মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি
অনুমোদনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও প্রশাসনের চোখের সামনে চট্টগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তি করছে ১৮টি কলেজ! পাঠদানের অনুমোদন ও স্বীকৃতির মেয়াদ শেষ হওয়া এসব প্রতিষ্ঠানের জন্য আবার সুপারিশও করছেন মন্ত্রী, এমপি কিংবা ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এ কারণে ‘চোখ বন্ধ’ করে রেখেছে শিক্ষা বোর্ড। মন্ত্রণালয়েরও নেই কোনো তোড়জোড়। অথচ স্বীকৃতিবিহীন এসব কলেজে ভর্তি হয়ে অনিশ্চিতের পথেই পা বাড়াচ্ছে হাজার হাজার শিক্ষার্থী। একাদশ শ্রেণীর ভর্তি নিয়ে এবারে হযবরল হওয়ায় শিক্ষার্থীরাও আর যাচাই করছে না কলেজের মান।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে লিখিত কোনো সিদ্ধান্ত না পেলে আমরা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারি না। তবে বোর্ডের উদ্যোগে চট্টগ্রামের যেসব বেসরকারি কলেজের পাঠদানের অনুমোদন ও স্বীকৃতির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে সেসব কলেজের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। এ তালিকা খুব শিগগিরই পাঠানো হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে।’ একই প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক সুমন বড়ূয়া বলেন, ‘ইআইএন নম্বর থাকায় এসব কলেজে অনলাইনে আবেদন করে শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে। তবে এসব কলেজের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়ে জানানো হবে।’
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালে অনুমোদনের মেয়াদ শেষ হলেও এখনও শিক্ষার্থী ভর্তি করিয়ে নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করছে চট্টগ্রাম ল্যাবরেটরি কলেজ। ন্যাশনাল পাবলিক কলেজের অনুমোদনের মেয়াদ শেষ হয় ২০০৮ সালে। একই বছর মেয়াদ শেষ হয় সাউথ পয়েন্ট কলেজ ও সৃজনী ট্রাস্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজেরও। ২০০৯ সালে অনুমোদন হারায় মেরন সান স্কুল অ্যান্ড কলেজ। ২০১০ সালে পাঠদানের স্বীকৃতি অনুমোদনের মেয়াদ শেষ হয় কসমোপলিটন কলেজের। ২০১১ সালে অনুমোদন হারায় সেন্ট্রাল পাবলিক কলেজ, মেট্রোপলিটন সায়েন্স কলেজ ও কক্সবাজার হার্ভার্ড কলেজ।
২০১২ সালে অনুমোদনের মেয়াদ শেষ হয় চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজ ও কর্ণফুলী পাবলিক কলেজের। ২০১৩ সালের পর থেকে আর অনুমোদন বা স্বীকৃতি নবায়ন করেনি সিএসবিএইচ কলেজ, সারমন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, চকরিয়া কমার্স কলেজ, অক্সফোর্ড মডার্ন কলেজ। ২০১৪ সালে মেয়াদ শেষ হয় পিনাকল চার্টার্ড কলেজ ও কক্সবাজার কমার্স কলেজের। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ জাহেদ খান সমকালকে বলেন, ‘অনুমোদন না থাকার পরও কীভাবে কলেজ চলছে সেই উত্তর চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষেরই ভালো জানা আছে। চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজের বৈধতা না থাকলে এটি বন্ধ হয়ে যেত। তাছাড়া আমাদের কলেজের ইআইএন নম্বরও আছে, যার কারণে অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করাচ্ছি।’
বিজ্ঞান কলেজের জন্য মন্ত্রী ও নেতাদের সুপারিশ : চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজের স্বীকৃতি ও পাঠদানের মেয়াদ ২০১২ সালে শেষ হলেও এই কলেজে আসন বৃদ্ধির জন্য প্রতি বছরই চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে আসে মন্ত্রী, এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতাদের সুপারিশ। গত বছর এই কলেজে ২০০ আসন বাড়ানোর জন্য সুপারিশ করেছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। এই সুপারিশের ভিত্তিতে আসন বাড়ানো হয় বিজ্ঞান কলেজের। এ বছর এই কলেজের জন্য আবার ২০০ আসন বাড়ানোর সুপারিশ পাঠান একই মন্ত্রী। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নুরুল ইসলাম বিএসসির সুপারিশও।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
কুড়িগ্রামে ভয়াবহ বন্যায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দী
কুড়িগ্রামে টানা ৬ দিন বন্যায় ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। মানুষজনবিস্তারিত পড়ুন
চালু হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত হাট
প্রায় সাড়ে চার বছর পর আগামী ২৯ জুলাই থেকে চালুবিস্তারিত পড়ুন
রায়পুরায় বিএনপির প্রায় ১০০ নেতা কর্মী আ’লীগে যোগদান
‘আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করে, ঘরের ছেলে ঘরেবিস্তারিত পড়ুন