যেভাবে আসে গুলশান হামলার অস্ত্র, আটক জঙ্গীদের স্বীকারোক্তি
: গত ১ জুলাই রাতে গুলশান-২ এর হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় চালানো হামলায় জঙ্গীরা যে অস্ত্র ব্যবহার করেছিলেন সে ব্যপারে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে আটক জঙ্গীরা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘বর্ডার থেকে চাঁপাইনবাগঞ্জ হয়ে আমের ঝুড়িতে করে গুলশান হামলার অস্ত্র ঢাকায় আনা হয়। সেই অস্ত্র নব্য জেএমবির কমান্ডার নুরুল ইসলাম মারজান গ্রহণ করে। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় যে বাসাটি জঙ্গিরা ভাড়া নিয়েছিল, সেখানে সেই অস্ত্র পৌঁছে দেয় মারজান। পরবর্তীতে সেই অস্ত্র দিয়েই গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা করা হয়।’
মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘গুলশান হামলা বাস্তবায়নের জন্য দুবাই থেকে হুন্ডির মাধ্যমে ১৪ লাখ টাকা আসে। অস্ত্র ভারতের সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।সেই অস্ত্রই চাঁপাইনবাবগঞ্জ হয়ে আমের ঝুড়িতে করে ঢাকায় আনা হয়।’
উল্লেখ্য, গত ১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বর সড়কের ৫ নম্বর বাড়িতে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা চালায় অস্ত্রধারী জঙ্গিরা। ওই হামলায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিনসহ ২০ জিম্মিকে হত্যা করা হয় বলে জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)। নিহত ২০ জিম্মির মধ্যে ১৭ জন বিদেশি ও তিনজন বাংলাদেশি। পরে সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানে নিহত হয় পাঁচ জঙ্গিসহ ছয় জন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
উত্তর প্রদেশে মাদ্রাসা চালু রাখতে বাধা কেটে গেল
ভারতের উত্তর প্রদেশে ২০০৪ সালে তৎকালীন রাজ্য সরকারের তৈরি মাদ্রাসাবিস্তারিত পড়ুন
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে মাজারে হামলা, দানবাক্স উধাও
ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশের হয়রত হাজী খাজা শাহবাজ (রাহ:) এরবিস্তারিত পড়ুন
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ৯ নির্দেশনা
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সরকারি কর্মচারীদের বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে সতর্কবিস্তারিত পড়ুন