিক সম্পর্ক তৈরি হয়। একদিন মেয়ের সঙ্গে ওই যুবককে ‘বিশেষ মুহূর্তে’ দেখে ফেলেন মা। কিন্তু মেয়েকে ওই যুবকের সঙ্গে নিজের সম্পর্কের বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি তিনি। সম্প্রতি মেয়ের হাতে ওই যুবকের নাম লেখা দেখে নিজেকে আর সামলাতে পারেননি মা। খাবারে বিষ মিশিয়ে মেয়েকে খুন করেন তিনি।

এরপর ঘটনাটি চাপা দিতে মেয়ের নামে একটি সুইসাইড নোট লিখে বিষয়টি আত্মহত্যা বলে চালাতে চান ওই মা। পুলিশ জানিয়েছে, ওই নোটটি উদ্ধারের পর মায়ের বিষয়ে সন্দেহ হয় তাদের। পরে অনুসন্ধানে পুরো ঘটনাটি সামনে আসে। এ ছাড়া নিজের মেয়েকে হত্যাকারী ‘মা’ও পুরো ঘটনা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।