‘মৃত্যুর মিছিলে’ ইয়েমেনের শিশুরা
যুদ্ধকবলিত দেশ ইয়েমেনে অপুষ্টি ও খাদ্যাভাবে প্রতিনিয়তই মারা যাচ্ছে শিশুরা। দেশটিতে অপুষ্টি, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টজনিত কারণে প্রতি ১০ মিনিটে অন্তত একটি শিশু মারা যাচ্ছে।
সোমবার জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক আন্তর্জাতিক তহবিল ইউনিসেফ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইয়েমেনে অনাহারে মৃত্যুঝুঁকিতে আছে চার লাখের বেশি শিশু। প্রায় ২২ লাখ শিশুর জরুরি পরিচর্যা দরকার।
ইউনিসেফের নতুন হিসাব থেকে জানা যায়, ইয়েমেনে ক্ষুধার্ত শিশুর হার ‘সর্বকালের সবচেয়ে বেশি’। দেশটিতে চার লাখ ৬২ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে।
ইউনিসেফের ভারপ্রাপ্ত প্রতিনিধি মেরিটক্সেল রেলানো এক বিবৃতিতে বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের দরিদ্রতম দেশটির শিশুদের অবস্থা এখনকার মতো ভয়াবহ অবস্থায় কখনোই ছিল না।’
পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর প্রধান কারণ তীব্র অপুষ্টি। এ ধরনের লক্ষণ থাকা শিশুদের উচ্চতা অনুযায়ী ওজন খুবই কম হয়। দৃশ্যত কঙ্কালসার ও ফিনফিনে হয় শিশুরা।
ইয়েমেনে ২০ মাস ধরে চলা যুদ্ধে সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছে সাদা এলাকার শিশুরা। অঞ্চলটির ১০ শিশুর মধ্যে আটটিই ঝুঁকিতে। এ ছাড়া হোদেইদা, তাইজ, হাজ্জা ও লাহেজ অঞ্চলের শিশুদের অবস্থাও সঙ্গিন।
২০১৪ সালে দারিদ্র্যপীড়িত দেশটির রাজধানী সানাসহ বিস্তীর্ণ অঞ্চল দখলে নেয় ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট আলী আবদুল্লাহ সালেহর অনুগত সেনারা। এর পর থেকে সেখানে যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধের অপরপক্ষে আছে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট।
২০১৫ সালের মার্চ থেকে সৌদি জোট হুতি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালাচ্ছে। রক্তক্ষয়ী এ সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে কয়েক লাখ মানুষ।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন