মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কসোভোকে স্বীকৃতি দেবে বাংলাদেশ
কসোভোকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের স্বাধীন রাষ্ট্র কসোভোকে স্বীকৃতি দেয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। খবর বাসস’র।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এম শফিউল আলম বলেন, এখন পর্যন্ত ১১৩টি দেশ কসোভেকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ওআইসির ৫৭টি সদস্য দেশের মধ্যে ৩৬টি দেশ ইতিমধ্যে কসোভোকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
তিনি বলেন, মন্ত্রিসভা অনুমোদন দেয়ায় বাংলাদেশ ১১৪তম দেশ হিসেবে কসোভোকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতির বিষয়টি জানিয়ে দেবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং ওআইসির ৫৭টি দেশের মধ্যে ৩৬টিসহ মোট ১১৩টি দেশ এ পর্যন্ত কসোভোকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
এসময় মন্ত্রিসভায় নতুন যুবনীতির খসড়া অনুমোদিত হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নতুন নীতিমালায় যুব সমাজের উন্নয়নে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। পূর্বের নীতিমালায় এ ধরনের কোনও নির্দেশনা ছিল না।
তিনি বলেন, এটি হবে ২০০৩ সালে প্রণীত বিদ্যমান নীতিমালার প্রতিস্থাপন। নতুন নীতিমালায় বেকার, প্রবাসী, উদ্যোক্তা, বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া, লেখা পড়া না জানা, মাদকাসক্ত, তৃতীয় লিঙ্গ, গৃহহীন ও পল্লীর যুবকদের (নারী-পুরুষ) জন্য সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের পরামর্শ রয়েছে।
এছাড়া মন্ত্রিসভা সামুদ্রিক মৎস্য আইন-২০১৭, শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউশন আইন-২০১৭ এবং দ্বৈত কর পরিহার ও কর ফাঁকি রোধে দু’টি চুক্তির খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে।প্রস্তাবিত সামুদ্রিক মৎস্য আইনটি ১৯৮৩ সালের এ সম্পর্কিত অধ্যাদেশের প্রতিস্থাপন। এটি হচ্ছে ২০১০ সালে উচ্চ আদালত কর্তৃক সামরিক শাসনামলের বাতিলকৃত আইনগুলোর একটি।খসড়ায় অনুমোদিত প্রক্রিয়ায় মৎস্য ও সামুদ্রিক শৈবাল জাতীয় উদ্ভিদ আহরণে দেশের উপকূল ও নদ-নদী এলাকায় মৎস্য অঞ্চল গড়ে তুলতে সরকারকে কর্তৃত্ব দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ন্যাটো ১৯৯৯ সালে বিমান হামলা চালিয়ে বেলগ্রেডকে তার সেনা প্রত্যাহারে বাধ্য করলে সার্বিয়া কসোভোর ওপর তার নিয়ন্ত্রণ হারায়। শান্তি বজায় রাখতে এখনো কসোভোতে প্রায় পাঁচ হাজার ন্যাটো সেনা মোতায়েন রয়েছে।অবশ্য সার্বিয়া, এর মিত্র রাশিয়া এবং অন্য কয়েকটি দেশ কসোভোর স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেয়নি।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কসোভো ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি সার্বিয়া থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে স্বাগতিক ওয়েস্টবিস্তারিত পড়ুন
রাস্তা আটকে যমুনা ফিউচার পার্কের ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
যমুনা ফিউচার পার্কে মোবাইলের দোকানে চুরির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভবিস্তারিত পড়ুন
যে ৫ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশি নাগরিকদেরবিস্তারিত পড়ুন