যেসব ফুল খাবার হিসাবেও বেশ সুস্বাদু
ফুল সৌন্দর্যের প্রতীক এবং সবাই ভালোবাসে। সৌন্দর্য বাড়াতে বাড়ির আঙিনায় ফুল গাছও লাগান অনেকে মৌসুম অনুযায়ী। কখনও কখনও বিকেলের চা খেতে খেতে কিংবা একান্তে কিছু সময় কাটাতে বাগানে বসে নানা ফুলের সমাহার দেখে দু’চোখ ভরে যায়। তবে শুধু সৌন্দর্য বাড়াতে নয়, সুস্বাদু খাবার তৈরিতেও ফুলের ব্যবহারের জুড়ি নাই। অবাক হলেও বিষয়টা সত্যি, এমন কিছু ফুল আছে, যেগুলো কেবল সৌন্দর্যের জন্যে নয়, খাওয়াও যেতে পারে সেগুলো।
# গোলাপ
আদিকাল থেকে ভালোবাসার প্রতীক গোলাপ খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ভারতে বিভিন্ন খাবারে গোলাপজল, শুকনো গোলাপের পাপড়ি গুঁড়ো করে বিভিন্ন পদে দেয়ার রেওয়াজ প্রচলিত। এছাড়া রোজ (গোলাপ) পেটাল টি ব্যাকটেরিয়াল, ফাংগাল ইনফেকশন, আলসার, অ্যাস্থমা কমাতে পারে। এতে ভিটামিন এ, সি, ডি, ই ও বি৩ আছে। তাই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসেবে ভালো কাজ করে রোজ পেটাল টি।
# কলামোচা
কলামোচা অর্থাৎ কলার ফুল অত্যন্ত সুস্বাদু একটি খাবার। বাঙালির অতি পছন্দের বিখ্যাত এক পদ চিংড়ি কিংবা ডালের বড়ি দিয়ে মোচার ঘন্ট। আহা, জিভে জল এসে যায়!।
# সজনে ফুল
সজনে ফুলও খাওয়া যায়, স্বাদেও বেশ। গরম গরম ধোঁয়া ওঠা ভাতের সাথে সজনেফুলের বড়া, ব্যস রসনার তৃপ্তিতে আর কী চাই!
# কুমড়ো ফুলের বড়া
চালের গুঁড়ো বা বেসনে বিভিন্ন মসলা যোগে এক ধরনের বাটার বানিয়ে কুমড়ো ফুল চুবিয়ে ডুবো তেলে ভাজাকে কুমড়ো ফুলের বড়া বলে। এই বড়া খেতে খুবই সুস্বাদু। কুমড়ো ফুল ছাড়াও বক ফুলের বড়া বাঙালির অতি প্রিয় আরেকটি খাবার।
# গাঁদা ফুল
গাঁদা ফুলের পাপড়ি চায়ে মিশিয়ে খাওয়া হয়। এটি দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে। গ্রিন টি’র সাথে সাধারণত জুঁই ফুল মিশিয়ে খাওয়া হয়।
# ল্যাভেন্ডার ফুল
ল্যাভেন্ডার ফুল থেকে তৈরি এর এসেনসিয়াল অয়েল সুগন্ধি হিসেবে বিভিন্ন খাবারে ব্যবহৃত হয়। লাইলাক শরবত, আইসক্রিম এবং জ্যামে মিশিয়ে খাওয়া যায়।
প্রসঙ্গত, ফুল খেতে চাইলে, যেসব ফুলে কীটনাশক দেয়া হয় নি অবশ্যই এমন ফুল খেতে হবে। শুধুমাত্র ফুলের পাপড়ির অংশই খাওয়ার যোগ্য। যে ফুলে অ্যালার্জি আছে সেগুলো থেকে দূরে থাকুন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন