শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

মেয়েদের অন্তর্বাস ও জুতা চুরিই ছিল যাঁর নেশা!

বিশ্বের অপরাধ জগতে কুখ্যাত অপরাধীদের তালিকায় অসংখ্য নাম রয়েছে। কিন্তু তার মধ্যে কিছু নাম আজও গোটাবিশ্বকে শিহরিত রে, আতঙ্কিত করে। তাঁদের মধ্যে জেরি ব্রাডোসের নাম অন্যতম। জেরির জন্ম আমেরিকার ডাকোটায়। ছোট থেকেইমেয়েদের হাই হিল জুতো আর লেস বসানো অন্তর্বাসের প্রতি ছিল দারুন আকর্ষণ।

পাঁচ বছর বয়সে নিজের ক্লাস টিচারের জুতো চুরি করেন জেরি। সেই থেকে শুরু। এর পর মেয়েদের জুতো আর অন্তর্বাস চুরি করা তাঁর নেশা হয়ে দাঁড়াল। প্রতিবেশীদের ভিজে জামাকাপড় রোদে মেলা থাকলে বেছে বেছে লেস বসানো অন্তর্বাস চুরি করতেন জেরি। তাঁর যখন সতেরো বছর বয়স তখন এক তরুণীকে মারধর করেন জেরি। প্রাণনাশের হুমকি দেন ওই তরুণীকে নিজের যৌন আকাঙ্ক্ষা মেটানোর দাবিতে। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় জেরিকে।

৯ মাস ধরে চলে তাঁর মানসিক চিকিৎসা। এই সময় চিকিত্সকরা জানতে পারেন, নিজের মা এবং সমগ্র নারীজাতিকে ঘেন্না করেন জেরি। সবার উপর প্রতিশোধ নিতে চান। কেন এমন মনোভাব তৈরি হল তাঁর! মনোবিজ্ঞানীরা জেরির কেস হিস্ট্রি ঘেঁটে জানান, কন্যাসন্তানের মা হওয়ার ইচ্ছে ছিল জেরি ব্রাডোসের মায়ের। কিন্তু দ্বিতীয় সন্তানও ছেলে হওয়ার পর সব রাগ গিয়ে পড়ল ওই শিশুটির উপর। মায়ের কাছ থেকে দুর্ব্যবহার আর চরম অবহেলায় বড় হতে লাগলেন জেরি। আর এর থেকেই মেয়েদের প্রতি তীব্র ঘৃণার জন্ম হয় জেরির মনে।

মানসিক রোগী হলেও জুয়েশন শেষ করে একটি সংস্থায় ইলেকট্রিশিয়ানের চাকরি পান তিনি। নিজের ২২ বছর বয়সে ১৭ বছরের এক কিশোরীকে বিয়ে করে সংসার পাতেন তিনি। নিজের স্ত্রীকে জেরি নির্দেশ দেন, সম্পূর্ণ বিবস্ত্র হয়ে বাড়ির সব কাজকর্ম করতে। স্বামীর এই হুকুমকে প্রথমে ঠাট্টা হিসেবেই ধরেছিলেন তিনি। পরে অবশ্য ভুল ভাঙে তাঁর। স্বামীর হুকুম মাফিক সম্পূর্ণ বিবস্ত্র হয়েই কাজ করতে বাধ্য হতেন জেরির স্ত্রী আর ওই অবস্থায় স্ত্রীর ছবি তুলে রাখতেন জেরি।

দুই সন্তানের বাবা জেরির বাড়িতে একটা গ্যারাজ ছিল যেখানে কারও ঢোকার অনুমতি ছিল না। সেখানে এই বিকৃতকামী লুকিয়ে রাখতেন তাঁর হাতে নিহত মেয়েদের নিথর দেহ।

পরে তদন্তে জেরি স্বীকার করেন, ১৯৬৮ থেকে ১৯৬৯, এক বছরে তিনি ৪ জন তরুণীকে খুন করেন। তাঁর প্রথম শিকার ছিলেন ১৯ বছরের লিন্ডা। নিজের প্রথম খুনের স্মৃতি হিসেবে জেরি সংরক্ষণ করেছিলেন লিন্ডার স্তনযুগল যা তিনি ব্যবহার করতেন পেপারওয়েট হিসেবে! এ ছাড়াও তাঁর সংগ্রহে ছিল লিন্ডার বাঁ পা। সেটা ছিল জেরির ‘মডেল’। জুতো চুরির পরে ওই পায়ে পরিয়ে দেখতেন তিনি কেমন লাগছে! চুরি করা জুতোর রীতিমতো ক্যাটালগ ছিল জেরির কাছে। খুনের পরে ওই জুতো পরেই স্বমেহন করতেন তিনি। তারপর সম্ভোগে লিপ্ত হতেন মৃতদেহর সঙ্গে।

গ্রেফতারের পরে বিচারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় জেরির। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০০৬ সালে জেলে-ই মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুর দশ বছর পরেও এখনও তাঁর নাম শুনলে আঁতকে ওঠেন বিশ্বের তাবড় মনোবিজ্ঞানীরা, আঁতকে ওঠেন বিশ্বের অসংখ্য মানুষ। দুর্বৃত্তরা।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা

পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন

এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?

এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন

৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন

১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

  • লজ্জায় লাল হয়ে যায় পাখিও
  • দুই হাতের হৃদয়রেখা মিলে গেলে কি হয় জানেন?
  • ৩২১ থেকে ওজন কমিয়ে ৮৫!
  • রং নম্বরে প্রেম, বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি ঝলসে যাওয়া মুখ
  • পানিতে ভেসে উঠলো অলৌকিক হাত!
  • ১৫ বছরে একবার ফোটে ‘মৃত্যুর ফুল’
  • চা বিক্রেতা এখন ৩৯৯ কোটি টাকার মালিক
  • একটি মাছের বিষে মারা যেতে পারে ৩০ জন
  • মোবাইল কিনতে ছয় সপ্তাহের শিশুকে বিক্রি
  • পরকীয়ায় জড়াচ্ছে নারীরা প্রধান যে তিনটি কারণ নেপথ্যে
  • ২৪০০ কেজি খিচুড়ি রান্না হয় যেখানে দৈনিক !
  • পরীক্ষায় ফেল করলেই বিবাহ বিচ্ছেদ