মুরগি ছানার করুণ জীবন! (ভিডিও সহ)
মাংস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কখনোই ভিডিওটি দেখাতে চাইবে না আপনাকে। দেখলে হয়তো নিয়মিত চিকেন খাওয়ার নেশায় মত্ত আপনি আর মুরগির মাংসই খেতে চাইবেন না। এমনও হতে পারে করুণ ভিডিওটি দেখেই কেঁদে ফেললেন আপনি।
সম্প্রতি এক প্রাণী অধিকার সংগঠন ক্যালিফোর্নিয়ার একটি মুরগির মাংস উৎপাদনকারী কারখানায় ভিডিওটি করে। যাতে দেখা গেছে, একটি মুরগির ছানার বেড়ে ওঠার করুণ চিত্র।
ইউটিউবে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, ইনকিউবেটর থেকে বের হওয়ার পর নির্মম আচরণ শুরু হয় সদ্যোজাত মুরগি ছানাগুলোর সঙ্গে। জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যেই প্রথমে দুর্বল মুরগির ছানাগুলোকে বেছে আলাদা করে বাদ দেওয়া হয়। এরপর তুলতুলে মুরগির ছানার ঠাঁই হয় ডাস্টবিনে। যেখানে ছানাগুলোকে ডিমের খোসার সঙ্গে পিষে ফেলে দেওয়া হয়। অনেক কারখানা আবার জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই পুরুষ ছানাগুলোকে বেছে মেরে ফেলে।
জন্মের পর মানুষের দ্বারা ‘বাঁচার জন্য’ নির্বাচিত হলেও মুক্তি নেই। কারখানাতেই যান্ত্রিক পরিবেশে বেড়ে ওঠে ছানাগুলো। ছোট থেকে তাড়াতাড়ি বাড়ার জন্য দেওয়া হয় অতিরিক্ত খাবার। আর অতিরিক্ত খাদ্যাভ্যাসের জন্য ছানাগুলোকে দেওয়া হয় ক্ষুধা ও পুষ্টিবর্ধক ওষুধ। এরপর ‘সারাক্ষণই খেতে চাওয়া’ ছানাগুলো খুব দ্রুত বেড়ে ওঠে।
এভাবে তিন মাসেই প্রায় দেড় কেজির মুরগিতে পরিণত হয় ছানাগুলো। যেখানে প্রাকৃতিক পরিবেশে ছয় থেকে সাত মাসে একটি মুরগি পূর্ণাঙ্গ হয়।
পরিণত হওয়ার পর ওই কারখানার মেশিনেই কেটে আলাদা করে মাংস। এভাবে মানুষের জন্য মাত্র তিন মাসেই মুরগির বাচ্চার জীবনের সমাপ্তি ঘটে।
https://youtu.be/8xKkEOgeuH0
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন