রবিবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

যে খেলায় বিজয়ীদের পুরস্কার ‘নারী’

আইন-কানুন আছে। নাগরিকের নিরাপত্তা রক্ষায় রয়েছে পুলিশ বাহিনী। দেশ পরিচালনার জন্য নির্বাচিত সরকার। তারপরও থেমে নেই অসভ্যতা ও নোংরামি। বরং ঢাক-ডোল-বাদ্যি বাজিয়ে পরিচালিত হয় বিশ্বের সবচেয়ে ‘নোংরা’ প্রতিযোগিতা। ব্রাজিলের বাহিয়া রাজ্যে র‌্যাফেল ড্র ও বিঙ্গো খেলা শেষে পুরস্কার হিসেবে জয়ীকে দেওয়া হয় ‘নারী’।

ফুটবলের জীবন্ত কিংবদন্তী পেলের দেশেই হয়ে থাকে পৃথিবীর জঘন্যতম এই প্রতিযোগিতা। বিভিন্ন স্থান থেকে অপহরণ করে আনা শিশু ও নারীদের এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে বাধ্য করা হয়। বিষয়টা এমন সবাই সবকিছু জানে; বলার বা প্রতিবাদ করার কেউ নেই। সবকিছু যেন বন্দী মধ্যযুগীয় বরবর্তার জালে। প্রকাশ্য দিবালোকে বাহিয়া রাজ্যের শহর ইনক্রজিলহাডাতে হয় এ ধরনের প্রতিযোগিতা।

র‌্যাফেল ড্রর প্রত্যেকটি টিকিটের দাম ধরা হয় ৫ পাউন্ড। যদিও বাস্তবে এটার দাম আরও বেশি হয়ে থাকে। যখন র‌্যাফেল ড্রর টিকিট বাজারে ছাড়া হয় তখন আশেপাশের লোকজন তা আনন্দের সঙ্গে কিনে। শুধু কি তাই, যখন ড্র অনুষ্ঠিত হয় তখন সবাই যথাসময়ে হাজির হয় অসহায় শিকারকে ধরে ‘আদিম খেলায়’ লিপ্ত হতে।

ব্রাজিলে প্রায় ৪ কোটি মানুষ চরম দারিদ্য সীমার নিচে বসবাস করে। আর দেশটিতে শিশু যৌনকর্মী রয়েছে প্রায় ৫ লাখের মতো। র‌্যাফেল ড্র-বিঙ্গো খেলাতেও বছরের পর বছর ধরে জয়ীদের মনোরঞ্জনে উপহার হিসেবে দেওয়া হচ্ছে শিশুদের। সম্প্রতি বিষয়টি বিশ্ব গণমাধ্যমের দৃষ্টিতে এনেছে শিশু যৌন-নির্যাতন নিয়ে কাজ করা বৃটিশ চ্যারিটি গ্রুপ মেনিনাডানকা।

জঘন্য এই প্রতিযোগিতার ব্যাপারে স্থানীয় আইনজীবী মাইকেল ফারিয়াস বলেন, ‘গ্যাংয়ের অধীনে থাকা মেয়েদের র‌্যাফেল ড্রতে যুক্ত করা হয়। টিকিট কেনার মধ্যে জয়ীদের পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয় এই নারী। অনেক সময় দেখা গেছে, প্রথম পুরস্কার হিসেবে থাকে অবিবাহিত তরুণী। তখন টিকিটের দাম আরও বেড়ে যায়। বাকিগুলোতেও পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয় কম বয়সী মেয়েদের। যাদের বয়স ১১ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে।’

শুধু র‌্যাফেল ড্রতেই থেমে নেই ইনক্রজিলহাডা শহর; সপ্তাহে এখানে একদিন হয় বিঙ্গো খেলা। সাধারণত রাতের বেলা অনুষ্ঠিত হয় নোংরা এই খেলাটি। যেখানে খেলার আগে প্রতিযোগীদের সামনে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে মেয়ে শিশু বা কমবয়সী নারীরা। খেলা শেষে জয়ী প্রতিযোগীর হাতে তুলে দেওয়া তাদেরকে। তখন বন্দী শিশু বা নারীর নিশ্চুপ চিৎকারে অসহায় শরণার্থীর মতো ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদে বিশ্বমানবতা ও সভ্যতা।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা

পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন

এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?

এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন

৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন

১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

  • লজ্জায় লাল হয়ে যায় পাখিও
  • দুই হাতের হৃদয়রেখা মিলে গেলে কি হয় জানেন?
  • ৩২১ থেকে ওজন কমিয়ে ৮৫!
  • রং নম্বরে প্রেম, বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি ঝলসে যাওয়া মুখ
  • পানিতে ভেসে উঠলো অলৌকিক হাত!
  • ১৫ বছরে একবার ফোটে ‘মৃত্যুর ফুল’
  • চা বিক্রেতা এখন ৩৯৯ কোটি টাকার মালিক
  • একটি মাছের বিষে মারা যেতে পারে ৩০ জন
  • মোবাইল কিনতে ছয় সপ্তাহের শিশুকে বিক্রি
  • পরকীয়ায় জড়াচ্ছে নারীরা প্রধান যে তিনটি কারণ নেপথ্যে
  • ২৪০০ কেজি খিচুড়ি রান্না হয় যেখানে দৈনিক !
  • পরীক্ষায় ফেল করলেই বিবাহ বিচ্ছেদ