মেয়ে হত্যার বিচার পাবেন তনুর বাবা?

তনু হত্যা ঘটনার এখনো কোনো কূল করা যায়নি। কে বা কারা জঘন্যতম এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত তাদেরও কোনো হদিস মেলেনি। আদৌ কি মেয়ে হত্যার বিচার পাবে তনুর বাবা-মা? মরদেহ পাওয়ার পর প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদনে অনেক বিষয়ই এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। দ্বিতীয়বার মরদেহ তুলে ময়নাতদন্তে ধর্ষণের আলামত পেয়েছে পুলিশ।
এছাড়া মাথা ও কানের পেছনে জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রথমবার প্রতিবেদনে এসব তথ্য আসেনি কেন, তার কোনো জবাব কি পুলিশ দিতে পারবে? দেশে প্রায়ই ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটে। কিন্তু বেশির ভাগ মামলাই শেষ পর্যন্ত যায় না। আসামি পক্ষের চাপে কিংবা পর্যাপ্ত সাক্ষী প্রমাণের অভাবে মামলা তুলে নিতে হয় বা নিষ্পত্তি হয়ে যায়। আন্দোলন না হলে ধর্ষণ মামলার কোনো হদিস থাকে না। যারা ধর্ষণ করে তারা বিকৃতি মানসিকতার অধিকারী এ কথা সহজেই অনুমেয়।
কিন্তু মানুষরূপী এই পশুরা দিনের পর দিন পার পেয়ে গেলে এ ধরনের অপরাধ বন্ধ হবে না। আর যেন একটি মেয়েকেও যৌন নির্যাতন কিংবা ধর্ষণের শিকার হতে না হয়, এজন্য বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তনু হত্যার বিচারের দাবি কোনো গোষ্ঠী কিংবা বাহিনীর সঙ্গে বিভেদ সৃষ্টির জন্য নয়। বরং সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নির্মম এই হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার হবে, এমনটাই আশা করছি।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দুই ধাপে সহিংসতায় অন্তত ২০ জনের প্রাণহানির খবর মিলেছে। আহত হয়েছেন শতাধিক। নির্বাচন কমিশন বরাবরই এসব সহিংসতার দায় অস্বীকার করছে। তাহলে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে তাদের ভূমিকা কী ছিল? ভোটাররা যেন শান্তিপূর্ণভাবে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারে এই পরিবেশ নিশ্চিত করা কি তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না? নির্বাচন কমিশনের এই ব্যর্থতার কারণে সরকারের দিকে আঙুল তোলার চেষ্টা হচ্ছে। দলীয় প্রতীকে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল, বিরোধী দল সবাই সাড়া দিয়েছে। জনগণের মধ্যেও ভোটের উৎসব ছড়িয়ে পড়েছে। অথচ নির্বাচন কমিশনের অদূরদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে সমালোচনা এড়ানো যাচ্ছে না। কমিশনকে ভবিষ্যতে আর কঠোর ও সতর্ক হতে হবে। তাদের দুর্বলতার কারণে যেন সরকারকে সমালোচনার মুখে পড়তে না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
কলকাতার বড়বাজার অঞ্চলের জোড়াসাঁকো এলাকায় নির্মাণাধীন বিবেকানন্দ উড়াল সড়ক ভেঙে পড়ে বিপুল প্রাণহানির ঘটনায় আমরা শোকাহত। উন্নয়ন অবকাঠামোর দুর্বলতার কারণে এ ধরনের দুর্ঘটনা কখনই কাম্য নয়। বলা হচ্ছে, নকশার দুর্বলতার ও সঠিকভাবে যন্ত্রাংশ ব্যবহার না করায় এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশেও এ ধরনের অবকাঠামো গড়ে উঠছে। আমাদের উচিত প্রতিবেশী দেশের এই দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নেওয়া। ঢাকা টাইমস
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাসের সবাইকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত
ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত ক্রমেই উদ্বেগজনক রূপ নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতেবিস্তারিত পড়ুন

সংঘাতের মাঝেও তেহরানের বায়ুমান ঢাকার চেয়ে ভালো
সোমবার রাত থেকেই দফায় দফায় কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়।বিস্তারিত পড়ুন

অবিলম্বে তেহরান খালি করার আহ্বান ট্রাম্পের
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত পঞ্চম দিনে গড়ানোর আগেই তেহরানবাসীদের শহর খালি করারবিস্তারিত পড়ুন