শুক্রবার, অক্টোবর ১৮, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

দু’গ্রুপের বুলেটে থেঁতলে গেছে তুলতুলে দেহ

দাঙ্গাবাজ ও সন্ত্রাসীদের বুলেটের ছোবল থেকে রক্ষা পেল না মাতৃগর্ভে থাকা ছোট্ট শিশুটিও। সন্ত্রাসীদের গুলির আঘাতে থেঁতলে গেছে একরত্তি শিশুর তুলতুলে দেহ। থেঁতলে গেছে পিঠ, বুক, হাত ও গলাসহ একটি চোখ। এমন অবস্থায় ছোট্ট শিশুটি মরা-বাঁচার সন্ধিক্ষণে শনিবার থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শিশু সার্জারি বিভাগে ভর্তি রয়েছে। শিশুটিকে সুস্থ করে তুলতে মঙ্গলবার সকালে ৮ সদস্যবিশিষ্ট একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

বোর্ড প্রধান ও শিশু সার্জারি বিভাগের সহযোগী প্রফেসর ডা. কানিজ হাসিনা শিউলীর তত্ত্বাবধানে শিশুটির চিকিৎসা চলছে। মঙ্গলবার বিকালে ডা. কানিজ হাসিনা শিউলী এই প্রতিবেদককে জানান, নবজাতকটি এখনও শংকামুক্ত বলা যাচ্ছে না। বোর্ড তথা সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় শিশুটির চিকিৎসা চলছে। তারা এই প্রথম মাতৃগর্ভে গুলিবিদ্ধ শিশুর চিকিৎসা করছেন। তাকে টানা স্যালাইন ও ২ ঘণ্টা পর পর বাজার থেকে কেনা দুধ খাওয়ানো হচ্ছে।

মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শিশু সার্জারি বিভাগের ২০৫ নম্বর ওয়ার্ডের ২নং বেডের পাশে জানালাসংলগ্ন একটি বেবিকটে রোখা হয়েছে। মাথার ওপরে রাখা ফ্যান থেকে গরম হাওয়া দেয়া হচ্ছে। মাথা ও মুখমণ্ডল ছাড়া পুরো শরীর ব্যান্ডেজ দিয়ে ঢাকা রয়েছে। কখনও একত্রিত আবার কখনও একের পর এক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখছেন তাকে। তার চিকিৎসায় তৎপর থাকতে দেখা গেছে বোর্ড গঠিত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিমকে।

বেলা ২টার দিকে ৬ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শিশুটিকে দেখতে আসেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে শিশুর পাশে ছিলেন তারা। শিশুটির স্বজনদেরও তারা সান্ত্বনা দেন। একই সঙ্গে চিকিৎসকদের মুখ থেকে বলতে শোনা গেছে, ছোট্ট এ শিশুটিকে সুস্থ করে তুলতে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের সমন্বয়ে চিকিৎসা চলছে। তারা এ শিশুটির চিকিৎসাকে এক প্রকার চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন। শিশু সার্জারি বিভাগের প্রফেসর ও গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ডা. আবদুল হানিফ টাবলু জানান, শিশুটিকে সুস্থ করে তুলতে তারা সম্মিলিতভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

শিশুটির এক্স-রে ও বর্তমান শারীরিক অবস্থা দেখিয়ে ডা. কানিজ হাসিনা শিউলী এই প্রতিবেদককে বলেন, শিশুটিকে বুকের দুধ খাওয়ানো জরুরি। বাজারের দুধ দু’ঘণ্টা পর পর খাওয়ানো হচ্ছে, সঙ্গে চলছে স্যালাইন। তিনি বলেন, আল্লাহ এ শিশুটিকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। ৩৩ সপ্তাহের এ শিশুটির ওজন ২ কেজির চেয়েও কম। তার পিঠের ডান পাশ দিয়ে বুলেটটি ঢুকে বুক ফুড়ে বেরিয়েছে। এ সময় ডান হাতের তালু, গাল ও ডান চোখে ক্ষত হয়।

