বুধবার, অক্টোবর ২৩, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

যে গ্রামের বাতাসে ছড়িয়ে আছে অভিশাপ, গেলে কেউ জীবিত ফেরে না!

কালের প্রকোপে কিছু বাড়ি তো ভেঙে চুরে যাবেই! কিন্তু, বেশ কিছু বাড়ি এখনো অটুট আছে। অটুট আছে মন্দিরও। কালের এতটুকুও আঁচড় পড়েনি গ্রামের মাঝখানের ছত্রীতে। তার পরেও, জয়সলমীরের কুলধারায় কেউ পা রাখতে সাহস করেন না। অন্তত, রাতের বেলায় তো নয়ই! যারা কুলধারায় রাত কাটিয়েছেন, কোনো না কোনো বিপদের মুখে পড়েছেন। কুলধারায় রাত কাটিয়ে পাড়ি দিতে হয়েছে মৃত্যুর দিকে, এমন উদাহরণও কম নেই!

প্রায় ৩০০ বছরেরও বেশি সময় কেটে গেল। তাও কেন নতুন করে জনবসতি গড়ে উঠল না কুলধারায়?

প্রশ্নটা কিন্তু ভাবার! রাজস্থানের মতো রুক্ষ জায়গায় বসবাসের উপযোগী জায়গা খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন ব্যাপার। মূলত পানির জন্যই। কুলধারায় কিন্তু সেই সমস্যা ছিল না। সোনালি বালির মাঝে মরুদ্যানের মতোই মাথা তুলে একটা সময়ে সগৌরবে দাঁড়িয়ে ছিল কুলধারা। পালিওয়াল ব্রাহ্মণদের এই গ্রাম ছিল চাষ-আবাদের জন্যও বিখ্যাত।

তাহলে আচমকাই কেন জনহীন হয়ে গেল কুলধারা? শোনা যায়, প্রায় ৩০০ বছর আগে জয়সলমীরে এক অত্যাচারী দেওয়ান ছিলেন। তার নাম সেলিম সিং। কর আদায়ের জন্য হেন দুর্নীতি ছিল না, যার আশ্রয় তিনি নেননি।

এই সেলিম সিংয়ের একদিন নজর পড়ল কুলধারার গ্রামপ্রধানের সুন্দরী কন্যার দিকে। নিজে গ্রামে এসে বলে গেলেন সেলিম সিং, ওই মেয়েটিকে তার চাই-ই চাই! নইলে, অস্বাভাবিক করের বোঝা মাথায় নিয়ে বাঁচতে হবে কুলধারা এবং পাশের ৮৪টি গ্রামকে।

সেই রাতেই ঘটে যায় এক আশ্চর্য ব্যাপার। রাতারাতি ৮৪টি গ্রামের লোক যেন মিলিয়ে যায় বাতাসে! কেউ বলেন, গ্রামবাসীরা দেওয়ানের অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে গ্রাম ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন এক বস্ত্রে। কিন্তু, এই বক্তব্যের মধ্যে তেমন জোর নেই। ৮৪টি গ্রামের লোক না হয় রাতের আঁধারে গ্রাম ছাড়তেই পারে! কিন্তু, এত বড় দল যদি পালিয়ে যায়, তবে কোথাও না কোথাও তো পথের মধ্যে তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে।

সে রকম কিছু কিন্তু কোনও দিন শোনা যায়নি। তাহলে কি অলৌকিক কোনও বিদ্যার আশ্রয় নিয়ে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা? আত্মহত্যা করলেও তো দেহ পড়ে থাকত!

কিন্তু, কিছুই পাওয়া যায়নি। দেওয়ান এসে দেখেছিলেন, গ্রামের পর গ্রাম ফাঁকা পড়ে আছে। সব কিছুই রয়েছে যথাস্থানে। শুধু মানুষ নেই! সেলিম সিং এর পর নতুন করে গ্রাম বসানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু, কেউ সেই গ্রামে রাত কাটাতে পারত না। তাদের মৃত্যু হত। মৃত্যুর কারণও জানা যেত না।

কাহিনি বলে, এর মূলে রয়েছে গ্রামবাসীদের অভিশাপ। মিলিয়ে যাওয়ার আগে তারা অভিশাপ ছড়িয়ে দিয়েছিল গ্রামের বাতাসে-‘কেউ এখানে বাস করতে পারবে না।’ যেমনটা তারাও পারেনি!

ঘুরে আপনি আসতেই পারেন কুলধারা থেকে। দেখবেন, অনেকগুলো ভাঙাচোরা বাড়ির মধ্যে একটা বাড়ি, মন্দির আর ছত্রী একেবারে ঠিকঠাক রয়েছে।

আবার একটু ভাবুন তো! কালের প্রকোপ যেখানে সব বাড়িকে পরিণত করেছে ধ্বংসস্তুপে, সেখানে এই তিনটি রক্ষা পায় কী ভাবে? কী ভাবেই বা রোদ-বৃষ্টির হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে অক্ষুণ্ণ থাকে বাড়ির দেওয়ালের অলঙ্করণ?

২০১৩ সালে দিল্লির প্যারানর্ম্যাল সোসাইটি বেশ কিছু সদস্যের সঙ্গে রাত কাটাতে গিয়েছিল কুলধারায়। অভিজ্ঞতা সুখের হয়নি। প্রতি সেকেন্ডে বদলে যাচ্ছিল তাদের চারপাশের আবহাওয়া। এই কনকনে ঠাণ্ডা, তো এই অসহ্য গরম! কয়েকজন সদস্যকে ধাক্কা দেয় কেউ! পিছনে ফিরে দেখা যায়- ধারে কাছে কেউ নেই! রাত বাড়লে শোনা গিয়েছিল কান্নার আওয়াজ।

আর সকালবেলায়? দেখা গিয়েছিল, গাড়ির কাচে কোলের শিশুর হাতের ছাপ!

তাহলে কি এখনও ৩০০ বছর আগের ওই গ্রামবাসীরা অদৃশ্য হয়ে, অশরীরী রূপে থেকে গিয়েছেন গ্রামেই? সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা

পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন

এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?

এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন

৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন

১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

  • লজ্জায় লাল হয়ে যায় পাখিও
  • দুই হাতের হৃদয়রেখা মিলে গেলে কি হয় জানেন?
  • ৩২১ থেকে ওজন কমিয়ে ৮৫!
  • রং নম্বরে প্রেম, বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি ঝলসে যাওয়া মুখ
  • পানিতে ভেসে উঠলো অলৌকিক হাত!
  • ১৫ বছরে একবার ফোটে ‘মৃত্যুর ফুল’
  • চা বিক্রেতা এখন ৩৯৯ কোটি টাকার মালিক
  • একটি মাছের বিষে মারা যেতে পারে ৩০ জন
  • মোবাইল কিনতে ছয় সপ্তাহের শিশুকে বিক্রি
  • পরকীয়ায় জড়াচ্ছে নারীরা প্রধান যে তিনটি কারণ নেপথ্যে
  • ২৪০০ কেজি খিচুড়ি রান্না হয় যেখানে দৈনিক !
  • পরীক্ষায় ফেল করলেই বিবাহ বিচ্ছেদ