রবিবার, জুলাই ৬, ২০২৫

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

মোস্তাফিজের পূর্বসূরিদের বেশির ভাগই ভালো নেই বর্তমানে

আইসিসির বর্ষসেরা পুরস্কার চালু হয়েছে ২০০৪ সাল থেকে। কাল ২০১৬ সালের সেরা উদীয়মান নির্বাচিত হয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। একটু দেখে নেওয়া যাক তাঁর আগের সেই ১২ ‘ভবিষ্যতের তারকারা’ বর্তমানে কেমন করছেন—

ইরফান পাঠান ২০০৪
অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৬ রানে ৯ উইকেট নিয়েই আগমনবার্তা শুনিয়েছিলেন ইরফান পাঠান। ২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট-ওয়ানডেতে অভিষেকেই নজরকাড়া ইরফান ভারতের ঐতিহাসিক পাকিস্তান সিরিজ জয়ের অন্যতম নায়ক। সে বছর আইসিসির বর্ষসেরা উদীয়মান ক্রিকেটার আর কেউ হতে পারতেন না। ২০০৬ সালে করাচি টেস্টের প্রথম ওভারেই হ্যাটট্রিক করে ইতিহাস গড়েন। কিন্তু এত প্রতিশ্রুতি শেষ হয়ে গেল গ্রেগ চ্যাপেলের ভুলে। একজন পেস অলরাউন্ডার পাওয়ার আশায় ইরফানের ব্যাটিংয়ে নজর দেওয়া হলো বেশি, আর সুইং বোলিংয়ের অসাধারণ পসরা সাজিয়ে আসা বোলারটিই হারিয়ে গেল!

কেভিন পিটারসেন ২০০৫
দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম, সেখানেই যুব দলে বেড়ে ওঠা এক খেলোয়াড় খেলছেন ইংল্যান্ডে—আলোচনায় আসতে কেভিন পিটারসেনের জন্য এটুকুই ছিল যথেষ্ট। তাঁর দ্বিতীয় সিরিজটাই আবার দক্ষিণ আফ্রিকায়। ৭ ম্যাচের সিরিজে ১৫১.৩৩ গড়ে ৪৫৪ রান! বছরটা শেষ হতেই সেরা উদীয়মান, সেরা ওয়ানডে খেলোয়াড় পিটারসেন! বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশে তো থাকবেনই! পরে আরও দুবার বর্ষসেরা ওয়ানডে দলে নাম লেখান, দুবার টেস্ট একাদশে। একটু স্বাধীনচেতা ও মুখ আলগা স্বভাবের না হলে এখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ত্রাস হয়ে থাকতে পারতেন।

ইয়ান বেল ২০০৬
পিটারসেনের যুগে ইংল্যান্ড দলে আসা, প্রচারের আলো কখনোই ইয়ান বেলের ওপর ছিল না। তবে ২০০৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষের টানা তিন টেস্টে তিন সেঞ্চুরিতে ঠিকই নিজের বিখ্যাত সতীর্থকে পেছনে ফেলেছিলেন। সেবারের সেরা উদীয়মান বিশ্বসেরাদের কাতারে যেতে পারেননি কখনো, কিন্তু বেল ইংল্যান্ড দলকে ভরসা জুগিয়েছেন এক যুগ।

শন টেইট ২০০৭

ব্রেট লির ভবিষ্যৎ হিসেবে দেখা হচ্ছিল তাঁকে। লির চোটে পড়াটাই শন টেইটকে সুযোগ করে দিয়েছিল ২০০৭ বিশ্বকাপে খেলার। ২৩ উইকেট নিয়ে নির্বাচকদের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন টেইট। কিন্তু যে স্লিঙ্গিং অ্যাকশনে এমন ভয়ংকর গতি, সেই অ্যাকশনই তাঁর কাল হয়েছিল। চোটের সঙ্গে লড়াই করে ক্লান্ত টেইট এখনো টিকে রয়েছেন, কিন্তু তাঁর সেরাটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কখনোই দেখবে না।

অজন্তা মেন্ডিস ২০০৮

একজন অফ স্পিনার বল করছেন, আর সে বল বুঝে উঠতেই পারছেন না ভারতের বাঘা বাঘা সব ব্যাটসম্যান! বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন ‘রহস্য স্পিনার’ অজন্তা মেন্ডিস। সেবার বর্ষসেরা ওয়ানডে দলেও ঢুকে পড়েছিলেন ক্যারম বলকে আবারও ক্রিকেটে ফিরিয়ে আনা বোলার। কিন্তু ধীরে ধীরে রহস্য উন্মোচিত হয়ে গেল, ২০১৪ সালে একবার ফেরার ইঙ্গিত দিলেও এখন আবারও নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন মেন্ডিস।

পিটার সিডল ২০০৯

অভিষেকের পরও বিস্ময়ের ঘোর কাটেনি পিটার সিডলের। রিকি পন্টিং, মাইকেল ক্লার্কদের সঙ্গে একই ড্রেসিংরুমে! বিস্ময়ের ঘোর কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই দেখা গেল ২০০৯ সালের সেরা উদীয়মান এই অস্ট্রেলিয়ান পেসার। সাদা পোশাকেই সিডলের সেরাটা দেখা গেছে সব সময়। ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টিতে ব্রাত্যই থেকে গেছেন ভিক্টোরিয়ান পেসার।

