মঙ্গলবার, নভেম্বর ১৯, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

মিরপুরের ওই বাসাটি বোমা তৈরির কারখানা ছিল

গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ অভিযানে উদঘাটন করা মিরপুরের ওই বাসাটি ছিল জেএমবির বোমা তৈরির কারখানা। সারা দেশে জেএমবি সদস্যদের বোমা সরবরাহ করতেই চার মাস আগে ওই বাসাটি ভাড়া নেয় তারা। স্থানীয় কলেজের ছাত্র পরিচয়ে ভাড়া নেওয়া হয় বাসাটি।

বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, যারা বাসাটি ভাড়া নেয়, তাদের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। এরা বয়সে তরুণ। এদেরকে সহজেই মানসিকভাবে উগ্রবাদী করে তোলা যায়। জেএমবি নেতা সাজিদের অনুসারীরা এ কাজটি সহজেই করতে পেরেছে।

জেএমবি মূলত দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে কাজ করে থাকে। একটি ভাগ অপারেশনের কাজ করে। অন্যটি বোমাসহ অন্যান্য বিস্ফোরক দ্রব্য তৈরি ও তা সরবরাহ করে। মিরপুরের অভিযানে উদ্ধারকৃত বোমা ও আটককৃত জেএমবির সদস্যরা বোমা তৈরির কাজ করত। এরা অপারেশনের কাজ করে না। ইতিপূর্বে যাদের ধরা হয়েছে তারা মূলত বিভিন্ন জায়গায় নাশকতা চালানোর কাজ করেছিল।

হোসেনি দালানে বোমা হামলা, আশুলিয়ায় ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে পুলিশ সদস্য হত্যা, দিনাজপুরের কান্তজিউর মন্দির ও ইসকন মন্দিরে হামলা, রংপুরে জাপানি নাগরিককে কুপিয়ে হত্যাসহ বিভিন্ন জায়গায় হামলা করেছে জেএমবির অপারেশনাল সদস্যরাই।

মিরপুর ১ নম্বর গোল চত্বর হয়ে শাহ আলী মাজারের কাছে মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের ডান পাশের একটি সরু গলির ভেতর দিয়ে যেতে যেতে একেবারে শেষ প্রান্তে গিয়ে ওই বাসা পাওয়া যায়। এলাকাটি অনেক জনাকীর্ণ।আশপাশের বেশিরভাগ বাড়ি বস্তির মতো। তবে দু-চারটি বড় ভবনও রয়েছে। এর একটিতে জঙ্গিরা অবস্থান নিয়েছিল।

গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, এই বাসা ভাড়া নেওয়ার আগে তারা তুরাগ এলাকায় অবস্থান করছিল। সেখানে কিছুদিন আগে পরপর কয়েকজন জঙ্গি সদস্য ধরা পড়ায় তারা অবস্থান পরিবর্তন করে।

মিরপুরের ওই বাসা সম্পর্কে গোয়েন্দা কর্মকর্তা সানোয়ার হোসেন জানান, ছয়তলা ভবনের ওই বাসাটির ষষ্ঠ তলার দুটি ইউনিটে আশ্রয় নিয়েছিল জঙ্গিরা। এর একটিতে অভিযান চালিয়ে এক ব্যাগ হ্যান্ড গ্রেনেডসহ দুজনকে আটক করা হয়।অন্যটিতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্যসহ বাকি পাঁচজনকে আটক করা হয়। ওই বাসার রান্নাঘর, টয়লেটে গ্রেনেডগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল। এ ছাড়া সেখান থেকে একটি ট্রাঙ্ক জব্দ করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাঙ্কের মধ্যে গ্রেনেড ও বিস্ফোরক দ্রব্য রয়েছে।

গোয়েন্দা পুলিশের আরেক এডিসি নুরুন্নবী জানান, রাত ১২টার পরই ওই ভবনের চারদিক ঘিরে রাখা হয়। এরপর রাত ২টার দিকে ষষ্ঠ তলায় সোয়াত টিম অবস্থান নেয়। বাড়ির মালিকের সহায়তায় গোয়েন্দাদের কয়েকটি টিম অন্য ফ্লাটের বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়। ভোরের দিকে ষষ্ঠ তলার ইউনিটগুলোতে অভিযান শুরু করা হয়।

এ সময় জঙ্গিরা উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে হ্যান্ড গ্রেনেড ছুড়ে মারে। সোয়াত টিমও আত্মরক্ষার্থে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। তবে এ ঘটনায় উভয় পক্ষের কেউ হতাহত হয়নি।

গোয়েন্দা পুলিশের এটি একটি বড় ধরনের অপারেশন। ওই ভবনে অনেক বাসিন্দা ছিল। গোয়েন্দারা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে একটি বড় অপারেশন সফলভাবে শেষ করতে পেরেছে। এ অভিযানে বড় ধরনের যে আশঙ্কা ছিল, সেটি এখন আর নেই বলে দাবি করেছেন গোয়েন্দা পুলিশের মুখপাত্র মনিরুল ইসলাম।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

রাজধানীতে আনসার ব্যাটালিয়ন মোতায়েন

ঢাকা মহানগরীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৬ প্লাটুন আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য মোতায়েনবিস্তারিত পড়ুন

ঢাবি বন্ধের সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে ধন্যবাদ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হল ছেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদেরবিস্তারিত পড়ুন

রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত ২৩

রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে ছাত্রলীগ, শিক্ষার্থী, মহিলা আওয়ামী লীগবিস্তারিত পড়ুন

  • জাহাঙ্গীরনগর রণক্ষেত্র, অর্ধশতাধিক আহত 
  • রাজধানীর শনির আখড়া ও ধনিয়ায় গুলিবিদ্ধ ৬
  • বিএনপি ও সমমনা দলের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  • মিরপুরে অজ্ঞান পার্টির কবলে কিশোর, খোয়ালো অটোরিকশা
  • নয়াপল্টনে র‍্যাবের অভিযানে অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামাদিসহ আটক ১
  • গার্ডরুমে সহকর্মীর গুলিতে পুলিশ সদস্য নিহত
  • বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুদকের ৭২ কর্মকর্তার চাকরি ছাড়ায় নানা আলোচনা
  • রাজধানীর শিশু হাসপাতালে আগুন
  • বায়ু দূষণ: শীর্ষস্থানে বাংলাদেশ, দ্বিতীয় স্থানে পাকিস্তান
  • ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, তাড়াহুড়োয় ভুল হয়ে গেছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
  • রাজধানীতে হাতিরপুলের আগুন নিয়ন্ত্রণে
  • হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া