‘মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতা বিশ্বের ইতিহাসে এক নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত’

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধে ভারতের জনগণ এবং সরকার যে সমর্থন ও সহযোগিতা করেছিল তা বিশ্বের ইতিহাসে এক নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত।
আমির হোসেন আমু বলেন, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে অর্থনৈতিক, সামরিক ও কূটনৈতিক সাহায্যের পাশাপাশি ভারত প্রায় ১ কোটি বাংলাদেশি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছিল। এ যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী আড়াই লাখ ভারতীয় সেনার মধ্যে প্রায় দেড় হাজার সেনা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।
তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধকে সফল করার লক্ষ্যে ভারত সরকার বাংলাদেশি শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছিল। সে সময় ভারত ৬৯টি বেজ ক্যাম্প ও ১০০ উপ-বেজ ক্যাম্পে ১ লাখ মুক্তিযোদ্ধাকে প্রশিক্ষণ দেয়। এর পাশাপাশি যুদ্ধকালে বিশ্বের জনমতকে বাংলাদেশের অনুকূলে আনার জন্য ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সবচেয়ে বেশি অবদান রাখেন। তিনি বিশেষ কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে বিভিন্ন দেশের জনগণ ও সরকারের মধ্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করেছিলেন।
শুক্রবার কলকাতার নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পাঁচ দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ বিজয় উৎসব’এর উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি।
কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন এ উৎসবের আয়োজন করে। বাংলাদেশ বিজয় উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
মুক্তিযুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে আমির হোসেন আমু বলেন, পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরা সেদিন বাংলাদেশের জনগণের বিপদে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। কলকাতার থিয়েটার রোডে অবস্থিত বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী অফিসটি বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাসে সাক্ষী হয়ে আছে।
উল্লেখ্য, পাঁচ দিনব্যাপী এ উৎসবে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- জামদানি, তাঁতের শাড়ি, রাজশাহীর সিল্ক, বুটিক, পাট ও পাটজাত দ্রব্য, সিরামিক ও মেলামাইন সামগ্রী। পাশাপাশি আছে কাচ্চি বিরিয়ানি, ভুনা খিচুড়ি, পিঠা-পুলি, সন্দেশসহ ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি খাবার।
বিজয় উৎসবে প্রতিদিন বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি মহান মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত চলচ্চিত্র প্রদর্শনের ব্যবস্থা আছে।
এ বিজয় উৎসবের মাধ্যমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ব্যাংকক থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদবিস্তারিত পড়ুন

বিশ্বকবির ম্যুরাল থেকে কালি মুছে দিল উপজেলা প্রশাসন
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরালে কালি দিয়ে মুখবিস্তারিত পড়ুন

ফখরুল: ইউনূস–মোদির বৈঠক আশার আলো দেখাচ্ছে
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন