মৃত্যুদণ্ড পেতে পারে ‘গোঁয়ার’ হাতি!
হাতিটির নাম বন্য গণেশ। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জলদাপাড়া জাতীয় বনে এর বিচরণ। গোঁয়ার ও খুনে স্বভাবের জন্য কুখ্যাত এই পুরুষ হাতিটি স্থানীয়ভাবে ‘ব্যাড বয়’ হিসেবে পরিচিত। সেই ব্যাড বয় এরই মধ্যে হত্যা করেছে আটজন মানুষকে। নষ্ট করেছে মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ। তাকে নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই বনের আশাপাশের এলাকার বাসিন্দাদেরও। সেই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে হাতিটির মৃত্যুদণ্ড চায় পশ্চিমবঙ্গের বন বিভাগ।
বন বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, হাতিটিকে সুপথে আনতে সব ধরনের চেষ্টা করা হয়েছে। অপরাধপ্রবণতা রোধ করার শেষ চেষ্টা হিসেবে হাতিটির সঙ্গী হিসেবে উর্বশী নামের একটি মাদী হাতিকেও কাজে লাগিয়েছে। কিন্তু গোঁয়ার গণেশের ভয়ে কাছেও ভিড়তে পারেনি উর্বশী। এতে অতিষ্ঠ হয়ে হাতিটিকে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে চান বন বিভাগের কর্মকর্তারা।
বন বিভাগের ভাষ্য, ‘সিরিয়াল কিলার’ বন্য গণেশ সর্বশেষ পশ্চিমবঙ্গের মাদারীহাটের বাসিন্দা ৮০ বছরের বৃদ্ধ জয়নারায়ণ শর্মাকে হত্যা করেছে। এর আগে-পরে বিভিন্ন সময়ে হাতিটির তাণ্ডব নিয়ে অনেক অভিযোগ পেয়েছে বন বিভাগ। স্থানীয় লোকজনও এটির মৃত্যুদণ্ড চায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পশ্চিমবঙ্গ বন বিভাগের বন্য প্রাণী বিভাগের প্রধান রবিকান্ত সিনহা বলেন, ‘কোনো হাতি খুনি বা বিধ্বংসী হয়ে উঠলে আচরণ ও খুনি প্রবৃত্তি বিবেচনায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যেতে পারে। এ ধরনের একটি আইন রয়েছে।’
হাতি বিশেষজ্ঞ পার্বতী বড়ুয়া একটু ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘প্রকৃতিগতভাবেই হাতি দলবদ্ধ হয়ে থাকে। বন্য গণেশ দলচ্যুত হওয়ার কারণেই হয়তো এমন অপরাধমূলক আচরণ করছে।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন