মুন্সীগঞ্জে পুত্রবধূর হাতে ছেলে খুন, শোকে বাবার মৃত্যু
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে পুত্রবধূর হাতে ছেলে অলিউল্লাহ (৩৮) খুন হওয়ার পর শোকে মারা গেছেন বাবা ইদ্রিস মোল্লা (৯৫)।
মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার পুটিমারা গ্রামে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়।
এর আগে সৌদি আরব যাওয়ার আগে সোমবার রাতে অলিউল্লাহকে হত্যা করে থানায় আত্মসমর্পণ করেন তার স্ত্রী মাজেদা বেগম (৩২)।
মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য জানান শ্রীনগর থানার দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা।
তিনি জানান, সকালে মাজেদা বেগম (৩২) নামে এক নারী থানায় এসে জানান তিনি স্বামী অলিউল্লাহকে হত্যা করে বাড়িতে লাশ রেখে এসেছেন।
পরে শ্রীনগর থানার ওসির নেতৃত্বে একদল পুলিশ উপজেলার পুটিমারা গ্রামের বাড়ি থেকে নিহত অলিউল্লাহর মরদেহ উদ্ধার করে।
এসময় অলিউল্লাহর হাত-পা ওড়না দিয়ে বাঁধা ও গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল।
অলিউল্লাহর পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, অলিউল্লাহ ১৮ বছর ধরে সৌদি আরবে কর্মরত ছিলেন। তিনি মাঝে মাঝে দেশে আসতেন। মঙ্গলবার রাতে সৌদি যাওয়ার আগে তিনি হত্যার শিকার হন।
১৪ বছর আগে অলিউল্লাহর সঙ্গে হাঁসাড়া গ্রামের নুরু খলিফার মেয়ে মাজেদার বিয়ে হয়। এ দম্পতির দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
তিন মাস আগে সৌদি থেকে দেশে ফিরেন অলিউল্লাহ। এরপর স্ত্রীর নামে অর্ধকোটি টাকা দিয়ে কেনা জমি বিক্রি করে ব্যবসা করতে চান তিনি। এতে স্ত্রী রাজি হননি।
পরে অলিউল্লাহ ফের সৌদি যাওয়ার জন্য চেষ্টা করেন। এতেও মাজেদা বাধা দেন। তিনি অলিউল্লাহর পাসপোর্ট ছিঁড়ে ফেলেন। এনিয়ে হাঁসাড়া ইউনিয়ন পরিষদে সালিশও হয়।
এক পর্যায়ে নতুন পাসপোর্ট তৈরি করে সৌদি যাওয়ার উদ্যোগ নেন অলিউল্লাহ। মঙ্গলবার রাতে তার ফ্লাইট ছিল। কিন্তু এর আগের রাতেই তাকে স্ত্রী মাজেদা খুন করে।
শ্রীনগর থানার ওসি সাহিদুর রহমান জানান, অলিউল্লাহর মরদেহ উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনার সঙ্গে আরো কেউ জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
হঠাৎ বাস বন্ধ, বিপাকে যাত্রীরা
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাট এলাকার বাসস্ট্যান্ড থেকে আজ সববিস্তারিত পড়ুন
স্বামীকে ডাক্তার দেখিয়ে ফেরার পথে ধর্ষণের শিকার গার্মেন্টস কর্মী
মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় পদ্মার চরে এক গার্মেন্টস কর্মীকেবিস্তারিত পড়ুন
ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে ভাই খুন
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নের খাসের হাট এলাকার চাচাতো ভাইয়েরবিস্তারিত পড়ুন