শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

মৃত্যুর পর স্ত্রীর সঙ্গ পাওয়ার আশায়..

বদন আনসারি। বয়স একশো ছুঁই ছুঁই । নিজের কবরের ফলক নিজেই তৈরি করিয়ে রেখেছেন, শুধু তাই নয়, প্রস্তুত করে রেখেছেন নিজের কবরের জায়গাও। এখন অপেক্ষা শুধু মৃত্যুর। তারপর তাকে যেন শুইয়ে দেওয়া হয় প্রয়াত স্ত্রী অকলি বিবির পাশে ।

এই ইচ্ছাপূরণের ভার দুই ছেলে, নাতি-নাতনিদের হাতে তুলে দিয়েছেন এই বৃদ্ধ। মৃত্যুর পর স্ত্রীর সঙ্গ পাওয়ার আশায়ই তার এই কান্ড।

শুধু কবর খুঁড়ে রাখাই নয়, সেই কবরের রীতিমতো পরিচর্যাও করছেন ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গিরিডির দোরিয়া গ্রামের বদন আনসারি।

স্ত্রী মারা যান ২০১০ সালে। বদন বলেন, ‘‘যখন স্ত্রী বেঁচেছিলেন তখন যে ওঁর সঙ্গে সব সময় খুব প্রেম ভালবাসা ছিল সেটা নয়। বরং অনেক বিষয়ে ঝগড়াও হতো। কিন্তু ওঁর মৃত্যুর পরে বুঝতে পারলাম, খুব একা হয়ে গিয়েছি।’’

মৃত্যুর পরে একা থাকতে চান না বদন। তাই বাড়ির কাছেই, নিজেদের বাগানে স্ত্রীর কবরের পাশেই নিজের কবর খুঁড়ে তা বাঁধিয়ে রেখেছেন তিনি। কবরের ফলকে নিজের নাম ও জন্মতারিখ লিখে রেখেছেন। পাশে স্ত্রীর কবরে লিখে রেখেছেন স্ত্রীর নাম ও জন্ম-মৃত্যুর সালও। বদন জানান, এখন ছেলেদের দায়িত্ব, যে দিন মারা যাবেন সে দিন ওই ফলকে মৃত্যুর দিনটাকে খোদাই করে তাঁকে ওখানে কবর দেওয়া।

নিজেদের কিছু জমিজমা আছে। সেই জমিতেই এক সময় চাষের কাজ করতেন তিনি। এখন দুই ছেলে সুকুর ও জুমরাতি চাষের কাজ করেন। বদন শারীরিক ভাবে সক্ষম হলেও ছেলেরা তাঁকে আর মাঠে যেতে দেন না। তাই বদনের সারা দিন কেটে যায় ওই কবরের পরিচর্যায়। কবরের আশপাশে কাউকে কোনও রকম আবর্জনা ফেলতে দেন না। কবরের দেওয়াল বেয়ে কোনও আগাছা উঠলে সঙ্গে সঙ্গে তা পরিষ্কার করে দেন।

বাবার এই কবর পরিচর্যার কাজে ছেলেরা অবশ্য বাধা দেন না। তাঁরা দু’জনেই ৬০ পেরিয়েছেন। সুকুর বলেন, ‘‘বাবা মায়ের থেকে অনেকটা বড়। ভেবেছিলেন মায়ের আগে উনিই চলে যাবেন। তাই মায়ের আগে চলে যাওয়াকে উনি মেনে নিতে পারেনি।’’

বদনের ছেলেরা বাবাকে মজা করে মাঝেমধ্যে বলেন, তাদেরও তো বয়স হয়েছে। কে বলতে পারে বাবার আগেই ছেলেদের কেউ চলে যাবেন কি না। তখন কী হবে? প্রতিবেশীরাও মজা করে তার কাছে জানতে চান, তখন কে শেষ ইচ্ছা পূরণ করবেন?

তা নিয়ে মোটেও চিন্তা নেই তার। দুই ছেলে, ছেলের বৌ, নাতিপুতি নিয়ে তার ভরা সংসার । বদন জানেন, তার এই শেষ ইচ্ছাপূরণের জন্য তাদের পরিবারের কাউকে না কাউকে ঠিকই পাওয়া যাবে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা

পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন

এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?

এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন

৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন

১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

  • লজ্জায় লাল হয়ে যায় পাখিও
  • দুই হাতের হৃদয়রেখা মিলে গেলে কি হয় জানেন?
  • ৩২১ থেকে ওজন কমিয়ে ৮৫!
  • রং নম্বরে প্রেম, বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি ঝলসে যাওয়া মুখ
  • পানিতে ভেসে উঠলো অলৌকিক হাত!
  • ১৫ বছরে একবার ফোটে ‘মৃত্যুর ফুল’
  • চা বিক্রেতা এখন ৩৯৯ কোটি টাকার মালিক
  • একটি মাছের বিষে মারা যেতে পারে ৩০ জন
  • মোবাইল কিনতে ছয় সপ্তাহের শিশুকে বিক্রি
  • পরকীয়ায় জড়াচ্ছে নারীরা প্রধান যে তিনটি কারণ নেপথ্যে
  • ২৪০০ কেজি খিচুড়ি রান্না হয় যেখানে দৈনিক !
  • পরীক্ষায় ফেল করলেই বিবাহ বিচ্ছেদ