স্টিভেন ফিন ২০১০

প্রথমবারের মতো লর্ডসে খেলেই অনার্স বোর্ডে নাম লেখানো, অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে গিয়ে প্রায় দুই যুগ পর অ্যাশেজ জিতিয়ে ফেরা—ইংলিশ ফাস্ট বোলার স্টিভেন ফিনই ২০১০ সালের সেরা উদীয়মান। কিন্তু গতি, বাউন্স ও আগ্রাসী মনোভাব থাকলেও বোলিংয়ে নিয়ন্ত্রণহীনতা প্রত্যাশা পূরণ করতে দেয়নি ফিনকে।

দেবেন্দ্র বিশু ২০১১

তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আসাটাই বড় দেরিতে। কিন্তু লেগ স্পিন বোলিংয়ে এমনই উইকেট-বন্যা বইয়ে দিলেন, ২৬ বছর বয়সী দেবেন্দ্র বিশুই সেরা উদীয়মান। এরপর আর চার বছর কোনো সাড়াশব্দ নেই! ২০১৫ সালে আবারও ডাক পেলেন ক্যারিবীয় দলে। নিয়মিত উইকেটও পাচ্ছেন, তবে আবারও হারিয়ে না গেলেই হয়!

সুনীল নারাইন ২০১২

মেন্ডিসের পর সুনীল নারাইন নামে নতুন এক ‘রহস্য স্পিনার’ পেল ক্রিকেট। তাঁর নামের পাশে অফ স্পিনার লেখা হলেও, তিনি আসলে কখন কী বল করবেন সেটা বোঝা যেত ব্যাটসম্যান বলটা খেলার পর। এখনো পুরোপুরি তাঁর রহস্যভেদ হয়নি। তবে অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় সেটা শোধরাতে হয়েছে দুবার। তাতেও ধার কমেনি, ২০১৬ সালে বর্ষসেরা ওয়ানডে দলে নাম লিখেছেন নারাইন, ইঙ্গিত দিচ্ছেন আরও ভয়ংকর রূপে ফেরার।

চেতেশ্বর পূজারা ২০১৩

অভিষেক ২০১০ সালে। তবে ২০১২ ও ২০১৩ টানা দুই বছরে টেস্টে একটি ডাবল সেঞ্চুরিসহ তিনটি করে সেঞ্চুরি। ভালো শুরুটা ধরে রেখেছেন চেতেশ্বর পূজারা, এখন তো ভারতীয় টেস্ট দলের মিডল অর্ডারের অন্যতম নির্ভরতা।

গ্যারি ব্যালান্স ২০১৪

শুরুটা ভালো ছিল গ্যারি ব্যালান্সের। অভিষেকের বছরেই তিনটি টেস্ট সেঞ্চুরি। সেরা উদীয়মান হয়েই অবশ্য পথ হারিয়েছেন। গত দুই বছরে মাত্র একটা সেঞ্চুরি। বাংলাদেশ সিরিজের পর দলে জায়গাও হারিয়ে ফেলেছেন এই ইংলিশ পেসার।

জশ হ্যাজলউড ২০১৫

জশ হ্যাজলউডের আন্তর্জাতিক অভিষেক ২০১০ সালে। কিন্তু সেরা উদীয়মান হলেন কিনা ২০১৫ সালে এসে! অভিষেকের পরই হারিয়ে যাওয়া হ্যাজলউডের টেস্ট অভিষেক হতে হতে ২০১৪। অবশ্য ২০১৫ সালেই নিজেকে দেখেন আইসিসির বর্ষসেরা টেস্ট একাদশে। এখন তো অস্ট্রেলিয়া দলের মূল দুই বোলিং অস্ত্রের একজন এই পেসার।-প্রথম আলো

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেবিস্তারিত পড়ুন

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম ম্যাচে আজ ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।বিস্তারিত পড়ুন

বিপিএলে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বরিশাল

বিপিএলের ফাইনালে শুরুতে ব্যাটিং করে রেকর্ড রান সংগ্রহ করে প্রথমবিস্তারিত পড়ুন

  • শেখ হাসিনার বাসভবন সুধা সদনেও আগুন
  • আজীবন সম্মাননা পেলেন টেন্ডুলকার
  • কিস্তিতে খেলোয়াড়দের বকেয়া শোধ করবে ‘দুর্বার রাজশাহী’
  • টানা ৮ ম্যাচ জেতার পরও এলিমিনেটরে হেরে রংপুরের বিদায়
  • বড় জয়ে সেরা আটে থাকার আশা বাঁচিয়ে রাখল রিয়াল
  • নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
  • প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
  • নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
  • ভারতের বিপক্ষে ১৩৩ রানের বিশাল পরাজয় বাংলাদেশের
  • আলোক স্বল্পতায় তৃতীয় দিনের খেলা শেষ, বাংলাদেশের প্রয়োজন আরও ৩৫৭
  • বাংলাদেশ-ভারত সিরিজে হামলার হুমকির পর এবার বয়কটের ডাক
  • বাংলাদেশ-ভারত সিরিজে থাকবেন তামিম!