মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভুলে যেতে বসেছিলাম: প্রধানমন্ত্রী
পঁচাত্তরের পর স্বাধীনতার ইতিহাস বদলে দেয়ার চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘তখন মুক্তিযুদ্ধের কথা বলা যেত না। একসময় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভুলে যেতে বসেছিলাম।’
বুধবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ স্বাধীনের পর স্বাধীনতাবিরোধীদের ষড়যন্ত্র বন্ধ থাকেনি। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বদলে ফেলতে লাগল ইতিহাস। তখন আর পাকিস্তানি হানাদার বলা হতো না। বলা হতো হানাদার। কারা হানাদার। বলার সুযোগ ছিল না। স্বাধীনতাবিরোধীদের মন্ত্রী-উপদেষ্টা বানানো হলো।
কোনো জাতি ইতিহাস ভুলে গেলে সেই জাতি সামনে এগোতে পারে না মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে, স্বাধীনতাবিরোধীদের নিয়ে মুখ ফুটে কিছু বলা যেত না। এমন দিন ছিল আমরা জয় বাংলা স্লোগান দিতে পারতাম না। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার করতে পারতাম না। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভুলে যেতে বসেছিলাম।’
প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘সত্যিকার কেউ যদি স্বাধীনতা এনে থাকে, তারা কি যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতায় বসাতে পারে? কেউ স্বাধীনতায় ভূমিকা রেখে থাকলে তারা কি পাকিস্তানের প্রতিনিধি হয়ে যারা জাতিসংঘে অভিযোগ নিয়ে গেছে তাদের ক্ষমতার অংশ করতে পারে?’
যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে যারা পতাকা তুলে দিয়েছে তারাও সমান অপরাধী উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের যেমন বিচার হচ্ছে, তাদেরও বিচার হতে হবে। আজ সময় এসেছে তাদের বিচার করার।’
প্রধানমন্ত্রী শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সায়েন্সল্যাব এলাকা থেকে সিটি কলেজ সরিয়ে নেওয়ার দাবি ঢাকা কলেজের
ঢাকার সায়েন্সল্যাব মোড় এলাকায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদেরবিস্তারিত পড়ুন
ড. ইউনূস: আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা চাকরিপ্রার্থী তৈরি করে, এটি ত্রুটিপূর্ণ
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “মানুষ জন্মগতভাবে উদ্যোক্তা।বিস্তারিত পড়ুন
আইসিটি অধ্যাদেশ অনুমোদন, ধারণ করা যাবে বিচার প্রক্রিয়ার অডিও-ভিডিও
‘‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৪’’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদনবিস্তারিত পড়ুন