মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার গা শিউরে ওঠা কিছু বীভৎস পন্থা
মৃত্যুদন্ড , অপরাধির জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি। যদিও পৃথিবীর অনেক দেশ আছে, যেখানে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যু দন্ড দেওয়া হয় না, কিন্তু বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে মৃত্যু দন্ড দেবার বিধান রয়েছে। এই শাস্তির বিধান পৃথিবীতে যত গুলি আইনি শাস্তি রয়েছে, তার মধ্যে সব থেকে পুরাতন। তাই সময়ের সাথে এই মৃত্যু দন্ড কার্যকর করার পদ্ধতি একেক সময়ে একেক পন্থায় হয়েছে।
পরিচয় করিয়ে দিব এমন বীভৎস কিছু পন্থার সাথে যা সম্পর্কে জানলে আপনারও ভয় লাগবে, শুধু একবার চিন্তা করুন আসামির জায়গায় আপনি। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক মৃত্যু দন্ড কার্যকর করার ২৫টি বীভৎস পন্থা সম্পর্কে,
মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার বীভৎস পন্থা :
স্কাফিজমঃ
স্কাফিজম (Scaphism) অতীতে পার্সিয়ান্দের মধ্যে প্রচলিত মৃত্যদন্ড কার্যকর করার পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে মৃত্যদন্ড প্রাপ্র আসামিকে সম্পূর্ন উলঙ্গ করে তাকে একটি ডোবার কাছে আনা হত। এরপর ডোবার সব থেকে কাছের গাছের সাথে বেধে রাখা হত। এরপর তাকে প্রচুর পরিমানে দুধ এবং মধু খাওয়ানো হত, যত সময় পর্যন্ত না তার ডাইরিয়া শুরু হত। ডাইরিয়া শুরু হলে তার সারা গায়ে মধু মেখে দেওয়া হত। এই মধু মেখে দেওয়ার ফলে আসে পাশের অনেক কিটপতংগ আকৃষ্ট হত আর আসামির গায়ের চামড়া ভেদ করে বাসা বানাতো। এই পদ্ধতিতে আসামির মৃত্যু হতে সময় লাগত ২ সপ্তাহের মত। মৃত্যর মূল কারন ছিল গ্যাংগ্রিন, ডাইরিয়া এবং অনাহার।
শির কর্তনঃ
শির কর্তন (Guillotine) পদ্ধতিতে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার পদ্ধতি মূলত চালু করা হয় মানবিক দিক বিবেচনা করে!! ১৭০০ শতকে এই পদ্ধতি চালু করা হয়, কেননা তৎকালীন আমলে বিশেষজ্ঞদের মতে এই পদ্ধতিতে আসামির মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হলে, তার কষ্টো কম হয়!! তাই তৎকালীন সময়ে অনেক দেশ এই পদ্ধতিতে মৃত্যুদন্ড করতে থাকে। তবে সময়ের সাথে সাথে এই পদ্ধতিতে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা বন্ধো হয়ে যায়। ১৯৭৭ সালে ফ্রান্সে সর্বোশেষ এই পদ্ধতি ব্যাবহৃত হয়। এরপর থেকে বিশ্বে কোথাও আর এ পদ্ধতিতে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়নি।
রিপাবলিকান বিবাহঃ
রিপাবলিকান বিবাহ (Republican Marriage) মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার এক অদ্ভুদ পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে এক জন নর এবং নারী কে উলঙ্গ করে, মুখোমুখি করে এক সাথে বেধে নদীর পানিতে ফেলে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হত। এই পদ্ধতি শুধু মাত্র ফ্রান্সে চালু ছিল।
সিমেন্টের জুতাঃ
নাম শুনেই বুঝে গেছেই এই জুতা যেনতেন জুতা না বরং সিমেন্টের তৈরি। এই পদ্ধতি অনেকটাই “রিপাবলিকান বিবাহ” পদ্ধতিতে মৃত্যুদন্ড কার্যকরের মত, মানে নদীতে ডুবিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা। শুধু পার্থক্য হল এখানে বিপরীত লিংগের কারো সাথে আপনাকে না বেধে, আপনার পায়ে পরিয়ে দেওয়া হবে এই সিমেন্টের জুতা যাতে আপনি পানির মধ্যে ভেসে থাকতে না পারেন। এই পদ্ধতিতে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার সব থেকে বেশি প্রচলন ছিল আমেরিকার মাফিয়াদের মধ্যে। মৃত্যুর মৃত্যু আবার লাশ লুকাবার কোন ঝামেলা নাই।
হাতির দ্বারা মৃত্যুদন্ড :
মৃত্যুদন্ড কার্যকরার এই পদ্ধতি কিন্তু সুদুর কোন দেশের প্রচলিত পদ্ধতি না, বরং আমাদের এই দক্ষিন পূর্ব এশিয়ার উদ্ভাবিত এবং এক সময়ের বহুল ব্যাবহৃত পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে বিশাল আকৃতির হাতি তার পা দিয়ে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামির মাথা থেতলে দিত। এক্ষেত্রে আবার হাতিকে প্রশিক্ষন দেওয়া হত, যাতে সে ধীরে ধীরে পায়ের চাপ বাড়ায়, যাতে মৃত্যুদন্ড আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি পায় মৃত্যুর সময়। এই পদ্ধতি মূলত ব্যাবহৃত হত রাজা বাদশাহদের আমলে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
চা কন্যা খায়রুন ইতিহাস গড়লেন
চা শ্রমিকদের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে সব মহলেই পরিচিত হবিগঞ্জেরবিস্তারিত পড়ুন
চার্জ গঠন বাতিল চেয়ে রিট করবেন ড. ইউনূস
শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড.বিস্তারিত পড়ুন
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন