মুন্সীগঞ্জে সরকারী খালের উপর পাকা ভবন নির্মান
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি:
প্রসাশন ম্যানেজ করে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বীরতারা ইউনিয়নের সাতগাঁও বাজার বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন সরকারী খাল অবৈধভাবে দখল নিয়ে বালু ভরাট করে পাকা ভবন নির্মান করছেন প্রভাবশালী মো: জাফর। এতে ওই খাল দিয়ে বিস্তর্ন ফসলি জমির পানি বেরুতে না পেরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, আটপাড়া ইউনিয়নের সিংপাড়া, তিন গাও, মজিদপুর দয়হাটা, সাতগাও গ্রাম থেকে দির্ঘ তম খালটি বীরতারা বাজারের পাশ দিয়ে নিমতলা হয়ে শ্রীনগরব খালের সাথে মিশেছে।
প্রায় ৫ কিলোমিটারের অধিক দৈঘ্য এবং ২০/২৫ ফুট প্রস্থের একটি সরকারী খাল রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে নৌকা চলাচল, পন্যদ্রব্য পরিবহন এবং বিশাল নিচু ভূমির পানি নিস্কাশন খালটি এত দিন ব্যবহিত হয়ে আসছিল। বর্ষা মৌসুমে যেমন ভাসিয়ে নেয় বিস্তির্ন এলাকা। তেমনি শুকনো মৌসুমে জমি আবাদে সেচের ব্যবস্থান ও হয় এ খালের পানি থেকে।
স্থানীদের সাথে কথা বলে জানা যায়,জরাবদ্ধতার কারনে প্রায় ৫ শ “একর জমিতে চাষাবাদ বন্ধ রয়েছে। জলাবদ্ধতা অনেক স্থানে পানির গভিরতা ২থেকে ৬ফুট পর্যন্ত রয়েছে। অথচ বিগত কয়েক মাস ধরে প্রভাবশালী ভূমিদস্যু জাফর বহাল তবিয়তে খালের জায়গা দখল করে পাকা ভবনের নির্মান কাজ করে আসলেও দেখার কেউ নেই। ফলে ওই খালটি অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, খালটি যদি এলাকার মানুষের কাজে না আসতো তবে বীরতারা বাজার থেকে শুরু করে সাতগাঁও বাজার বাসষ্ট্যান পর্যন্ত। খালের উপর দিয়ে পারাপারের জন্য বিভিন্ন স্থানে ৪ টি কাঠের পুল ও ৫ টি বেইলী ব্রীজ নির্মান করা হোতনা। নির্মানাধীন পাকা ভবনের মাত্র ১০০/১৫০ গজ দূরেই পয়নিস্কাশন ও জলাবদ্ধতা দুরিভূত করার জন্য নির্মান করা হয়েছে একটি বেইলী ব্রীজ। স্থাণীয় কৃষক শেখ আনিছ (৬০) বলেন,আমার ১ কানি জমি আছে।
জলাবদ্ধতার কারনে শরিসা বুনতে পারছিনা শুধু ধান চাষ করতে পারব। সাতগাঁও নিমতলীর সামছুল হক মিয়া (৮৫) বলেন,খালটির কয়েকটি স্থানে অপরিকল্পিত ভাবে বাধ নির্মান করেছে। এছারা পাকা ভবন নির্মানের ফলে, চকের পানি নামতে পারছেনা। আমরা সময় মত জমিতে চাষ দিতে পারছিনা।
শিবু মন্ডল (৬০)বলেন, খালের জায়গায় বালু ভরাট করে পাকা ভবন নির্মান করায় নৌকা বা ট্রলার দিয়ে আমরা মালামাল আনতে পারছিনা। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউ পি চেয়ারম্যান আজিম খানের কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন, বাজারে পাশ দিয়ে একটি সরকারী খাল রয়েছে। তবে কোন পাকা ভবন নির্মিত হচ্ছে কিনা তা আমার জানা নেই।
উপ সহকারী ভূমি অফিস কর্মকার্তা মো:সেলিম বলেন,খালটি জেলা পরিষদের আওতাধীন। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)দিলারা শারমিন বলেন,খালের উপর ভবন নির্মান সম্পর্কে আমার জানা নেই। খালের জায়গা দখল করে বালু ভরাটের বৈধতা সম্পর্কে জানার জন্য জাফর শেখর মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করলে, মোবাইলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি মোবাইল ফোনটি কেটে দেন।
বার বার চেষ্টা করলেও তিনি মোবাইল ফোনটি রিসিভ করেননি। অতিসত্তর খালের ভরাট কৃত বালু অপসারন করে জলাবদ্ধতা দুরি করন সহ পন্যদ্রব্য পরিবহন ও নিচু ভূমির পানি নিস্কাষনের সু-ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের হস্থক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।#
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
হঠাৎ বাস বন্ধ, বিপাকে যাত্রীরা
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাট এলাকার বাসস্ট্যান্ড থেকে আজ সববিস্তারিত পড়ুন
স্বামীকে ডাক্তার দেখিয়ে ফেরার পথে ধর্ষণের শিকার গার্মেন্টস কর্মী
মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় পদ্মার চরে এক গার্মেন্টস কর্মীকেবিস্তারিত পড়ুন
ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে ভাই খুন
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নের খাসের হাট এলাকার চাচাতো ভাইয়েরবিস্তারিত পড়ুন