যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশকে কোটা ও শুল্কমুক্ত সুবিধা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘ সম্মেলনে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে ম্যানহাটনের হোটেল এস্টোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশ পোশাক শিল্প শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও স্বার্থরক্ষায় নানা ব্যবস্থা নিয়েছে। শ্রমিকদের জীবনমান বৃদ্ধির জন্য বেতনও বাড়িয়েছে। এই অবস্থায় পোশাক শিল্প আগের চেয়ে অনেক বেশি নিরাপদ।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের জন্য কোটা ও শুল্কমুক্ত সুবিধা পেলে দুই দেশের ব্যবসায়ীরাই লাভবান হবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ব্যবসা প্রতি বছর বেড়ে চলেছে। শুল্কমুক্ত সুবিধা পেলে এই বাণিজ্য আরও বাড়বে।
বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় জায়গা। সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করেছে। দেশে গড়ে তোলা ১০০টি হচ্ছে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল। এরই মধ্যে ১০টিতে কাজ শুরু হয়েছে। এসব অঞ্চলে সহজেই জমি পাবেন বিনিয়োগকারীরা। জ্বালানি চাহিদা পূরণে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চাহিদা অনুযায়ী জ্বালানি সরবরাহ করতে পারবে সরকার।
সভায় যোগ দেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এবং মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়ালও। তিনি বলেন, তার দেশে আগামী আটই নভেম্বরের নির্বাচনে যারাই ক্ষমতায় আসুক না কেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে তার কোন প্রভাব পড়বে না। বর্তমান প্রশাসনের সাঙ্গে বাংলাদেশের সাথে যে সম্পর্ক, নতুন প্রশাসনের সঙ্গেও সেই সম্পর্ক অটুট থাকবে।
নিশা দেসাই বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বাংলাদেশ সফর করে দেশটির উন্নয়ন এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি দেখে অভিভূত হয়েছেন। তবে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার বিষয়টি ভাবিয়ে তুলছে পুলিশকে। তিনি বলেন, সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মামুদ আলী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহারিয়ার আলম, রাজস্ববোর্ডের চেয়ারম্যান নজিবুল রহমান, রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন, জাতিসংঘে নিযুক্ত স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন, সহ যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারী বড় বড় প্রতিষ্ঠান এবং কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তারা অংশ নেন।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭১তম অধিবেশনের সাধারণ আলোচনার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গত রবিবার নিউইয়র্কে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। এর আগে তিনি চারদিন কানাডায় অবস্থান করেন।
বুধবার জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। একই দিন স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেয়া সংবর্ধনায় অংশ নেবেন তিনি।
জাতিসংঘ সম্মেলন ও বেশ কিছু কর্মসূচিতে যোগদান শেষে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর দেশে ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন
জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন