মোটা বলে যুবতীকে নামিয়ে দিলেন অটোরিকশা চালক
মোটা হওয়ার কারণে অটো থেকে ৩০ বছর বয়সী তরুণীকে নামিয়ে দিলেন চালক। অবশ্য চালক নামিয়ে দিয়েছেন বললে একটু ভুলই হবে। অটোচালকের অপমানজনক কথা সহ্য করতে না পেরে তরুণীই নেমে যান অটো থেকে।
দিন কয়েক আগে অস্মি শাহ নামের ৩০ বছর মুম্বাই নিবাসী এক তরুণী অটোরিকশায় চড়েছিলেন। সান্তা ক্রুজে যাওয়ার কথা ছিল অস্মির। অটোরিকশায় ওঠার পরেই অটোরিকশাচালক অস্মিকে বলেন, ‘সিটের ধারে বসবেন না। মাঝখানটায় এসে বসুন।’
সেই মতো সিটের মাঝে এসে বসেন অস্মি। মাঝপথে নিজের মাকে অটোতে তোলার কথা ছিল অস্মির। অটোরিকশাচালককে সেই কথা বলেন তিনি। সম্মত হওয়ার পরিবর্তে অটোরিকশাচালক পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘আপনার মাও কি আপনার মতোই মোটা?’ হতচকিত হয়ে যান অস্মি।
তিনি চালককে অনুরোধ করেন, এমন বিশ্রী ভাষায় যেন কথা না বলেন তিনি। এবার অটোরিকশাচালক সরাসরি বলেন, ‘দেখুন, আমি মোটা লোকেদের আমার অটোতে তুলি না।’ অস্মি রেগে গিয়ে চালকের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করার ভয় দেখান। কিন্তু অটোরিকশাচালক ভয় পাওয়ার বদলে অস্মিকে বলেন, ‘আপনার যা ইচ্ছে করুন।’ অপমানিত অস্মি অটো থেকে নেমে যান।
অটোরিকশাটির নাম্বার প্লেটের একটি ছবি তুলে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন অস্মি। পরে সেই ছবি অস্মি মুম্বাই পুলিশের কাছে টুইটার মারফৎ অভিযোগ করেন। পুলিশ সেই চালকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়। কিন্তু টুইটারে নিজের অপমানের কথা পোস্ট করে অন্যরকম বিপাকে পড়েন অস্মি। তার স্থূলতাকে ব্যঙ্গ করে অজস্র পোস্ট আসতে শুরু করে।
সেখানে কেউ লেখেন, ‘তুমি একটু রোগা হলেই তো পারো। হা হা!’ কেউ আবার বলেন, ‘তুমি আর তোমার মা তো আসলে চারজনের সমান। আর অটোতে চারজন নেওয়া বেআইনি।’ কেউ বা লেখেন, ‘আসলে অটোচালক চাইছিলেন, আপনি অটোতে না চড়ে একটু হাঁটুন। তাতে আপনিই সুস্থ থাকবেন।’
রীতিমত হতবাক হয়ে যান অস্মি। তিনি চেয়েছিলেন, স্থূলতার প্রতি মানুষের ব্যঙ্গাত্মক মনোভাব বদলাতে। সেটা করতে গিয়ে তিনি আরও বেশি করে হয়ে উঠেছেন হাসির খোরাক। সোশ্যাল মিডিয়া সাধারণভাবে মানুষকে সুবিচার দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হলেও তার অন্যথাও যে কোনও কোনও ক্ষেত্রে ঘটে থাকে- অস্মির ঘটনা যেন তাই প্রমাণ করে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন