শনিবার, জুলাই ৫, ২০২৫

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

মুক্তিযুদ্ধের বিকৃত ইতিহাস শেখানোয় জঙ্গিবাদের উত্থান: প্রধানমন্ত্রী

মুক্তিযুদ্ধের বিকৃত ইতিহাস শেখানোর ফলেই দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার বিকেলে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ছাত্রলীগ আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

‘৭৫ থেকে ৯৬ পর্যন্ত ক্ষমতাসীনরা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৭৫ থেকে ৯৬ পর্যন্ত ২১ বছর এই বাংলাদেশে জাতির পিতার নাম নিষিদ্ধ ছিল। ৭ মার্চের ভাষণ বাজাতে দেওয়া হতো না। একটি জাতি যদি বিকৃত ইতিহাস শুনতে থাকে তাদের চরিত্র বিকৃতই হয়ে যায়। সেই বিকৃতি আমরা এখন সমাজে দেখি, যেখান থেকে জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসের উত্থান ঘটেছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা এদেশের স্বাধীনতা চায়নি, যারা বাংলাদেশের বিজয় মেনে নিতে পারেনি তারাই ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল। ১৫ আগস্টের পর থেকে আমরা দেখেছি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি।’

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা দখল এবং তখনকার পরিস্থিতি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ৭৫ সাল থেকে দেশে ১৯টি ক্যু হয়েছে। তখন (জিয়াউর রহমানের আমলে) স্বাধীনভাবে চলার কোনো সুযোগ ছিল না, কথা বলারও কোনো সুযোগ ছিল না। বঙ্গবন্ধুর আমলে ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী সাজাপ্রাপ্ত ছিল, ২২ হাজার মামলা হয়েছিল; আরও মামলা হচ্ছিল। জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে সব যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে দিলেন। গোলাম আযমকে পাকিস্তান থেকে ফিরিয়ে আনা হলো, মন্ত্রী বানানো হলো।

‘শুধু তাই নয়, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি। সেসময় বিবিসিতে ইন্টারভিউতে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল খুনিরা। বলেছিল- ‘কে আমাদের বিচার করবে, কারণ বঙ্গবন্ধুকে মেরে ফেলেছি’। তবে আমরা বিচার করেছি, আমরাই করেছি। মুক্তিযুদ্ধের সেই চেতনাকে ফিরিয়ে আনব বলেই বাংলাদেশে রাজনীতি শুরু করি। বঙ্গবন্ধুর খুনি এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আমরা করেছি, আমরাই করে যাচ্ছি,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড তদন্তের জন্য ১৯৮০ সালে লন্ডনে নোবেলজয়ী শন ম্যাকব্রাইডের নেতৃত্বে তদন্ত কমিশন গঠনের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, স্যার টমাস উইলিয়াম বাংলাদেশে আসবেন বঙ্গবন্ধু হত্যার তদন্ত করতে। তিনি যখন ভিসা চাইলেন, জিয়াউর রহমান তাকে ভিসা দেয় নাই। আসতে দেয় নাই।

কেন দেয় নাই? চায় নাই এই কারণে যে, এই হত্যার সঙ্গে যে সে জড়িত ছিল তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এই ঘটনা থেকেই তো তা প্রমাণিত হয়। তার সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হয়, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ইতিহাস ভুললে আমাদের অস্তিত্বই থাকবে না। আল-বদর আর রাজাকারদের হাতের ক্রীড়ানক হয়ে আমরা থাকতে পারি না।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার আমরা করেছি। বিচারের রায় আমরা কার্যকর করেছি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আমরা করেছি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায়ও আমরা কার্যকর করেছি, করে যাচ্ছি। এটা অব্যাহত থাকবে।’

ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। সবাইকে বলব, বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীটা যেনে একবার পড়ে, উপলব্ধির চেষ্টা করে।

শিগগিরই বঙ্গবন্ধুর লেখা ডায়েরি থেকে বই প্রকাশের কথাও জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ছাত্ররা লেখাপড়া শিখবে, উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলবে। ছাত্রদের হাতে কাগজ-কলম তুলে দিয়েছিলাম। আর পঁচাত্তরের পর জিয়া আমাদের ছাত্রদের হাতে অবৈধ অস্ত্র ও অর্থ তুলে দিয়েছিল। তাদের বিকৃতির পথে নিয়ে যাচ্ছিল। ছাত্রসমাজের চরিত্র হনন করাই ছিল তাদের উদ্দেশ্য।’

নিজেদের আগামী দিনের যোগ্য নেতৃত্ব হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘শিক্ষাটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড়। নিজেরা লেখাপড়া শিখে মানুষের মতো মানুষ হতে হবে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের চলতে হবে। নিজেদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে।’

‘তোমরা বড় হবে, তোমরাই হবে আগামীর কর্ণধার সেই কর্ণধার হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধের আর্দশ নিয়ে সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেসা মুজিবের ত্যাগের কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘দেশকে গড়তে হলে যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে। জাতির পিতার মতো সব কিছু ত্যাগ করে দেশের মানুষের জন্য কাজ করা। এটাই তো রাজনীতি।’

‘একজন রাজনীতিবিদের জীবনে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করা সবচেয়ে বড় সম্পদ। এর চেয়ে বড় সম্পদ আর কিছু হতে পারে না’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও গবেষক সৈয়দ বদরুল আহসান। সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

যুদ্ধবিরতির ‘খুব কাছাকাছি’ হামাস-ইসরায়েল

ইরান-ইসরায়েলের “১২ দিনের যুদ্ধ” থেমেছে, কিন্তু ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার মানুষেরবিস্তারিত পড়ুন

টাঙ্গুয়ার হাওড়ে ঘুরতে গিয়ে গাঁজা সেবন, ৫ পর্যটকের কারাদণ্ড-অর্থদণ্ড

সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওড়ে ঘুরতে গিয়ে গাঁজা সেবন করে উচ্ছৃঙ্খল আচরণবিস্তারিত পড়ুন

ঝিনাইদহে আদালত চত্বরে মামলার স্বাক্ষীকে মারধর

ঝিনাইদহে আদালত চত্বরে চাঁদাবাজির মামলার স্বাক্ষীকে হত্যার হুমকি ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন

  • ২০২৪ সালে ‘ডামি নির্বাচন’ হয়েছে, আদালতে স্বীকার করলেন হাবিবুল আউয়াল
  • দেড় কোটি বাংলাদেশি প্রবাসীকে ভোটার করতে আইনি নোটিশ
  • দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের অনিয়ম তদন্তে কমিটি
  • খামেনি: ইরান আমেরিকার মুখে এক কঠিন থাপ্পড় দিয়েছে
  • জুলাই স্মৃতি উদ্‌যাপনে কর্মসূচি ঘোষণা
  • দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ও নিবন্ধন ফিরে পেল জামায়াত
  • উপদেষ্টা: গণ-অভ্যুত্থানে শহিদ পরিবারের সক্ষম সদস্যরা অগ্রাধিকার পাবেন চাকরিতে 
  • ইরানে সরকার পরিবর্তন চান না ট্রাম্প
  • কমলো স্বর্ণের দাম, ভরি পৌনে দুই লাখের কাছাকাছি
  • ত্রাণ নিতে যাওয়া মানুষের ওপর গুলি, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত ৭১
  • গোলাম পরওয়ার: নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে মহাদুর্যোগ নেমে আসবে
  • আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র