ময়মনসিংহের ৫ থানায় ‘নিখোঁজ’ ৭
ময়মনসিংহের পাঁচ থানায় এখনো সাতজন নিখোঁজ রয়েছে বলে জিডি করেছেন তাদের স্বজনরা। গত দেড় বছরের মধ্যে ওই সাত যুবক নিখোঁজ হয় বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়। তবে কেন তারা নিখোঁজ রয়েছে বা এরা জঙ্গি তৎপরতার সাথে সংশ্লিষ্ট রয়েছে কি না তা পুলিশ নিশ্চিত নয়। তবে গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলায় হতাহতের পর পুলিশ জিডিগুলো গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে। কেন তারা নিখোঁজ হলো বা এখন কোথায় রয়েছে নাকি কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীর সাথে জড়িয়ে পড়েছে তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
গুলশানের হোলি আর্টিজানে বিদেশীসহ ২২ জনকে হত্যা এবং কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় দুই পুলিশসহ চারজনকে হত্যার পর থেকে নিখোঁজদের ব্যাপারে দেশজুড়ে হই-চই পড়ে যায়। সরকারের পক্ষ থেকে নিখোঁজদের ব্যাপারে থানায় জিডি করার পরামর্শ দেয়ার পাশাপাশি নিখোঁজদের তালিকা তৈরী এবং তাদের সন্ধানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও তৎপর হয়ে উঠেন। দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও অনুপস্থিতির তালিকা নিয়ে হিসাব হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় নিখোঁজদের তালিকা তৈরির তাগিদ দেয়া হয়। এরই প্রেক্ষাপটে ময়মনসিংহের র্যাব-পুলিশসহ গোয়েন্দারাও প্রতিটি থানায় খোঁজখবর নেন।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরে আলম সাংবাদিকদের জানায়, ময়মনসিংহের পাঁচটি থানায় সাতজন নিখোঁজের জিডি পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ফুলবাড়িয়ায় তিনজন, ভালুকা, গফরগাঁও, ধোবাউড়া ও হালুয়াঘাটে একজন করে নিখোঁজ রয়েছে। সূত্রমতে, গত ৭ ফেব্রুয়ারী ফুলবাড়ীয়া উপজেলার জোরবাড়িয়া মন্ডলবাড়ি গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আবু সাঈদ জাহাঙ্গীর হোসেন তার ভাই সাখাওয়াত হোসেন (২৮) নিখোঁজ রয়েছে বলে থানায় একটি জিডি করেছেন। গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর ফুলবাড়ীয়া থানায় দায়ের করা এক জিডিতে উপজেলার ভবানীপুর টানপাড়া গ্রামের জহিরুল ইসলাম (১৬) নিখোঁজ রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তার পিতা আব্দুল জলিল। একই উপজেলার কৈয়ারচালা পশ্চিমপাড়া গ্রামের রফিজ উদ্দিন ২০১৫ সালের ১৩ মার্চ একটি জিডিতে তার ছেলে মো. নায়েদুল্লাহ (১২) নিখোঁজ কথা উল্লেখ করেছেন।
ভালুকা মডেল থানায় ২০১৬ সালের ১৮ এপ্রিল দায়ের করা একটি জিডিতে বলা হয়, শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলার বড়গজনী গ্রামের মুমিত চন্দ্র সাংমার ছেলে রাজেশ কুবি (২৪) নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ রাজেশ কুবির বোন শুভ্রা কুবি ওই জিডি দায়ের করেন। তিনি জিডিতে বর্তমান ঠিকানা ভালুকা ডিগ্রী কলেজের পিছনে মাহাবুবুর রহমানের ভাড়াটিয়া হিসেবে উল্লেখ করেছেন। গত ০৯ জুলাই গফরগাঁও থানায় দায়েরকৃত একটি জিডিতে উপজেলার ধামাইল গ্রামের আবুল হোসেন তার ছেলে ফরহাদ মিয়া (১৬) নিখোঁজ হওয়ার কথা জানিয়েছেন। ২০১৫ সালের ২৩ মার্চ হালুয়াঘাট উপজেলার আকনপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী রিপন সাহা একটি জিডি করেছেন। এতে কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানার আব্দুর রহমান যতি (২৮) নামে একজন নিখোঁজ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। ধোবাউড়া থানায় গত ১১ জুলাই একটি জিডি করা হয়। এতে উপজেলার গোপিনপুর (দরগা শরীফ) গ্রামের রোকন উদ্দিনের স্ত্রী মোছা সাপিয়া খাতুন (৩৫) তার ছেলে মুজাহিদুর রহমান (১৩) নিখোঁজ রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন।
পুলিশ সুপার মঈনুল হক সাংবাদিকদের জানান, এ পর্যন্ত সাতজন নিখোঁজের তালিকা পাওয়া গেছে। তাদের পারিবারিক ও সামাজিক অবস্থা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিখোঁজদের সন্ধানে পুলিশ মাঠে নেমেছে। নিখোঁজদের ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোহিতা করার আহবান জানিয়েছেন তিনি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নান্দাইলে চাচাতো ভাইয়ের হাতে চাচাতো ভাই খুন
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় বুধবার (১৯ জুন) সকালে ক্ষেতের আইল কাটাকেবিস্তারিত পড়ুন
ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন
ময়মনসিংহে ভূমিসেবা সপ্তাহ উপলক্ষে জনসচেতনামূলক সভা
ভূমি সংক্রান্ত সকল অনলাইন সেবার বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে “স্মার্টবিস্তারিত পড়ুন