মঙ্গলবার সকালেও একাধিক এক্স-রে করানো হয়েছে। চারটি স্থানে ক্ষতগুলো থেঁতলে গেছে, তাই সেলাই করা যাচ্ছিল না। মেডিসেন দিয়ে ক্ষতগুলো কিছুটা শুকানোর চেষ্টা চলছে। তবে আজ (বুধবার) ক্ষতগুলো বিশেষ করে পিঠ, বুক ও হাতে সেলাই করা হবে। পরীক্ষা-নীরিক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী তার বুক ও পিঠে ২টি করে সেলাই লাগতে পারে। হাতে কমপক্ষে ৫ থেকে ৬টি সেলাই লাগবে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নবজাতক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. মো. আবিদ হোসেন মোল্লা জানান, শিশুটি আশংকামুক্ত নয়, কম ওজন হওয়ার পাশাপাশি ছোট্ট এ শিশুর শরীর থেকে রক্তক্ষরণও হয়েছে। চক্ষু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ফরিদুল হাসানের রিপোর্ট থেকে পাওয়া যায়, শিশুটির ডান চোখের অবস্থা ভালো নয়। এখনও থেঁতলে রয়েছে। চিকিৎসা চালানো হচ্ছে, অস্ত্রোপচার করা সম্ভব হচ্ছে না। আরও কিছুদিন গেলে চোখের অবস্থাটি পুরোপুরি জানা সম্ভব হবে। প্লাস্টিক সার্জারি প্রফেসর রায়হানা আউয়াল সুমি জানান, ছোট্ট শরীর, ক্ষতগুলো তীব্র। চিকিৎসা চলছে, প্রয়োজন হলে প্লাস্টিক সার্জারি করা হবে।

এদিকে শিশুটির কাকা রেজুয়ান কবির, দুই ফুফু শিউলী ও শিখা আর্তনাদ করছেন। শিখা আক্তার বলেন, ভাইয়ের (বাচ্চু ভূঁইয়া) দ্বিতীয় সন্তান সুমাইয়া আক্তার মানসিক রোগী হওয়ায় আরেকটি সন্তান নেয়ার চেষ্টা করে। দীর্ঘ ৯ বছর পর অবশেষে তার স্ত্রী গর্ভবতী হয়। ৭ মাস গর্ভাবস্থায় নাজমার পেটে স্থানীয় যুবলীগ সন্ত্রাসীদের বুলেট লাগে। এখন তার ভাবী ও নবজাতক শিশুটিও মৃত্যুশয্যায়। চিকিৎসাধীন স্ত্রী, ভারসাম্যহীন মেয়েকে রেখে তার ভাই ঢাকাও আসতে পারছেন না।
বৃহস্প্রতিবার মাগুরা শহরের দোয়াপাড়ায় দলীয় আধিপত্য নিয়ে স্থানীয় যুবলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত স্থানীয় যুবলীগ নেতা আলী হোসেনের গ্র“প দরিদ্র বাচ্চু ভূঁইয়ার বাড়িতে ত্রাস সৃষ্টি করার লক্ষ্যে এলোপাতাড়ি গুলি ছুরতে থাকে। এ সময় বাচ্চু ভূঁইয়ার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী নাজমা আক্তার পেটে গুলিবিদ্ধ হয়। এ সময় আবদুল মোমিন ও মিরাজ হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়। ওই দিন রাতে মাগুরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আবদুল মোমিন। এদিকে শনিবার রাতে মাগুরা সদর হাসপাতালে জরুরি অস্ত্রোপচারে কন্যা সন্তান জন্ম দেন গুলিবিদ্ধ নাজমা বেগম। ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর দেখা যায় নবজাতকও মায়ের গর্ভে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। পরে ভোররাতের দিকে গুলিবিদ্ধ শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। নাজমা বেগম মাগুরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

রাজধানীতে আনসার ব্যাটালিয়ন মোতায়েন

ঢাকা মহানগরীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৬ প্লাটুন আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য মোতায়েনবিস্তারিত পড়ুন

ঢাবি বন্ধের সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে ধন্যবাদ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হল ছেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদেরবিস্তারিত পড়ুন

রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত ২৩

রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে ছাত্রলীগ, শিক্ষার্থী, মহিলা আওয়ামী লীগবিস্তারিত পড়ুন

  • জাহাঙ্গীরনগর রণক্ষেত্র, অর্ধশতাধিক আহত 
  • রাজধানীর শনির আখড়া ও ধনিয়ায় গুলিবিদ্ধ ৬
  • বিএনপি ও সমমনা দলের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  • মিরপুরে অজ্ঞান পার্টির কবলে কিশোর, খোয়ালো অটোরিকশা
  • নয়াপল্টনে র‍্যাবের অভিযানে অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামাদিসহ আটক ১
  • গার্ডরুমে সহকর্মীর গুলিতে পুলিশ সদস্য নিহত
  • বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুদকের ৭২ কর্মকর্তার চাকরি ছাড়ায় নানা আলোচনা
  • রাজধানীর শিশু হাসপাতালে আগুন
  • বায়ু দূষণ: শীর্ষস্থানে বাংলাদেশ, দ্বিতীয় স্থানে পাকিস্তান
  • ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, তাড়াহুড়োয় ভুল হয়ে গেছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
  • রাজধানীতে হাতিরপুলের আগুন নিয়ন্ত্রণে
  • হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া